সুজাউল ইসলাম সুজা, রৌমারী
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মোড় থেকে ফলুয়ারচর নৌকাঘাট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ কুড়িগ্রাম জেলা সদরে যাতায়াত করেন।
এ ছাড়াও উপজেলার পশ্চিমের ১০ গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরের আসা যাওয়ার রাস্তাও এটি। গত বছরের বন্যার পর থেকে এ ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে বলা হয়েছে, রাস্তা নির্মাণ করার জন্য তিনটি প্যাকেজে ১২ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে কুড়িগ্রামে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধান কার্যালয় থেকে একটি জরিপ দল সরেজমিনে জরিপ করে গেছে। প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন দিলে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
জানা গেছে, এই রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কৃষকেরা বাজারে তাঁদের মালামাল নিতে ভোগান্তিতে পরেন।
ফলুয়ারচর গ্রামের আব্দুস ছবুর বলেন, ‘গত বন্যার সময় রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙে যায়। গত নয় মাস অতিবাহিত হলেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেইনি প্রশাসন। এই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কুড়িগ্রামে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ ও ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হন। কোনো সুস্থ মানুষ এক দিন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে সে অসুস্থ হয়ে পরার অবস্থা হয়।
কুটিরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। নয় মাস ধরে প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করলেও যেন দেখা কেউ নেই। এ ছাড়া প্রতিদিন শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল করায় ধুলায় আশেপাশের লোকজন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছেন। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রাক্টরে পিষ্ট হয়ে গত এক বছরে মারা গেছেন ৪ জন পথচারী। এ ছাড়াও মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। পথিমধ্যে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
ফলুয়ারচর গ্রামের রফিকুল খাঁ বলেন, ‘সরকার তো বরাদ্দ দেয়, লুটেপুটে খায় ঠিকাদার ও স্থানীয় প্রশাসন। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ হয় তা সামান্য কাজ করে বাকি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন জনের পকেটে চলে যায়। শুনেছি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। ৫০ হাজার টাকারও কাজ হয়নি। তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু কে করবে সেই কাজ। সবাই একই পথের পথিক। ফলে আমাদের ভোগান্তি চিরকাল।
রৌমারী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাস্তাটি জেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত তাই আমার পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় জোর দাবি করা হয়েছে। রেজুলেশনে উঠেছে। দ্রুত সংস্কার কাজটি হবে বলে আমি মনে করি।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, স্থানীয় সাংসদ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের অনুরোধে আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করার জন্য তিনটি প্যাকেজে ১২ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রামের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধান কার্যালয় থেকে একটি জরিপ দল এসে সরেজমিন জরিপ করে গেছে। পরে আমাদের কাছে টপোগ্রাফি জরিপ চেয়ে ছিল আমরা সেটাও করে পাঠিয়েছি। এখন প্রধান কার্যালয় অনুমোদন দিলে কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী দরপত্র আহ্বান করবে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা মোড় থেকে ফলুয়ারচর নৌকাঘাট পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে হাজারো মানুষ ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করছেন। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ কুড়িগ্রাম জেলা সদরে যাতায়াত করেন।
এ ছাড়াও উপজেলার পশ্চিমের ১০ গ্রামের মানুষের উপজেলা সদরের আসা যাওয়ার রাস্তাও এটি। গত বছরের বন্যার পর থেকে এ ভোগান্তি আরও বেড়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী অফিস থেকে বলা হয়েছে, রাস্তা নির্মাণ করার জন্য তিনটি প্যাকেজে ১২ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে কুড়িগ্রামে নির্বাহী প্রকৌশলীর কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ঢাকায় প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধান কার্যালয় থেকে একটি জরিপ দল সরেজমিনে জরিপ করে গেছে। প্রধান কার্যালয় থেকে অনুমোদন দিলে দরপত্র আহ্বান করা হবে।
জানা গেছে, এই রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হওয়ায় স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা যাতায়াতে প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। কৃষকেরা বাজারে তাঁদের মালামাল নিতে ভোগান্তিতে পরেন।
ফলুয়ারচর গ্রামের আব্দুস ছবুর বলেন, ‘গত বন্যার সময় রাস্তাটির বিভিন্ন জায়গা ভেঙে যায়। গত নয় মাস অতিবাহিত হলেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেইনি প্রশাসন। এই রাস্তা দিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, কুড়িগ্রামে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষ ও ১০ গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচলে চরম ভোগান্তির শিকার হন। কোনো সুস্থ মানুষ এক দিন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করলে সে অসুস্থ হয়ে পরার অবস্থা হয়।
কুটিরচর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ‘রাস্তাটি জনগুরুত্বপূর্ণ। নয় মাস ধরে প্রতিদিন হাজারো মানুষ দুর্ভোগ নিয়ে চলাচল করলেও যেন দেখা কেউ নেই। এ ছাড়া প্রতিদিন শতাধিক অবৈধ ট্রাক্টর চলাচল করায় ধুলায় আশেপাশের লোকজন স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পরছেন। শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। ট্রাক্টরে পিষ্ট হয়ে গত এক বছরে মারা গেছেন ৪ জন পথচারী। এ ছাড়াও মুমূর্ষু রোগীদের দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যাচ্ছে না। পথিমধ্যে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটছে।
ফলুয়ারচর গ্রামের রফিকুল খাঁ বলেন, ‘সরকার তো বরাদ্দ দেয়, লুটেপুটে খায় ঠিকাদার ও স্থানীয় প্রশাসন। রাস্তাটি সংস্কারের জন্য যে বরাদ্দ হয় তা সামান্য কাজ করে বাকি টাকা দুর্নীতির মাধ্যমে বিভিন্ন জনের পকেটে চলে যায়। শুনেছি ৭ লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। ৫০ হাজার টাকারও কাজ হয়নি। তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেড়িয়ে আসবে। কিন্তু কে করবে সেই কাজ। সবাই একই পথের পথিক। ফলে আমাদের ভোগান্তি চিরকাল।
রৌমারী সদর ইউপির চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘রাস্তাটি জেলা পরিষদের অন্তর্ভুক্ত তাই আমার পরিষদ থেকে বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ নেই। তবে রাস্তাটি সংস্কারের জন্য উপজেলা সমন্বয় সভায় জোর দাবি করা হয়েছে। রেজুলেশনে উঠেছে। দ্রুত সংস্কার কাজটি হবে বলে আমি মনে করি।
রৌমারী উপজেলা প্রকৌশলী মামুনুর রহমান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) বলেন, স্থানীয় সাংসদ ও প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেনের অনুরোধে আরসিসি রাস্তা নির্মাণ করার জন্য তিনটি প্যাকেজে ১২ কোটি টাকার প্রাক্কলন তৈরি করে নির্বাহী প্রকৌশলী কুড়িগ্রামের কাছে পাঠানো হয়। সেখান থেকে ঢাকা প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়। প্রধান কার্যালয় থেকে একটি জরিপ দল এসে সরেজমিন জরিপ করে গেছে। পরে আমাদের কাছে টপোগ্রাফি জরিপ চেয়ে ছিল আমরা সেটাও করে পাঠিয়েছি। এখন প্রধান কার্যালয় অনুমোদন দিলে কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী দরপত্র আহ্বান করবে। আমরা সেই অপেক্ষায় আছি।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে