সিলেট প্রতিনিধি
সিলেট সিটি করপোরেশনের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রকাশ্যে কথা বলছেন না কেউ।
তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের না যাওয়া যথার্থ মনে করছেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর বক্তব্যকে আওয়ামী লীগের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন অনেকে।
গত বুধবার বিকেলে সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা এবং সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ঢাকা-সিলেট ৬ লেন মহাসড়ক ও নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নকাজে বিশেষ অবদানের জন্য ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতা ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ তুলে সে অনুষ্ঠানে যাননি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কেউ কেউ বলেছেন, আজকের আয়োজন আরিফ করেছেন। আমি বলেছি-আরিফ সাহেব করেন নাই, করেছে সিটি করপোরেশন। বরং আপনাদের লজ্জা লাগা উচিত এই কারণে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এত ভালো কাজ করছেন, একজন অন্য দলের লোক সেটি স্বীকার করছে। সেটা গ্রহণ করতেছে। আপনাদের তো ভালো লাগার কথা। আমি তো হলাম উসিলা মাত্র। তাঁরা আমাকে নয়, সম্মান দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। যিনি আমাদের প্রতি সদয় হয়ে এত কিছু করছেন। সুতরাং সিলেটের উন্নয়নে সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই সিলেট নগরী আপনার-আমার সবার। কে কোন মতের-দলের সেটা দেখার বিষয় নয়। আমরা সবাই সিলেটের-এটাই মূল বিষয়। এখানের ছেলে আমি, আমাদের সবার হৃদয়ে সিলেট। আমার কাছে কেউ কেউ বলেন যে, মেয়র অন্য দলের। সুতরাং আপনি উনার অনেক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না। আমি বলি-সিলেট তো আমারও। মেয়র সাহেবরও (আরিফের)। সুতরাং বৃহত্তর সিলেটের মঙ্গলের জন্য সব করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে আওয়ামী লীগের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তিনি নিজে আওয়ামী পরিবারের সদস্য। বিএনপির মেয়র আরিফ আওয়ামী লীগকে নিয়ে অনেকবার কটুক্তি করেছেন। মন্ত্রী তাঁর সংবর্ধনা নিচ্ছেন ও ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাদের বর্জন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এটা অবশ্যই দলের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের মাসুক উদ্দিন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন আরিফ। আমরা তাঁকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তাই আরিফের অনুষ্ঠানে আমরা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা দলের নীতির সঙ্গে যায় না বলে সেখানে যাইনি।’
সিলেট সিটি করপোরেশনের দেওয়া নাগরিক সংবর্ধনায় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও প্রকাশ্যে কথা বলছেন না কেউ।
তবে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ নেতাদের না যাওয়া যথার্থ মনে করছেন তাঁরা। অনুষ্ঠানে মন্ত্রীর বক্তব্যকে আওয়ামী লীগের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন অনেকে।
গত বুধবার বিকেলে সফল পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশের জন্য গৌরব বয়ে আনা এবং সিলেটবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ঢাকা-সিলেট ৬ লেন মহাসড়ক ও নগরীর বিভিন্ন উন্নয়নকাজে বিশেষ অবদানের জন্য ড. এ কে আব্দুল মোমেনকে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নাগরিক সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
বিএনপি নেতা ও সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কটূক্তির অভিযোগ তুলে সে অনুষ্ঠানে যাননি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে কেউ কেউ বলেছেন, আজকের আয়োজন আরিফ করেছেন। আমি বলেছি-আরিফ সাহেব করেন নাই, করেছে সিটি করপোরেশন। বরং আপনাদের লজ্জা লাগা উচিত এই কারণে যে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে এত ভালো কাজ করছেন, একজন অন্য দলের লোক সেটি স্বীকার করছে। সেটা গ্রহণ করতেছে। আপনাদের তো ভালো লাগার কথা। আমি তো হলাম উসিলা মাত্র। তাঁরা আমাকে নয়, সম্মান দিচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে। যিনি আমাদের প্রতি সদয় হয়ে এত কিছু করছেন। সুতরাং সিলেটের উন্নয়নে সবাই মিলেমিশে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘এই সিলেট নগরী আপনার-আমার সবার। কে কোন মতের-দলের সেটা দেখার বিষয় নয়। আমরা সবাই সিলেটের-এটাই মূল বিষয়। এখানের ছেলে আমি, আমাদের সবার হৃদয়ে সিলেট। আমার কাছে কেউ কেউ বলেন যে, মেয়র অন্য দলের। সুতরাং আপনি উনার অনেক প্রস্তাব গ্রহণ করবেন না। আমি বলি-সিলেট তো আমারও। মেয়র সাহেবরও (আরিফের)। সুতরাং বৃহত্তর সিলেটের মঙ্গলের জন্য সব করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যকে আওয়ামী লীগের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের নেতারা।
নাম না প্রকাশ করার শর্তে মহানগর আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্য কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তিনি নিজে আওয়ামী পরিবারের সদস্য। বিএনপির মেয়র আরিফ আওয়ামী লীগকে নিয়ে অনেকবার কটুক্তি করেছেন। মন্ত্রী তাঁর সংবর্ধনা নিচ্ছেন ও ওই অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতাদের বর্জন নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। এটা অবশ্যই দলের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের মাসুক উদ্দিন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করেছেন আরিফ। আমরা তাঁকে বক্তব্য প্রত্যাহার ও ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। তাই আরিফের অনুষ্ঠানে আমরা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। মন্ত্রী সেখানে গিয়েছেন। কিন্তু আমরা দলের নীতির সঙ্গে যায় না বলে সেখানে যাইনি।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে