জানুয়ারি থেকেই শতভাগ ই-পেমেন্ট চালু

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ৪৩
Thumbnail image

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসসহ দেশের সব শুল্ক স্টেশনে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে শতভাগ ইলেকট্রনিক পেমেন্ট (ই-পেমেন্ট) কার্যকর হচ্ছে। এতে আমদানিকারকেরা আরটিজিএসের মাধ্যমে সরাসরি শুল্ক কর পরিশোধ করতে পারবেন। এর আগে চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ২ লাখ টাকার ওপরে শুল্ককর পরিশোধে ই-পেমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু হয়ে ছিল।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম আজকের পত্রিকাকে জানান, ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের আমদানিকারক ও সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা ই-পেমেন্টে শুল্ককর পরিশোধে অভ্যস্ত হয়ে গেছেন। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে শতভাগ ই-পেমেন্টে ব্যবস্থা কার্যকরের বিষয়ে আমদানিকারকসহ সংশ্লিষ্টরা অবগত আছেন। ই-পেমেন্টে সামান্য কিছু ত্রুটি দেখা যাচ্ছে, তা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে জানানো হয়েছে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সহজেই ই-পেমেন্ট রাজস্ব পরিশোধ করা যাচ্ছে।

জুবলীরোডের আমদানিকারক মেসার্স তানজিম এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ফখরুল ইসলাম জানান, ই-পেমেন্টে ব্যবস্থা শতভাগ কার্যকর হলে দেশে জাল-জালিয়াতি, মিথ্যা-তথ্য দিয়ে আমদানিকারকদের কাছ থেকে শুল্ককর বাবদ সিএন্ডএফ এজেন্টদের অতিরিক্ত অর্থ আদায় কমে যাবে।

ব্যবসায়ী ফখরুল ইসলাম জানান, কাস্টমসের সফটওয়্যারে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা মাঝে মাঝে কারিগরি ত্রুটির কারণে ধীর গতির হয়ে যায়। তখন শুল্ককর পরিশোধ প্রক্রিয়া বিলম্ব হয়। অনেক সময় শুল্ক পরিশোধ করার পরও নম্বর পেতে বিলম্ব হয়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সিস্টেম এনালিস্ট মোহাম্মদ আহসান হাবিব সুমন বলেন, ‘ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা আমদানিকারক দেশের যে কোনো তফসিলি ব্যাংক থেকে শুল্ক পরিশোধ করতে পারবেন। ব্যাংকের যে শাখা থেকে শুল্ক পরিশোধ করা হবে সেই ব্যাংকের সঙ্গে সোনালী ব্যাংক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস শাখার মধ্যে গেটওয়ে হিসেবে কাজ করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট (আরটিজিএস) ব্যবস্থা। ই-পেমেন্টের একমাত্র গেটওয়ে সোনালী ব্যাংক।’

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ই-পেমেন্টে শুল্ক পরিশোধ করতে ৬ ধরনের তথ্য প্রয়োজন হয়। বিল অব এন্ট্রি নম্বর, অর্থ বছর, কাস্টম হাউসের অফিস কোড, পরিশোধকৃত শুল্কের পরিমাণ, এজেন্ট আইডেনটিফিকেশন নম্বর (এআইএন) এবং মোবাইল ফোন নম্বর।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সূত্র জানায়, প্রতিদিন গড়ে ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব দাখিল হয় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে। এর মধ্যে ২ হাজার আমদানি পণ্যের ও ৫ হাজার রপ্তানি পণ্যের। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৫০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয় এই শুল্ক স্টেশনে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

কারা পরিদর্শক হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক

ট্রাম্পের অভিষেক: সি আমন্ত্রণ পেলেও পাননি মোদি, থাকছেন আরও যাঁরা

ট্রাম্পের শপথের আগেই বার্নিকাটসহ তিন কূটনীতিককে পদত্যাগের নির্দেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতিকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে: সলিমুল্লাহ খান

সংস্কারের কিছু প্রস্তাবে মনঃক্ষুণ্ন বিএনপি

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত