আজকের পত্রিকা ডেস্ক
নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এক দিন বাড়িয়ে বহু প্রত্যাশার ২৬তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) শেষ হয়েছে গত শনিবার। অনেক নাটকীয়তার শেষে এদিন ১৯৭ দেশ ও পক্ষের সম্মতিতে একটি চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু যতটা দরকার ছিল, ততটা শক্তিশালী হয়নি এ চুক্তি। কারণ, এতে বলতে গেলে সুনির্দিষ্ট করে কোনো কিছু বলা হয়নি, সবকিছু ভাসা ভাসা। তাই এ চুক্তিকে যথেষ্ট বলছেন না জাতিসংঘের মহাসচিবও।
শনিবারের চুক্তিকে ‘আপস’ মন্তব্য করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সর্বজনীন বিষয়ে বর্তমান বিশ্বের বিভক্ত রাজনীতির একটি চিত্র ধরা পড়েছে এ চুক্তিতে। গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ চুক্তি যথেষ্ট নয়। উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে আটকাতে হলে অনেক কাজ করতে হবে।
চুক্তি চূড়ান্ত করতে এতটা টালবাহানা হওয়ায় ক্ষমা চেয়ে কপ-২৬-এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মাও প্রায় একই মন্তব্য করেছেন। দুই সপ্তাহ বিভিন্ন গ্রুপের তরফে যেসব অঙ্গীকার এসেছে, চুক্তিতে যেসব বিষয় বলা হয়েছে, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এবারের চুক্তির ইতিবাচক দিক হলো, আগামী বছর মিসরের কপ-২৭-এর আগে দেশ বা পক্ষগুলোকে ‘জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান’ বা এনডিসি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট রূপরেখা না থাকলেও কয়লার ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে। যদিও কয়লার ব্যবহার বন্ধের অঙ্গীকারের আশা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের পর গরিব দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল প্রায় দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে ঘোষিত জলবায়ু তহবিল এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
আগেই বলা হয়েছে, ঘোষিত বিষয়গুলোর কোনোটিই সুনির্দিষ্ট না হওয়াটা এ চুক্তির অন্যতম দুর্বল দিক। তা ছাড়া, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি ‘আইনত বাধ্য’ হলেও শনিবারের চুক্তি ‘বাধ্যতামূলক’ নয়। অর্থাৎ চাইলেই যেকোনো দেশ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে।
এবারের কপে যে শক্তিশালী কোনো চুক্তি হচ্ছে না, তা আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল। তাই আগে থেকেই গুচ্ছ গুচ্ছভাবে বিভিন্ন চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন ভারতে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ অলোক শর্মা। এর ফল হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে।
কপ-২৬-এর প্রথম দিকে ১৪১টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বন নিধন বন্ধ ও মাটির ক্ষয় রোধ করতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং ব্রাজিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো থাকায় এ চুক্তির ভার বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ বনভূমি চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী অন্যতম গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের ব্যবহার ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কমাতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপানসহ ১০৫টি দেশ।
জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪০টি দেশ ও বিশ্বের শীর্ষ ৫০০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। শনিবারের সর্বসম্মত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে, যেখানে চীন, ভারতসহ শীর্ষ কয়লা ব্যবহারকারী দেশগুলো রয়েছে। কিন্তু আগের চুক্তিতে এসব দেশ নেই। চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ধনীরা ২০৩০ সালের মধ্যে, আর গরিবেরা ২০৪০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধ বা কয়লা প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।
কয়েক দেশ, বড় বড় কয়েকটি শহর বা রাজ্য এবং বিখ্যাত কয়েকটি গাড়ি তৈরিকারী কোম্পানি ২০৩৫ ও ২০৪০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর গাড়ির ব্যবহার বন্ধ করতে চুক্তি করেছে।
‘বিয়ন্ড অয়েল অ্যান্ড গ্যাস অ্যালায়েন্স’ নামের ১১ দেশের একটি জোট সব তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তারা এখনো দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। জোটটি ছোট হলেও এ ঘোষণা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।
জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যৌথ ঘোষণা কপ-২৬-এর সবচেয়ে বড় চমক। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ দুটি জলবায়ুসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে মিলেমিশে কাজ করবে।
উল্লিখিত গ্রুপভিত্তিক চুক্তির সদস্য আরও বাড়তে পারে। এসব চুক্তির ফল নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, শুধু এসব চুক্তি বাস্তবায়িত হলে উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির নিচে রাখা সম্ভব। কিন্তু ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্রেকার’ মনে করে, এসব চুক্তি বাস্তবায়িত হলেও ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১৭০ বছর আগের তুলনায় প্রায় ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
নির্দিষ্ট সময়ের চেয়ে এক দিন বাড়িয়ে বহু প্রত্যাশার ২৬তম জলবায়ু সম্মেলন (কপ-২৬) শেষ হয়েছে গত শনিবার। অনেক নাটকীয়তার শেষে এদিন ১৯৭ দেশ ও পক্ষের সম্মতিতে একটি চুক্তিও হয়েছে। কিন্তু যতটা দরকার ছিল, ততটা শক্তিশালী হয়নি এ চুক্তি। কারণ, এতে বলতে গেলে সুনির্দিষ্ট করে কোনো কিছু বলা হয়নি, সবকিছু ভাসা ভাসা। তাই এ চুক্তিকে যথেষ্ট বলছেন না জাতিসংঘের মহাসচিবও।
শনিবারের চুক্তিকে ‘আপস’ মন্তব্য করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, সর্বজনীন বিষয়ে বর্তমান বিশ্বের বিভক্ত রাজনীতির একটি চিত্র ধরা পড়েছে এ চুক্তিতে। গুরুত্বপূর্ণ হলেও এ চুক্তি যথেষ্ট নয়। উষ্ণতা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে আটকাতে হলে অনেক কাজ করতে হবে।
চুক্তি চূড়ান্ত করতে এতটা টালবাহানা হওয়ায় ক্ষমা চেয়ে কপ-২৬-এর প্রেসিডেন্ট অলোক শর্মাও প্রায় একই মন্তব্য করেছেন। দুই সপ্তাহ বিভিন্ন গ্রুপের তরফে যেসব অঙ্গীকার এসেছে, চুক্তিতে যেসব বিষয় বলা হয়েছে, সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এবারের চুক্তির ইতিবাচক দিক হলো, আগামী বছর মিসরের কপ-২৭-এর আগে দেশ বা পক্ষগুলোকে ‘জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান’ বা এনডিসি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে। স্পষ্ট রূপরেখা না থাকলেও কয়লার ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে। যদিও কয়লার ব্যবহার বন্ধের অঙ্গীকারের আশা করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২৫ সালের পর গরিব দেশগুলোর জন্য জলবায়ু তহবিল প্রায় দ্বিগুণ করার কথা বলা হয়েছে। অথচ ২০০৯ সালে ঘোষিত জলবায়ু তহবিল এখনো বাস্তবায়িত হয়নি।
আগেই বলা হয়েছে, ঘোষিত বিষয়গুলোর কোনোটিই সুনির্দিষ্ট না হওয়াটা এ চুক্তির অন্যতম দুর্বল দিক। তা ছাড়া, ২০১৫ সালের প্যারিস চুক্তি ‘আইনত বাধ্য’ হলেও শনিবারের চুক্তি ‘বাধ্যতামূলক’ নয়। অর্থাৎ চাইলেই যেকোনো দেশ চুক্তি থেকে বেরিয়ে যেতে পারবে।
এবারের কপে যে শক্তিশালী কোনো চুক্তি হচ্ছে না, তা আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল। তাই আগে থেকেই গুচ্ছ গুচ্ছভাবে বিভিন্ন চুক্তির উদ্যোগ নিয়েছিলেন ভারতে জন্ম নেওয়া ব্রিটিশ রাজনীতিবিদ অলোক শর্মা। এর ফল হিসেবে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়েছে।
কপ-২৬-এর প্রথম দিকে ১৪১টি দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে বন নিধন বন্ধ ও মাটির ক্ষয় রোধ করতে সম্মত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া এবং ব্রাজিলের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলো থাকায় এ চুক্তির ভার বেড়েছে। বিশ্বের প্রায় ৮৫ শতাংশ বনভূমি চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত।
উষ্ণতা বৃদ্ধির জন্য দায়ী অন্যতম গ্রিনহাউস গ্যাস মিথেনের ব্যবহার ২০২০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ কমাতে সম্মত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, জাপানসহ ১০৫টি দেশ।
জলবায়ু সম্মেলনের দ্বিতীয় সপ্তাহে ৪০টি দেশ ও বিশ্বের শীর্ষ ৫০০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান কয়লার ব্যবহার বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে। শনিবারের সর্বসম্মত চুক্তিতে কয়লার ব্যবহার কমানোর কথা বলা হয়েছে, যেখানে চীন, ভারতসহ শীর্ষ কয়লা ব্যবহারকারী দেশগুলো রয়েছে। কিন্তু আগের চুক্তিতে এসব দেশ নেই। চুক্তিভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে ধনীরা ২০৩০ সালের মধ্যে, আর গরিবেরা ২০৪০ সালের মধ্যে কয়লার ব্যবহার বন্ধ বা কয়লা প্রকল্পে অর্থায়ন বন্ধ করতে সম্মত হয়েছে।
কয়েক দেশ, বড় বড় কয়েকটি শহর বা রাজ্য এবং বিখ্যাত কয়েকটি গাড়ি তৈরিকারী কোম্পানি ২০৩৫ ও ২০৪০ সালের মধ্যে জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভর গাড়ির ব্যবহার বন্ধ করতে চুক্তি করেছে।
‘বিয়ন্ড অয়েল অ্যান্ড গ্যাস অ্যালায়েন্স’ নামের ১১ দেশের একটি জোট সব তেল ও গ্যাসের ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। তারা এখনো দিনক্ষণ ঘোষণা করেনি। জোটটি ছোট হলেও এ ঘোষণা বেশ উৎসাহব্যঞ্জক বলে মনে করে সংশ্লিষ্টরা।
জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকাতে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের যৌথ ঘোষণা কপ-২৬-এর সবচেয়ে বড় চমক। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ দুটি জলবায়ুসংশ্লিষ্ট ইস্যুতে মিলেমিশে কাজ করবে।
উল্লিখিত গ্রুপভিত্তিক চুক্তির সদস্য আরও বাড়তে পারে। এসব চুক্তির ফল নিয়ে বিশ্লেষকদের মধ্যে যথেষ্ট মতবিরোধ রয়েছে। অনেকে মনে করেন, শুধু এসব চুক্তি বাস্তবায়িত হলে উষ্ণতা বৃদ্ধি ২ ডিগ্রির নিচে রাখা সম্ভব। কিন্তু ‘ক্লাইমেট অ্যাকশন ট্রেকার’ মনে করে, এসব চুক্তি বাস্তবায়িত হলেও ২১০০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণতা ১৭০ বছর আগের তুলনায় প্রায় ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়তে পারে।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
৩ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪