গোপালপুর প্রতিনিধি
গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের ভুটিয়া গ্রাম এখন লিচুর গ্রাম বলে পরিচিতি লাভ করেছে। গ্রামের যেদিকে তাকানো যায়, শুধু লিচু আর লিচুগাছ। বড়, মাঝারি, ছোট গৃহস্থ অথবা শুধু ভিটে রয়েছে এমন প্রান্তিক চাষিরাও উঠান ও পালানজুড়ে নানা জাতের লিচুর আবাদ করছেন। সেসব গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। এতে লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভুটিয়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসবাস। চার দশক আগেও যেখানে আড়া-জঙ্গলে ভরপুর ছিল, এখন হয়েছে লিচুবাগান। গ্রামের কোনো পতিত জমি ফাঁকা রাখেননি কেউ। গ্রামের প্রায় সবারই বসতভিটার পাশে খুদে বাগানে রয়েছে। কারও কারও বাগানে ৫ শতাধিক লিচুগাছ রয়েছে।
ভুটিয়া গ্রামের জামান ফারুখী জানান, তাঁর বাগানে ২০টি লিচুগাছ রয়েছে। এবার সব কটিতে কম-বেশি ফল ধরেছে। ৭০ হাজার টাকায় পাইকারের কাছে বিক্রিও করে দিয়েছেন তিনি।
তবে লিচুচাষি আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বসতভিটাসংলগ্ন ফাঁকা জমিতে ৩২টি গাছ রয়েছে। এবারের খরায় মুকুল ঝরে গেছে, ফল আকারে ছোট হয়ে গেছে। এ ছাড়া মাকড়সা ও পোকায় ফলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বারবার কৃষি অফিসের পরামর্শে ওষুধ ও বিষ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
অপর চাষি মজিবর রহমান জানান, তাঁর ৪০টি গাছের মধ্যে ২৫টিতে ফল এসেছে। পাইকারের কাছে প্রায় ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। চাষি মিজানুর রহমান জানান, পাইকার এসে বাড়ি থেকে লিচু কিনে নিয়ে যান। বসতভিটাসংলগ্ন এসব ক্ষুদ্র বাগানে লিচু আবাদে তেমন কোনো খরচ নেই। যে অল্প পরিশ্রম লাগে সেটি বাড়ির গৃহিণীরাই করে থাকেন। অনেকটা বিনা পারিশ্রমিকে লিচু আবাদ করে অনেকেই বাড়তি আয়-রোজগার করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। তবে প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা পাওয়া গেলে এ গ্রাম থেকে কোটি কোটি টাকার লিচু উৎপাদন সম্ভব।
গ্রামের আব্দুল হালিম জানান, লিচু আবাদের ফলে গ্রামে মৌমাছির আনাগোনা বেড়েছে ব্যাপক হারে। লিচুবাগান এখন মধু সংগ্রহের নির্ভরযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌ র্যাকে পোষা মৌমাছি দিয়ে বিপুল পরিমাণ মধু উৎপাদন করা হচ্ছে। লিচু আবাদের জন্য গ্রামে পাখপাখালির সংখ্যা বেড়েছে। গ্রামে পশুপাখি শিকার নিষেধ। লিচুবাগানে বাসা বেঁধে যাতে ওরা নিরাপদে বসবাস করতে পারে, সে জন্য বাড়তি নজর থাকে সবার।
ওই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দুলাল হোসেন জানান, ভুটিয়া এখন লিচুর গ্রাম। বসতভিটাসংলগ্ন ফল আবাদের জন্য কোনো প্রকল্প না থাকায় লিচুচাষিদের কারিগরি সহায়তা দেওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার জানান, ভুটিয়া গ্রামে প্রচুর লিচুর আবাদ হয় বলে তিনি লোকমুখে শুনেছেন। োঁজখবর নিয়ে দেখবেন।
গোপালপুর উপজেলার ধোপাকান্দি ইউনিয়নের ভুটিয়া গ্রাম এখন লিচুর গ্রাম বলে পরিচিতি লাভ করেছে। গ্রামের যেদিকে তাকানো যায়, শুধু লিচু আর লিচুগাছ। বড়, মাঝারি, ছোট গৃহস্থ অথবা শুধু ভিটে রয়েছে এমন প্রান্তিক চাষিরাও উঠান ও পালানজুড়ে নানা জাতের লিচুর আবাদ করছেন। সেসব গাছে থোকায় থোকায় ঝুলছে লিচু। এতে লাভবান হচ্ছেন এ অঞ্চলের কৃষকেরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ভুটিয়া গ্রামে পাঁচ শতাধিক পরিবারের বসবাস। চার দশক আগেও যেখানে আড়া-জঙ্গলে ভরপুর ছিল, এখন হয়েছে লিচুবাগান। গ্রামের কোনো পতিত জমি ফাঁকা রাখেননি কেউ। গ্রামের প্রায় সবারই বসতভিটার পাশে খুদে বাগানে রয়েছে। কারও কারও বাগানে ৫ শতাধিক লিচুগাছ রয়েছে।
ভুটিয়া গ্রামের জামান ফারুখী জানান, তাঁর বাগানে ২০টি লিচুগাছ রয়েছে। এবার সব কটিতে কম-বেশি ফল ধরেছে। ৭০ হাজার টাকায় পাইকারের কাছে বিক্রিও করে দিয়েছেন তিনি।
তবে লিচুচাষি আব্দুর রহিম অভিযোগ করে বলেন, তাঁর বসতভিটাসংলগ্ন ফাঁকা জমিতে ৩২টি গাছ রয়েছে। এবারের খরায় মুকুল ঝরে গেছে, ফল আকারে ছোট হয়ে গেছে। এ ছাড়া মাকড়সা ও পোকায় ফলের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। বারবার কৃষি অফিসের পরামর্শে ওষুধ ও বিষ দিয়েছেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
অপর চাষি মজিবর রহমান জানান, তাঁর ৪০টি গাছের মধ্যে ২৫টিতে ফল এসেছে। পাইকারের কাছে প্রায় ৮০ হাজার টাকায় বিক্রি করেন তিনি। চাষি মিজানুর রহমান জানান, পাইকার এসে বাড়ি থেকে লিচু কিনে নিয়ে যান। বসতভিটাসংলগ্ন এসব ক্ষুদ্র বাগানে লিচু আবাদে তেমন কোনো খরচ নেই। যে অল্প পরিশ্রম লাগে সেটি বাড়ির গৃহিণীরাই করে থাকেন। অনেকটা বিনা পারিশ্রমিকে লিচু আবাদ করে অনেকেই বাড়তি আয়-রোজগার করে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। তবে প্রযুক্তিগত পরামর্শ ও কারিগরি সহযোগিতা পাওয়া গেলে এ গ্রাম থেকে কোটি কোটি টাকার লিচু উৎপাদন সম্ভব।
গ্রামের আব্দুল হালিম জানান, লিচু আবাদের ফলে গ্রামে মৌমাছির আনাগোনা বেড়েছে ব্যাপক হারে। লিচুবাগান এখন মধু সংগ্রহের নির্ভরযোগ্য উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মৌ র্যাকে পোষা মৌমাছি দিয়ে বিপুল পরিমাণ মধু উৎপাদন করা হচ্ছে। লিচু আবাদের জন্য গ্রামে পাখপাখালির সংখ্যা বেড়েছে। গ্রামে পশুপাখি শিকার নিষেধ। লিচুবাগানে বাসা বেঁধে যাতে ওরা নিরাপদে বসবাস করতে পারে, সে জন্য বাড়তি নজর থাকে সবার।
ওই ব্লকের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা দুলাল হোসেন জানান, ভুটিয়া এখন লিচুর গ্রাম। বসতভিটাসংলগ্ন ফল আবাদের জন্য কোনো প্রকল্প না থাকায় লিচুচাষিদের কারিগরি সহায়তা দেওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার জানান, ভুটিয়া গ্রামে প্রচুর লিচুর আবাদ হয় বলে তিনি লোকমুখে শুনেছেন। োঁজখবর নিয়ে দেখবেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে