রানা আব্বাস, সিডনি, অস্ট্রেলিয়া থেকে
বিখ্যাত মাঠে কেন যেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো হয় না। লর্ডস, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি), ইডেন গার্ডেন—কোথাও জয়ের স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। গতকাল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও (এসসিজি) ব্যতিক্রম কিছু হয়নি।
স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, ভিক্টর ট্রাম্পার, রিচি বেনো, স্টিভ ওয়াহদের স্মৃতিধন্য এসসিজিতে বাংলাদেশ রীতিমতো হারের রেকর্ড করে বসল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের পরাজয়টা রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার। দৃষ্টিনন্দন সিডনি, ঐতিহাসিক সিডনি এখন ভুলেই থাকতে চাইবে বাংলাদেশ।
খেলা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে গতকাল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছিল। জোর হাওয়ায় মেঘ-বৃষ্টি সরে গেলেও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের ওপর পুরোনো মেঘ আবার ফিরে এল। হোবার্টে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া সাকিবদের মনোবল নাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই টপ অর্ডার ব্যাটার রাইলি রুশো আর কুইন্টন ডি কক।
রানপ্রসবা উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে (২) প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়ে তাসকিন আহমেদ বার্তা দিয়েছিলেন হোবার্টের স্মৃতি টাটকা থাকতেই সিডনিতেও হতে পারে ভিন্ন কিছু। এ বার্তা যে ভুল—সেটি প্রমাণ করতে রুশো আর ডি কক দ্রুত চড়াও হলেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর।
গত পাঁচ বছরে রুশো নিয়মিত খেলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। প্রায় প্রতিটি মৌসুমেই তিনি থেকেছেন সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায়। বেশির ভাগ বাংলাদেশি বোলারকে আগে থেকেই ভালোভাবে চেনায় তাঁর ছড়ি ঘোরাতে তেমন সমস্যাই হয়নি।
সিডনির উইকেটে স্পিনাররা একটু সহায়তা পেয়ে থাকেন, এ বিশ্বাস থেকে দুই বাঁহাতি প্রোটিয়া ব্যাটারকে ফেরাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক পাওয়ার প্লেতেই দুই অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে এলেন আক্রমণে। কক-রুশোরা এখন যে মাত্রায় স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে থাকেন, মিরাজ-মোসাদ্দেককে সুইপ, কাট রিভার্স সুইপে উড়িয়ে দিতে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি। এ সময় সাকিব নিজেকে আড়াল করে রাখলেন। অধিনায়ক কঠিন সময়ে বোলিং আক্রমণে আসেননি সেই পুরোনো তত্ত্বের ভিত্তিতে—দুই বাঁহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে বোলিং করলে ব্যয়বহুল হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ব্যাটিংবান্ধব উইকেট আর বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিংয়ের বিপক্ষে আরামে রান তোলার সুযোগটা রুশো-কক হাতছাড়া করেননি। প্রায় প্রতিটি ওভারে একাধিক বাউন্ডারি মেরে দুজন এত স্বচ্ছন্দে এগোতে থাকলেন, ইনিংস বিরতিতেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের ফল কী হতে যাচ্ছে। আগের ম্যাচের নায়ক তাসকিনকে কাঁদিয়ে ছাড়তেই শুধু বাকি রেখেছিলেন রুশো-কক। তাসকিনের করা ১৪তম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ২৩ রান। অবশ্য এ ওভারেই রুশো একটা সুযোগ দিয়েছিলেন। ডিপ থার্ডে বলটা হাতে জমাতে পারেননি হাসান মাহমুদ। ক্যাচটা ধরতে পারলে রুশোকে ফিরতে হতো ৯০ রানের আগেই, কিন্তু তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড় গড়তে খুব একটা সমস্যা হতো না।
১৫তম ওভারে খণ্ডকালীন বোলার আফিফ হোসেনের বলে কক ৬৩ রানে ফিরলেও রুশো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি (১০৯) করে ফিরেছেন। আর দুই ব্যাটারের সৌজন্যে কাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখেছে যেকোনো জুটিতে সর্বোচ্চ রান (১৬৮)। দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে ব্যাট করছিল, ২৪০ রান হওয়া অসম্ভব ছিল না। শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা তুলনামূলক ভালো বোলিং করায় ডেথ ওভারে ৩০ রানের বেশি তারা তুলতে পারেনি। তবু যে ২০৬ রানের লক্ষ্য প্রোটিয়ারা দিয়েছে, তখনই বোঝা গেছে সিডনির বিকেলটা হতাশারই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্ত-সৌম্য সরকার প্রথম ২ ওভারে ২৬ রান তুলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়ার হুংকার ছুড়ে মুহূর্তেই ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে চিত্রটাই আসলে এমন ছিল। লিটন দাসের ৩৪ রানের ইনিংস মান বাঁচাতে যথেষ্ট ছিল না, ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়ে ১০৪ রানে হারল বাংলাদেশ; রুশোর রানটাই করতে পারেনি ১১ জন। ম্যাচের পর একটা কথা বারবার কানে এল, খেলার মানে বাংলাদেশকে কোনো আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয়, কোনো সহযোগী দেশ মনে হচ্ছে!
কথাটা সাকিবরা কি শুনতে পাচ্ছেন?
বিখ্যাত মাঠে কেন যেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা খুব একটা ভালো হয় না। লর্ডস, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ড (এমসিজি), ইডেন গার্ডেন—কোথাও জয়ের স্মৃতি নেই বাংলাদেশের। গতকাল সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডেও (এসসিজি) ব্যতিক্রম কিছু হয়নি।
স্যার ডন ব্র্যাডম্যান, ভিক্টর ট্রাম্পার, রিচি বেনো, স্টিভ ওয়াহদের স্মৃতিধন্য এসসিজিতে বাংলাদেশ রীতিমতো হারের রেকর্ড করে বসল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০৪ রানের পরাজয়টা রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় হার। দৃষ্টিনন্দন সিডনি, ঐতিহাসিক সিডনি এখন ভুলেই থাকতে চাইবে বাংলাদেশ।
খেলা শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে গতকাল ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নেমেছিল। জোর হাওয়ায় মেঘ-বৃষ্টি সরে গেলেও টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশ দলের ওপর পুরোনো মেঘ আবার ফিরে এল। হোবার্টে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া সাকিবদের মনোবল নাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করলেন দক্ষিণ আফ্রিকার দুই টপ অর্ডার ব্যাটার রাইলি রুশো আর কুইন্টন ডি কক।
রানপ্রসবা উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং করতে নামা দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক টেম্বা বাভুমাকে (২) প্রথম ওভারেই ফিরিয়ে দিয়ে তাসকিন আহমেদ বার্তা দিয়েছিলেন হোবার্টের স্মৃতি টাটকা থাকতেই সিডনিতেও হতে পারে ভিন্ন কিছু। এ বার্তা যে ভুল—সেটি প্রমাণ করতে রুশো আর ডি কক দ্রুত চড়াও হলেন বাংলাদেশের বোলারদের ওপর।
গত পাঁচ বছরে রুশো নিয়মিত খেলেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। প্রায় প্রতিটি মৌসুমেই তিনি থেকেছেন সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায়। বেশির ভাগ বাংলাদেশি বোলারকে আগে থেকেই ভালোভাবে চেনায় তাঁর ছড়ি ঘোরাতে তেমন সমস্যাই হয়নি।
সিডনির উইকেটে স্পিনাররা একটু সহায়তা পেয়ে থাকেন, এ বিশ্বাস থেকে দুই বাঁহাতি প্রোটিয়া ব্যাটারকে ফেরাতে বাংলাদেশ অধিনায়ক পাওয়ার প্লেতেই দুই অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর মোসাদ্দেক হোসেনকে নিয়ে এলেন আক্রমণে। কক-রুশোরা এখন যে মাত্রায় স্পিন সহায়ক কন্ডিশনে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে থাকেন, মিরাজ-মোসাদ্দেককে সুইপ, কাট রিভার্স সুইপে উড়িয়ে দিতে তেমন কোনো সমস্যাই হয়নি। এ সময় সাকিব নিজেকে আড়াল করে রাখলেন। অধিনায়ক কঠিন সময়ে বোলিং আক্রমণে আসেননি সেই পুরোনো তত্ত্বের ভিত্তিতে—দুই বাঁহাতি ব্যাটারের বিপক্ষে বোলিং করলে ব্যয়বহুল হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
ব্যাটিংবান্ধব উইকেট আর বাংলাদেশের এলোমেলো বোলিংয়ের বিপক্ষে আরামে রান তোলার সুযোগটা রুশো-কক হাতছাড়া করেননি। প্রায় প্রতিটি ওভারে একাধিক বাউন্ডারি মেরে দুজন এত স্বচ্ছন্দে এগোতে থাকলেন, ইনিংস বিরতিতেই অনেকটা পরিষ্কার হয়ে যায় ম্যাচের ফল কী হতে যাচ্ছে। আগের ম্যাচের নায়ক তাসকিনকে কাঁদিয়ে ছাড়তেই শুধু বাকি রেখেছিলেন রুশো-কক। তাসকিনের করা ১৪তম ওভারেই দক্ষিণ আফ্রিকা তুলেছে ২৩ রান। অবশ্য এ ওভারেই রুশো একটা সুযোগ দিয়েছিলেন। ডিপ থার্ডে বলটা হাতে জমাতে পারেননি হাসান মাহমুদ। ক্যাচটা ধরতে পারলে রুশোকে ফিরতে হতো ৯০ রানের আগেই, কিন্তু তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার রানের পাহাড় গড়তে খুব একটা সমস্যা হতো না।
১৫তম ওভারে খণ্ডকালীন বোলার আফিফ হোসেনের বলে কক ৬৩ রানে ফিরলেও রুশো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি (১০৯) করে ফিরেছেন। আর দুই ব্যাটারের সৌজন্যে কাল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দেখেছে যেকোনো জুটিতে সর্বোচ্চ রান (১৬৮)। দক্ষিণ আফ্রিকা যেভাবে ব্যাট করছিল, ২৪০ রান হওয়া অসম্ভব ছিল না। শেষ ৪ ওভারে বাংলাদেশের বোলাররা তুলনামূলক ভালো বোলিং করায় ডেথ ওভারে ৩০ রানের বেশি তারা তুলতে পারেনি। তবু যে ২০৬ রানের লক্ষ্য প্রোটিয়ারা দিয়েছে, তখনই বোঝা গেছে সিডনির বিকেলটা হতাশারই হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের। নাজমুল হোসেন শান্ত-সৌম্য সরকার প্রথম ২ ওভারে ২৬ রান তুলে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছোড়ার হুংকার ছুড়ে মুহূর্তেই ‘হাওয়া’ হয়ে গেলেন।
বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ে চিত্রটাই আসলে এমন ছিল। লিটন দাসের ৩৪ রানের ইনিংস মান বাঁচাতে যথেষ্ট ছিল না, ১৬.৩ ওভারে ১০১ রানে অলআউট হয়ে ১০৪ রানে হারল বাংলাদেশ; রুশোর রানটাই করতে পারেনি ১১ জন। ম্যাচের পর একটা কথা বারবার কানে এল, খেলার মানে বাংলাদেশকে কোনো আইসিসির পূর্ণ সদস্য নয়, কোনো সহযোগী দেশ মনে হচ্ছে!
কথাটা সাকিবরা কি শুনতে পাচ্ছেন?
জমির মালিক হযরত শাহ্ আলী বালিকা উচ্চবিদ্যালয়। তবে ওই জমিতে ৩৯১টি দোকান নির্মাণ করে কয়েক বছর ধরে ভাড়া নিচ্ছে হযরত শাহ্ আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ। দোকানগুলোর ভাড়া থেকে সরকারের প্রাপ্য প্রায় ৭০ লাখ টাকা ভ্যাটও দেওয়া হয়নি। বিষয়টি উঠে এসেছে পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরের (ডিআইএ) তদন্তে।
৩ দিন আগেকুড়িগ্রাম পৌর শহরে বাসচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী ছোট ভাই নিহত ও বড় ভাই আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার সকালে মৎস্য খামারের কাছে কুড়িগ্রাম-চিলমারী সড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
৭ দিন আগেবৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিভিন্ন অভিযোগের মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ১৮ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত শনিবার রাতে ও গতকাল রোববার তাঁরা গ্রেপ্তার হন।
৭ দিন আগেএক অভূতপূর্ব ঘটনা ঘটেছে শিল্পকলা একাডেমিতে। শিল্পকলা একাডেমির তিনটি হলেই কিছুদিন আগেও নাটক চলত। নাট্যকর্মীদের সৃজনশীলতার বহিঃপ্রকাশ ঘটত সেখানে। বহু পরিশ্রমে মাসের পর মাস নিজের খেয়ে, নিজের গাড়িভাড়া দিয়ে নাট্যকর্মীরা একেবারেই স্বেচ্ছাশ্রমে একটি শিল্প তিপ্পান্ন বছর ধরে গড়ে তুলেছেন। শিল্পকলা একাডেমি এখন
১১ দিন আগে