রাশেদ রাব্বি, ঢাকা
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার ফি পূর্বঘোষণা ও প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বাড়িয়ে দিয়েছে। ফি বেড়েছে সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০% পর্যন্ত। কোনো কোনো পরীক্ষার ফি বেসরকারি হাসপাতালকেও ছাড়িয়ে গেছে। সাধারণ পরীক্ষাগুলোর ব্যয় সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেড়েছে শতভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করা বিভাগগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেট আরও ভারী করতেই স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি নিজে নিজে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর করেছে। কারণ, পরীক্ষার ফি হিসেবে আয়ের একটি অংশ ইউজার ফি বাবদ তাঁরা পান। বছরে এই অর্থের পরিমাণ তিন থেকে পাঁচটি মূল বেতনের সমান। তাঁদের খুশি রাখতেই দুর্মূল্যের বাজারে রোগীদের আর্থিক চাপে ফেলা হলো। গরিবের চিকিৎসাকেন্দ্রে বড়লোকি ফি বসিয়ে রোগীর ব্যয় বাড়ানো হলো।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সেবামূল্য ইচ্ছেমতো বাড়ানোর সুযোগ নেই। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কোনো সেবামূল্য বাড়াতে হলে প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে অর্থ কমিটির সুপারিশক্রমে সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিতে হবে। আমার জানামতে, এবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য বাড়াতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।’
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, বর্তমানে এখানে দিনে গড়ে ১০ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। রোগীদের বেশির ভাগই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। তাদের অধিকাংশকেই বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে হয়। অনেককে ৭ দিন, ১৫ দিন, এক মাস পরপরও পরীক্ষা করাতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি মেডিসিন, হেমাটোলজি, ভাইরোলজি, মাইক্রো-বায়োলজি এবং রেডিওলজি বিভাগে এসব পরীক্ষা করা হয়। সম্প্রতি এসব বিভাগের শতাধিক পরীক্ষার মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এই বর্ধিত মূল্য কার্যকর হয়েছে।
কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলেন, আর্থিক সামর্থ্য নেই বা কম বলেই তাঁরা এই হাসপাতালে আসেন। কিন্তু এখানে পরীক্ষার মূল্যও যদি বেসরকারি হাসপাতালের মতো হয়, তবে তাঁরা চিকিৎসার জন্য যাবেন কোথায়? নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর মূল্য চড়া, এর ওপর এই বাড়তি মূল্য তাঁদের আরও চাপে ফেলেছে।
জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবাকে মুনাফা লাভের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। জনদুর্ভোগের বিষয়টি কারও বিবেচনায় নেই। সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থায় এ ধরনের লুণ্ঠন চলতে দেওয়া যায় না।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গত ২০ এপ্রিল বেসরকারি হাসপাতালের রোগ নির্ণয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয় মূল্য নির্ধারণ করা আছে।
বিএসএমএমইউর প্রশাসন সূত্র জানায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে এখানে পরীক্ষার ফি সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেশি হবে। তবে বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে কম হবে। কিন্তু বর্তমানে সব বিভাগের ফি সরকারি হাসপাতালের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ আর বেসরকারি হাসপাতালের সমান, ক্ষেত্রবিশেষে বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউর রোগ নির্ণয় পরীক্ষার আগের মূল্যের সঙ্গে নতুন মূল্যতালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, হেমাটোলজি বিভাগে পরীক্ষার মূল্য বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, ৫০ থেকে ৬০০ শতাংশ। ভাইরোলজি বিভাগে ১৪ থেকে ৩৬ শতাংশ এবং ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগে গড়ে ২০ শতাংশ মূল্য বেড়েছে।
হেমাটোলজি বিভাগে এপিটিটি পরীক্ষার মূল্য ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ফ্যাক্টর পরীক্ষা ১ হাজার থেকে একলাফে ৭ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ২০০ টাকার প্রোটিন পরীক্ষা ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই বিভাগের ৪২টি পরীক্ষার মূল্য বাড়ানো হয়েছে। সিবিসি পরীক্ষার মূল্য ৩৫০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ১৫০ ও বেসরকারিতে ৩৫০-৪০০ টাকা), হিমোগ্লোবিন ৩৫০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ৩০ টাকা)। বিটি-সিটি ১২০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ৩০ টাকা), এইচবিএসএজি ৩৫০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ১৫০ টাকা), ইসিজি ১০০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ৮০ টাকা), কালার ডপলার ২ হাজার টাকা (সরকারিতে ৬০০ টাকা), ১ হাজার টাকার হল্টার ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
হেমাটোলজি ইস্টিমেশন ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০ টাকা, থ্রোমবিন টাইম ৮০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ২০০ টাকা, ভিডব্লিউ এজি ৫ হাজার থেকে করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। বোন ম্যারো (প্যাকেজ) ছিল ২ হাজার টাকা, এখন ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলর বায়োলজি বিভাগের রক্তের পরীক্ষাগুলো ছিল ৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, সেগুলো করা হয়েছে ৬০ থেকে ৪৮০ টাকা। যকৃতের পরীক্ষা ১০০-৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০-৩৬০ টাকা, লিপিড প্রোফাইল গ্রুপ ১৫০-৬০০ থেকে বেড়ে ১৮০-৭০০ টাকা, রিপ্রোডাকটিভ পরীক্ষা ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে।
ভাইরোলজি বিভাগের হেপাটাইটিস প্যানেলের মূল্য আগে ছিল ৩৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, এখন ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এইচবিএসএজি (সমন্বিত) আগে ছিল ১ হাজার টাকা, বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা, অ্যান্টি ডেঙ্গু ও অ্যান্টি চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। অ্যান্টি ডেঙ্গু, অ্যান্টি চিকুনগুনিয়া (আইজিজি, আইজিএম) ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ও ১ হাজার ২০০ টাকা, বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। টিস্যু টাইপিং পরীক্ষা ৫ হাজার থেকে বেড়ে ৭ হাজার টাকা এবং এ+বি+ডিআর পরীক্ষা ১১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার পর পরীক্ষার সেবামূল্য বাড়ানোর অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমি আসার আগে এটা হয়ে থাকতে পারে। আমি মনে করি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মান হবে সেরা, দাম হবে কম। এসব বিষয় আমার নজরে আসতে শুরু করেছে, শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব বলেন, সেবামূল্য বাড়াতে হলে অবশ্যই বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে আবেদন করে প্রশাসনিক অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া বাড়ানোটা যুক্তিযুক্ত কি না, সেটাও দেখতে হবে।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার ফি পূর্বঘোষণা ও প্রশাসনের অনুমোদন ছাড়াই বাড়িয়ে দিয়েছে। ফি বেড়েছে সর্বনিম্ন ১৪ থেকে সর্বোচ্চ ৬০০% পর্যন্ত। কোনো কোনো পরীক্ষার ফি বেসরকারি হাসপাতালকেও ছাড়িয়ে গেছে। সাধারণ পরীক্ষাগুলোর ব্যয় সরকারি হাসপাতালের তুলনায় বেড়েছে শতভাগ।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষা করা বিভাগগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পকেট আরও ভারী করতেই স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানটি নিজে নিজে এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর করেছে। কারণ, পরীক্ষার ফি হিসেবে আয়ের একটি অংশ ইউজার ফি বাবদ তাঁরা পান। বছরে এই অর্থের পরিমাণ তিন থেকে পাঁচটি মূল বেতনের সমান। তাঁদের খুশি রাখতেই দুর্মূল্যের বাজারে রোগীদের আর্থিক চাপে ফেলা হলো। গরিবের চিকিৎসাকেন্দ্রে বড়লোকি ফি বসিয়ে রোগীর ব্যয় বাড়ানো হলো।
বিএসএমএমইউর উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো সেবামূল্য ইচ্ছেমতো বাড়ানোর সুযোগ নেই। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে কোনো সেবামূল্য বাড়াতে হলে প্রশাসনিক অনুমোদন নিয়ে অর্থ কমিটির সুপারিশক্রমে সিন্ডিকেটের অনুমোদন নিতে হবে। আমার জানামতে, এবার পরীক্ষা-নিরীক্ষার মূল্য বাড়াতে এই প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।’
বিএসএমএমইউ সূত্র জানায়, বর্তমানে এখানে দিনে গড়ে ১০ হাজার রোগী চিকিৎসা নিতে আসে। রোগীদের বেশির ভাগই নিম্ন ও মধ্যবিত্ত। তাদের অধিকাংশকেই বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে হয়। অনেককে ৭ দিন, ১৫ দিন, এক মাস পরপরও পরীক্ষা করাতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি মেডিসিন, হেমাটোলজি, ভাইরোলজি, মাইক্রো-বায়োলজি এবং রেডিওলজি বিভাগে এসব পরীক্ষা করা হয়। সম্প্রতি এসব বিভাগের শতাধিক পরীক্ষার মূল্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের আগেই এই বর্ধিত মূল্য কার্যকর হয়েছে।
কয়েকজন রোগী ও তাঁদের স্বজনেরা বলেন, আর্থিক সামর্থ্য নেই বা কম বলেই তাঁরা এই হাসপাতালে আসেন। কিন্তু এখানে পরীক্ষার মূল্যও যদি বেসরকারি হাসপাতালের মতো হয়, তবে তাঁরা চিকিৎসার জন্য যাবেন কোথায়? নিত্যপণ্যসহ সবকিছুর মূল্য চড়া, এর ওপর এই বাড়তি মূল্য তাঁদের আরও চাপে ফেলেছে।
জনস্বাস্থ্য সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ডা. ফয়জুল হাকিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যসেবাকে মুনাফা লাভের প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা হয়েছে। জনদুর্ভোগের বিষয়টি কারও বিবেচনায় নেই। সরকারি স্বাস্থ্যব্যবস্থায় এ ধরনের লুণ্ঠন চলতে দেওয়া যায় না।
স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন গত ২০ এপ্রিল বেসরকারি হাসপাতালের রোগ নির্ণয়ের মূল্য নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছিলেন। দেশের সব সরকারি হাসপাতালে রোগ নির্ণয় মূল্য নির্ধারণ করা আছে।
বিএসএমএমইউর প্রশাসন সূত্র জানায়, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে এখানে পরীক্ষার ফি সরকারি হাসপাতালের চেয়ে বেশি হবে। তবে বেসরকারি হাসপাতালের চেয়ে কম হবে। কিন্তু বর্তমানে সব বিভাগের ফি সরকারি হাসপাতালের চেয়ে তিন থেকে চার গুণ আর বেসরকারি হাসপাতালের সমান, ক্ষেত্রবিশেষে বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিএসএমএমইউর রোগ নির্ণয় পরীক্ষার আগের মূল্যের সঙ্গে নতুন মূল্যতালিকা বিশ্লেষণে দেখা যায়, হেমাটোলজি বিভাগে পরীক্ষার মূল্য বেড়েছে সবচেয়ে বেশি, ৫০ থেকে ৬০০ শতাংশ। ভাইরোলজি বিভাগে ১৪ থেকে ৩৬ শতাংশ এবং ল্যাবরেটরি মেডিসিন বিভাগে গড়ে ২০ শতাংশ মূল্য বেড়েছে।
হেমাটোলজি বিভাগে এপিটিটি পরীক্ষার মূল্য ৪০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ হাজার ৫০০ টাকা, ফ্যাক্টর পরীক্ষা ১ হাজার থেকে একলাফে ৭ হাজার টাকা এবং ১ হাজার ২০০ টাকার প্রোটিন পরীক্ষা ৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এই বিভাগের ৪২টি পরীক্ষার মূল্য বাড়ানো হয়েছে। সিবিসি পরীক্ষার মূল্য ৩৫০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ১৫০ ও বেসরকারিতে ৩৫০-৪০০ টাকা), হিমোগ্লোবিন ৩৫০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ৩০ টাকা)। বিটি-সিটি ১২০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ৩০ টাকা), এইচবিএসএজি ৩৫০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ১৫০ টাকা), ইসিজি ১০০ টাকা (সরকারি হাসপাতালে ৮০ টাকা), কালার ডপলার ২ হাজার টাকা (সরকারিতে ৬০০ টাকা), ১ হাজার টাকার হল্টার ২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে।
হেমাটোলজি ইস্টিমেশন ১০০ টাকা থেকে বেড়ে ৩৫০ টাকা, থ্রোমবিন টাইম ৮০০ থেকে বেড়ে ১ হাজার ২০০ টাকা, ভিডব্লিউ এজি ৫ হাজার থেকে করা হয়েছে ৬ হাজার টাকা। বোন ম্যারো (প্যাকেজ) ছিল ২ হাজার টাকা, এখন ৩ হাজার থেকে ৩ হাজার ৫০০ টাকা।
বায়োকেমিস্ট্রি অ্যান্ড মলিকিউলর বায়োলজি বিভাগের রক্তের পরীক্ষাগুলো ছিল ৫০ থেকে ৪০০ টাকায়, সেগুলো করা হয়েছে ৬০ থেকে ৪৮০ টাকা। যকৃতের পরীক্ষা ১০০-৩০০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০-৩৬০ টাকা, লিপিড প্রোফাইল গ্রুপ ১৫০-৬০০ থেকে বেড়ে ১৮০-৭০০ টাকা, রিপ্রোডাকটিভ পরীক্ষা ৩০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে।
ভাইরোলজি বিভাগের হেপাটাইটিস প্যানেলের মূল্য আগে ছিল ৩৫০ থেকে ১ হাজার টাকা, এখন ৪০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। এইচবিএসএজি (সমন্বিত) আগে ছিল ১ হাজার টাকা, বেড়ে হয়েছে ১ হাজার ২০০ টাকা, অ্যান্টি ডেঙ্গু ও অ্যান্টি চিকুনগুনিয়া পরীক্ষা ৬০০ থেকে বাড়িয়ে ৭০০ টাকা করা হয়েছে। অ্যান্টি ডেঙ্গু, অ্যান্টি চিকুনগুনিয়া (আইজিজি, আইজিএম) ছিল যথাক্রমে ১ হাজার ও ১ হাজার ২০০ টাকা, বাড়িয়ে করা হয়েছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। টিস্যু টাইপিং পরীক্ষা ৫ হাজার থেকে বেড়ে ৭ হাজার টাকা এবং এ+বি+ডিআর পরীক্ষা ১১ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১৫ হাজার টাকা করা হয়েছে।
রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার মূল্যবৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. দীন মোহাম্মদ নূরুল হক বলেন, ‘আমি যোগ দেওয়ার পর পরীক্ষার সেবামূল্য বাড়ানোর অনুমোদন নেওয়া হয়নি। আমি আসার আগে এটা হয়ে থাকতে পারে। আমি মনে করি, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার মান হবে সেরা, দাম হবে কম। এসব বিষয় আমার নজরে আসতে শুরু করেছে, শিগগির এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. রশীদ ই মাহবুব বলেন, সেবামূল্য বাড়াতে হলে অবশ্যই বিভাগগুলোর পক্ষ থেকে আবেদন করে প্রশাসনিক অনুমোদন নিতে হবে। এ ছাড়া বাড়ানোটা যুক্তিযুক্ত কি না, সেটাও দেখতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে