মাহিদুল ইসলাম, কমলগঞ্জ (মৌলভীবাজার)
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবাধে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াত বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক, বানরসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র বদলেছে। এখন আর আগের মতো বন্য প্রাণীদের বিচরণ করতে দেখা যায় না।
এর মূল কারণ হিসেবে বন এলাকায় অতিরিক্ত লোকসমাগম, বনের গাছ উজাড় এবং বন দখলকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবেশবাদীরা। এ ছাড়া বনের ভেতর দিয়ে রেল ও সড়কপথে অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করায় প্রাণীদের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অনেক সময় রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির যানবাহনের চাপায় প্রাণী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, বনের প্রাণীদের নিরাপদ রাখতে প্রথমে বনকে নিরাপদ রাখতে হবে। তাহলে প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারবে। এক দশক আগে বনের ঘনত্ব ও প্রাণীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন বনের ঘনত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসছে প্রাণীর সংখ্যাও।
আগে বনের ভেতর প্রবেশ করলে গাছে গাছে উল্লুক, বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যেত। এসব দৃশ্য এখন দেখা যায় না। বনে প্রাণীদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বন ও টিলা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা ও পর্যটনকেন্দ্র উচ্ছেদ এবং অবাধে বনের গাছ পাচার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের ভিড়ের কারণে বন্য প্রাণীদের অবাধ বিচরণ সীমিত হয়েছে। দল বেঁধে আসা লোকজন অনেক সময় বনের ভেতরে বনভোজনের আয়োজন করে। এতে প্রাণীদের অবাধ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তাই বনের ভেতর মানুষের চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ সালের দিকে লাউয়াছড়ায় উল্লুকের সংখ্যা কিছু কমে এলেও এখন আবার বেড়ে গেছে।
জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির কমলগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, বনে প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে না পারলেও মানুষ বাধাহীন চলাচল করছে। বনের জায়গা দখল, বন উজাড়, অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে প্রাণীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। আগের মতো এখন আর বনে প্রাণী নেই। বনে উঁচু ও বৃহদাকার গাছ কমে যাওয়ার কারণে বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক কমে গেছে। বনকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে বাকি প্রাণীগুলোও একসময় হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বনে প্রাণীর সংখ্যা কমেনি, আগের মতোই আছে। তবে লাউয়াছড়ায় এখন বন্য প্রাণী আগের মতো বিচরণ করতে পারছে না। বনের ভেতর অতিরিক্ত মানুষ চলাচলের কারণে প্রাণীরা লোকালয়ে কম আসে। তবে রাতে ও ভোরে কিছু প্রাণী দেখা যায়।’
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর বন্য প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারছে না। এ জন্য তারা সব সময় বনের গভীরে থাকে। অতিরিক্ত মানুষ চলাচল এবং তারা ভেতরে প্রবেশ করায় প্রাণীরা ভয়ে বনের গভীরে চলে যায়। বনের ভেতর পর্যটক কম প্রবেশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগে বনের ভেতর দিয়ে মানুষ ও গাড়ি চলাচল কম ছিল, এ জন্য প্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসত। এখন ভয়ে তারা বাইরে আসে না।’
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
খুব বেশি দিন আগের কথা নয়, মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অবাধে দল বেঁধে ঘুরে বেড়াত বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক, বানরসহ বিভিন্ন বন্য প্রাণী। কিন্তু গত কয়েক বছরে সেই চিত্র বদলেছে। এখন আর আগের মতো বন্য প্রাণীদের বিচরণ করতে দেখা যায় না।
এর মূল কারণ হিসেবে বন এলাকায় অতিরিক্ত লোকসমাগম, বনের গাছ উজাড় এবং বন দখলকে দায়ী করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও পরিবেশবাদীরা। এ ছাড়া বনের ভেতর দিয়ে রেল ও সড়কপথে অতিরিক্ত গাড়ি চলাচল করায় প্রাণীদের অবাধ বিচরণ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মনে করছেন তাঁরা। অনেক সময় রাস্তা পারাপারের সময় দ্রুতগতির যানবাহনের চাপায় প্রাণী মৃত্যুর ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় পরিবেশবাদীরা বলছেন, বনের প্রাণীদের নিরাপদ রাখতে প্রথমে বনকে নিরাপদ রাখতে হবে। তাহলে প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারবে। এক দশক আগে বনের ঘনত্ব ও প্রাণীর সংখ্যা বেশি ছিল। এখন বনের ঘনত্ব কমার সঙ্গে সঙ্গে কমে আসছে প্রাণীর সংখ্যাও।
আগে বনের ভেতর প্রবেশ করলে গাছে গাছে উল্লুক, বানর ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখি এবং স্তন্যপায়ী প্রাণী দেখা যেত। এসব দৃশ্য এখন দেখা যায় না। বনে প্রাণীদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। বন ও টিলা দখল করে গড়ে তোলা অবৈধ স্থাপনা ও পর্যটনকেন্দ্র উচ্ছেদ এবং অবাধে বনের গাছ পাচার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশবাদীরা।
বন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে পর্যটক ও স্থানীয় মানুষের ভিড়ের কারণে বন্য প্রাণীদের অবাধ বিচরণ সীমিত হয়েছে। দল বেঁধে আসা লোকজন অনেক সময় বনের ভেতরে বনভোজনের আয়োজন করে। এতে প্রাণীদের অবাধ চলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। তাই বনের ভেতর মানুষের চলাচল সীমিত করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। বন বিভাগের তথ্যমতে, ২০১৫-১৬ সালের দিকে লাউয়াছড়ায় উল্লুকের সংখ্যা কিছু কমে এলেও এখন আবার বেড়ে গেছে।
জীববৈচিত্র্য রক্ষা কমিটির কমলগঞ্জের সাধারণ সম্পাদক মো. আহাদ মিয়া বলেন, বনে প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে না পারলেও মানুষ বাধাহীন চলাচল করছে। বনের জায়গা দখল, বন উজাড়, অতিরিক্ত গাড়ি চলাচলের কারণে প্রাণীর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। আগের মতো এখন আর বনে প্রাণী নেই। বনে উঁচু ও বৃহদাকার গাছ কমে যাওয়ার কারণে বিলুপ্তপ্রায় উল্লুক কমে গেছে। বনকে নিরাপদ হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে বাকি প্রাণীগুলোও একসময় হারিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
লাউয়াছড়া বন রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বনে প্রাণীর সংখ্যা কমেনি, আগের মতোই আছে। তবে লাউয়াছড়ায় এখন বন্য প্রাণী আগের মতো বিচরণ করতে পারছে না। বনের ভেতর অতিরিক্ত মানুষ চলাচলের কারণে প্রাণীরা লোকালয়ে কম আসে। তবে রাতে ও ভোরে কিছু প্রাণী দেখা যায়।’
বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগের সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানের ভেতর বন্য প্রাণীরা অবাধে বিচরণ করতে পারছে না। এ জন্য তারা সব সময় বনের গভীরে থাকে। অতিরিক্ত মানুষ চলাচল এবং তারা ভেতরে প্রবেশ করায় প্রাণীরা ভয়ে বনের গভীরে চলে যায়। বনের ভেতর পর্যটক কম প্রবেশের উদ্যোগ নেওয়া হবে। আগে বনের ভেতর দিয়ে মানুষ ও গাড়ি চলাচল কম ছিল, এ জন্য প্রাণীরা লোকালয়ে চলে আসত। এখন ভয়ে তারা বাইরে আসে না।’
লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে ৪৬০ প্রজাতির দুর্লভ উদ্ভিদ ও প্রাণী রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ১৬৭ প্রজাতির উদ্ভিদ, ৪ প্রজাতির উভচর, ৬ প্রজাতির সরীসৃপ, ২৪৬ প্রজাতির পাখি এবং ২০ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী রয়েছে। ১৯৯৬ সালে লাউয়াছড়াকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে