মানিকগঞ্জের ঘিওর সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনের দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষে স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ তাঁর পাঁচ কর্মী আহত হয়েছেন। এ সময় চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে। গত শুক্রবার দুপুর ও সন্ধ্যায় দুই দফায় ঘিওর সদর ইউনিয়নের বাটরাকান্দি ও কালাচাঁদপুর এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়।

গতকাল রাত নয়টার দিকে আহত স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. অহিদুল ইসলাম টুটুলকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহত পিয়াস, বাদল, সোহেল, রোমান, টিটু ঘিওর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন।

জানা গেছে, ঘিওর সদর ইউপির নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে লড়ছেন হামিদুর রহমান আলাই। দলের মনোনয়ন না পেয়ে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. অহিদুল ইসলাম টুটুল।

হামলায় আহত পিয়াস বলেন, ‘জুমার নামাজ শেষে আমরা একটি বাড়িতে দাওয়াত খেয়ে টুটুল ভাইকে নিয়ে হ্যান্ডবিল বিলি করতে করতে বাটরাকান্দির ভেতর দিয়ে যাচ্ছিলাম। পথিমধ্যে মোটরসাইকেল যোগে এসে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকেরা অহিদুল ইসলাম টুটুলসহ তাঁর লোকজনের ওপর দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। তাতে ছয়জন আহত হন।’

পিয়াস বলেন, এ খবর জানাজানি হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীর গ্রামের লোকজন মিছিল নিয়ে বাটরাকান্দি এলাকায় যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

তবে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী হামিদুর রহমান আলাই পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারকাজে বাধা দিয়েছে টুটুলের কর্মী-সমর্থকেরা। এর প্রতিবাদ করায় আমার কর্মী-সমর্থকদের গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমার কর্মীদের গায়ে হাত তুলেছে।’

ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, ‘সংঘর্ষের ঘটনায় কোনো পক্ষ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে গতকাল শনিবার দুপুরে ঘিওরে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী টুটুলের ওপর হামলার প্রতিবাদে মৌন মিছিল ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।