রাহুল শর্মা, ঢাকা
পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ বাগাতে এবার সরকারি দরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দর দিয়েছেন মুদ্রণকারীরা। ফলে আবারও নিম্নমানের বই ছাপানোর সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, গত বছর ২৪ শতাংশ কম দরে ছাপানোর কাজ নেওয়ার পর নিম্নমানের বই সরবরাহের শঙ্কা সত্যি হয়েছিল। নিম্নমানের বই ছাপানোর দায়ে তিন মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে ও ১১ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মুচলেকা নেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছর কম দরে কাজ নিয়ে মুদ্রণকারীরা বেশি মুনাফা করতে নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছিলেন। অথচ কাগজ ও ডলারের সংকটের অজুহাতে অসাধু মুদ্রণকারীদের বিরুদ্ধে নামমাত্র ব্যবস্থা নিয়েছিল এনসিটিবি।
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে সরকার। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩২ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানো হবে। এসব ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
এনসিটিবি থেকে জানা যায়, প্রাথমিক স্তরের বই ছাপাতে ৯৮ লট, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য ২০০ লট ও প্রাক্-প্রাথমিকের জন্য ৩০ লটে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এবার প্রাথমিকের বই প্রতি ফর্মা (৮ পৃষ্ঠা) ৩ টাকা ১৫ পয়সা এবং মাধ্যমিকের বই প্রতি ফর্মার (৮ পৃষ্ঠা) প্রাক্কলন করা হয় ৩ টাকা ১০ পয়সা। দরপত্রে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ৩০ শতাংশ কম দর দিয়েছেন মুদ্রণকারীরা। বাকি রয়েছে অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য ২০০ লটের দরপত্র আহ্বান। শিগগিরই এই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
এনসিটিবি সূত্র বলেছে, বিদেশি প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে ঠেকাতে মুদ্রণকারীদের একটি চক্র দরপত্রে পরিকল্পিতভাবে অস্বাভাবিক কম দর দিয়েছে। বিষয়টি এখন এনসিটিবির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে রয়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির এক সদস্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গতবারের মতো এবারও মুদ্রণকারীদের সংঘবদ্ধ একটি চক্র প্রাক্কলিত (যে দরে বই ছাপাতে চায় এনসিটিবি) দরের চেয়ে কম দরে দিয়েছে। কাজ পেলে কম দরেও এই অসাধু মুদ্রণকারীরা মুনাফা ঠিকই করবেন। ফলে কমবে বইয়ের মান। গত বছরের মতো আগামী শিক্ষাবর্ষের বইও হবে নিম্নমানের।
বই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ২১ মে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এবারও দরপত্রের দর নিয়ে শঙ্কিত। কারণ, কম দর দিয়ে কাজ নিয়ে অসাধু মুদ্রণকারীরা নিম্নমানের বই সরবরাহ করতে পারে।’ তবে এবার মানসম্মত বই পেতে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দরপত্র দাখিলের সময় আমরা যে নমুনা কাগজ দিয়েছিলাম, তার বাইরের কাগজে বই ছাপালে তা নেব না।’
তবে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি এবং পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, কম দরে কাজ পেয়ে গতবার নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছিল অসাধু মুদ্রণকারীরা। এবারও কম দরে কাজ নিয়ে একইভাবে নিম্নমানের বই সরবরাহ করবে। আর এর জন্য দায়ী এনসিটিবি। কারণ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তারা দৃষ্টান্তমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দরে কাজ নিয়ে কোনোভাবেই মানসম্মত বই সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এবার এনসিটিবি কাগজের উজ্জ্বলতা কিছুটা শিথিল করায় (গত বছর দরপত্রের শর্তে কাগজে পাল্প ছিল ৮৫, এবার ৮০ শতাংশ) নিউজপ্রিন্টেও বই ছাপাতে পারে কেউ কেউ।
প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দর দেওয়ার ঘটনা প্রথম ঘটে ২০১৬ সালে। শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে বই হাতে পেলে দেখা যায় অধিকাংশই নিম্নমানের। সে সময় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরপরও কয়েক বছর ধরে একই কৌশলে বই ছাপার কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজ বাগাতে এবার সরকারি দরের চেয়ে ৩০ শতাংশ কম দর দিয়েছেন মুদ্রণকারীরা। ফলে আবারও নিম্নমানের বই ছাপানোর সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ, গত বছর ২৪ শতাংশ কম দরে ছাপানোর কাজ নেওয়ার পর নিম্নমানের বই সরবরাহের শঙ্কা সত্যি হয়েছিল। নিম্নমানের বই ছাপানোর দায়ে তিন মুদ্রণকারী প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করে ও ১১ প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মুচলেকা নেয় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, গত বছর কম দরে কাজ নিয়ে মুদ্রণকারীরা বেশি মুনাফা করতে নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছিলেন। অথচ কাগজ ও ডলারের সংকটের অজুহাতে অসাধু মুদ্রণকারীদের বিরুদ্ধে নামমাত্র ব্যবস্থা নিয়েছিল এনসিটিবি।
দেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের ২০১০ সাল থেকে বিনা মূল্যে নতুন পাঠ্যবই দিচ্ছে সরকার। আগামী বছরের জন্য প্রাক্-প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তর মিলিয়ে প্রায় ৩২ কোটি কপি পাঠ্যবই ছাপানো হবে। এসব ছাপানো ও বিতরণে খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ৮০০ কোটি টাকা।
এনসিটিবি থেকে জানা যায়, প্রাথমিক স্তরের বই ছাপাতে ৯৮ লট, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির জন্য ২০০ লট ও প্রাক্-প্রাথমিকের জন্য ৩০ লটে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। এবার প্রাথমিকের বই প্রতি ফর্মা (৮ পৃষ্ঠা) ৩ টাকা ১৫ পয়সা এবং মাধ্যমিকের বই প্রতি ফর্মার (৮ পৃষ্ঠা) প্রাক্কলন করা হয় ৩ টাকা ১০ পয়সা। দরপত্রে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে গড়ে ৩০ শতাংশ কম দর দিয়েছেন মুদ্রণকারীরা। বাকি রয়েছে অষ্টম ও নবম শ্রেণির জন্য ২০০ লটের দরপত্র আহ্বান। শিগগিরই এই দরপত্র আহ্বান করা হবে।
এনসিটিবি সূত্র বলেছে, বিদেশি প্রকাশনা সংস্থাগুলোকে ঠেকাতে মুদ্রণকারীদের একটি চক্র দরপত্রে পরিকল্পিতভাবে অস্বাভাবিক কম দর দিয়েছে। বিষয়টি এখন এনসিটিবির দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিতে রয়েছে। সেখান থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় হয়ে ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের জন্য যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির এক সদস্য আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, গতবারের মতো এবারও মুদ্রণকারীদের সংঘবদ্ধ একটি চক্র প্রাক্কলিত (যে দরে বই ছাপাতে চায় এনসিটিবি) দরের চেয়ে কম দরে দিয়েছে। কাজ পেলে কম দরেও এই অসাধু মুদ্রণকারীরা মুনাফা ঠিকই করবেন। ফলে কমবে বইয়ের মান। গত বছরের মতো আগামী শিক্ষাবর্ষের বইও হবে নিম্নমানের।
বই ছাপানো ও বিতরণের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠান এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলামও এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ২১ মে আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘আমরা এবারও দরপত্রের দর নিয়ে শঙ্কিত। কারণ, কম দর দিয়ে কাজ নিয়ে অসাধু মুদ্রণকারীরা নিম্নমানের বই সরবরাহ করতে পারে।’ তবে এবার মানসম্মত বই পেতে কঠোর হওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন, ‘দরপত্র দাখিলের সময় আমরা যে নমুনা কাগজ দিয়েছিলাম, তার বাইরের কাগজে বই ছাপালে তা নেব না।’
তবে বাংলাদেশ মুদ্রণ শিল্প সমিতির সাবেক সভাপতি এবং পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও বিপণন সমিতির সভাপতি তোফায়েল খান বলেন, কম দরে কাজ পেয়ে গতবার নিম্নমানের বই সরবরাহ করেছিল অসাধু মুদ্রণকারীরা। এবারও কম দরে কাজ নিয়ে একইভাবে নিম্নমানের বই সরবরাহ করবে। আর এর জন্য দায়ী এনসিটিবি। কারণ, অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে তারা দৃষ্টান্তমূলক কোনো ব্যবস্থা নেয় না।
এনসিটিবির একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দরে কাজ নিয়ে কোনোভাবেই মানসম্মত বই সরবরাহ করা সম্ভব নয়। এবার এনসিটিবি কাগজের উজ্জ্বলতা কিছুটা শিথিল করায় (গত বছর দরপত্রের শর্তে কাগজে পাল্প ছিল ৮৫, এবার ৮০ শতাংশ) নিউজপ্রিন্টেও বই ছাপাতে পারে কেউ কেউ।
প্রাক্কলিত দরের চেয়ে কম দর দেওয়ার ঘটনা প্রথম ঘটে ২০১৬ সালে। শিক্ষার্থীরা ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে বই হাতে পেলে দেখা যায় অধিকাংশই নিম্নমানের। সে সময় এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এরপরও কয়েক বছর ধরে একই কৌশলে বই ছাপার কাজ বাগিয়ে নিচ্ছে সংঘবদ্ধ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে