Ajker Patrika

চুকনগরে গণহত্যার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে দেখতে চাই

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা
আপডেট : ২৬ মে ২০২২, ১৪: ০৯
চুকনগরে গণহত্যার ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে দেখতে চাই

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ঠাঁই করে দিতে হবে চুকনগরের গণহত্যা। প্রজন্মকে জানাতে তুলে ধরতে হবে আমাদের পাঠ্যপুস্তকে। মানব ইতিহাসের বীভৎসতম এ গণহত্যা ইতিহাসে ঠাঁই দিয়ে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা আমাদের কর্তব্য। গত মঙ্গলবার বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উদ্যোগে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে ‘চুকনগরের গণহত্যার ৫১ বছর’-শীর্ষক আলোচনা সভায় কমিটির নেতারা এ সব কথা বলেন।

সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের জেলা সভাপতি ডা: শেখ বাহারুল আলম। সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। সূচনা বক্তব্য পাঠ করেন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আবুল ফজল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি মফিদুল ইসলাম, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের প্রসেনজিৎ দত্ত, ক্ষুধা মুক্ত আন্দোলনের সভাপতি আহসান হাবিব, প্রকাশ চন্দ্র রায়, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের মহানগরের নেতা বিশ্বজিৎ দে মিঠু, তৃষ্ণা দাস, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মহানগর কমিটির সভাপতি অর্চিষ্মাণ দেবনাথ, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আশিষ বিশ্বাস, আগুয়ান-৭১ এর আবিদ শান্ত প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার চুকনগরে ১৯৭১ সালের ২০ মে পাকিস্তানি বাহিনী যে গণহত্যা চালিয়েছিল, সংখ্যার ভিত্তিতে তা ছিল বৃহত্তম। ওই দিন ঠিক কতজন মানুষের মৃত্যু হয়েছিল, তা আজও জানা যায়নি। কারণ নিহতরা ছিল অস্থানীয়। তবে এই সংখ্যা কোনোক্রমে ১০ হাজারের কম নয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে সংঘটিত নৃশংসতম গণহত্যার ইতিহাস আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। আমরা যদি ব্যাপকভাবে বাংলাদেশের গণহত্যার বিষয়টি তুলে ধরতে পারি তাহলে বিশ্বজনতার মানস-জগতে গণহত্যার ইতিহাস স্থায়ী রূপ পাবে।

বক্তারা আরও বলেন, বাংলাদেশের গণহত্যার চরিত্র বিচার করলে দেখা যায় উদ্দেশ্য ও সংখ্যা দুটোর বিচারেই বাংলাদেশের গণহত্যা অনেক বড়। ১৯৭১ সালে পাকিস্তানি শাসকদের উদ্দেশ্যই ছিল একটি যে যারা স্বাধীনতার চেতনায় এক হয়েছে, তাদেরকে ধ্বংস করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত