নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটায় ‘অকৃতকার্য’ শিক্ষার্থীকে সুযোগ দিয়ে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা।
গত রোববার ভর্তি উপকমিটির সভায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ থেকে ১০ কমানোর সিদ্ধান্ত হয় পোষ্য কোটার জন্য। এতে ৬০ জন ‘অকৃতকার্য’ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, রাবিতে এবার পোষ্য কোটার আসন ২০১টি। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বেশি পেয়ে ইতিমধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু ৪০ নম্বর না পাওয়ায় ফাঁকা আছে ১৩৬টি আসন।
আসন পূরণে পোষ্য কোটার পাস নম্বর ৩০ করা হলো। তবুও আরও ৭৬টি আসন ফাঁকাই থাকবে।
গত বছরও পাস নম্বর কমিয়ে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস ও পর্যাপ্ত নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো রীতিমতো অন্যায়ের পর্যায়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এতে তাঁদের চেয়ে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। তাই এ ধরনের নিয়ম সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ থেকে ২৭ জুলাই রাবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়। তিনটি ইউনিটে কোটাসহ ৪ হাজার ৬৪৬ আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়। এবারের পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পাস নম্বর ছিল ৪০। নিয়ম অনুযায়ী পাস নম্বর পাওয়ার পরই পোষ্য কোটা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তি-ইচ্ছুকেরা ন্যূনতম ৪০ নম্বর না পাওয়ায় ভর্তির যোগ্যতা কমিয়ে ৩০ নম্বর করে ৬০ জনকে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, ‘পাস করা শিক্ষার্থীদের বাদ রেখে অযোগ্যদের ভর্তি করানো অন্যায়ের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো
প্রতিষ্ঠানে মেধাই একমাত্র যোগ্যতা হওয়া উচিত।’
এমন সিদ্ধান্তের ক্ষোভ প্রকাশ করে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়ায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারতান্ত্রিক হয়ে যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত সুদূরপ্রসারী শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এ ধরনের নিয়ম সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল করা উচিত। এই প্রক্রিয়াটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকারক। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অযোগ্য শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাবে, প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ভর্তি উপকমিটির প্রধান অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ না পাক। কিন্তু সবার মতামত অনুসারে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বরপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানেরা ভর্তি হতে পারবেন। তবে শিক্ষার্থীদের অধিক পছন্দের বিষয়গুলোতে তারা ভর্তি হতে পারবে না।’
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তিতে পোষ্য কোটায় ‘অকৃতকার্য’ শিক্ষার্থীকে সুযোগ দিয়ে ফের সমালোচনার মুখে পড়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এমন সিদ্ধান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে উল্লেখ করে নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা।
গত রোববার ভর্তি উপকমিটির সভায় ১০০ নম্বরের পরীক্ষায় পাস নম্বর ৪০ থেকে ১০ কমানোর সিদ্ধান্ত হয় পোষ্য কোটার জন্য। এতে ৬০ জন ‘অকৃতকার্য’ শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবেন।
উল্লেখ্য, রাবিতে এবার পোষ্য কোটার আসন ২০১টি। ভর্তি পরীক্ষায় ৪০ নম্বরের বেশি পেয়ে ইতিমধ্যে ভর্তি হয়েছেন ৬৫ জন শিক্ষার্থী। কিন্তু ৪০ নম্বর না পাওয়ায় ফাঁকা আছে ১৩৬টি আসন।
আসন পূরণে পোষ্য কোটার পাস নম্বর ৩০ করা হলো। তবুও আরও ৭৬টি আসন ফাঁকাই থাকবে।
গত বছরও পাস নম্বর কমিয়ে পোষ্য কোটায় শিক্ষার্থীকে ভর্তি করা হয়। এ ধরনের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রনেতারা বলছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় পাস ও পর্যাপ্ত নম্বর পাওয়া শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে ফেল করা শিক্ষার্থীদের ভর্তি করানো রীতিমতো অন্যায়ের পর্যায়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্ত শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এতে তাঁদের চেয়ে অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য অর্জনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। তাই এ ধরনের নিয়ম সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল করা উচিত।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ২৫ থেকে ২৭ জুলাই রাবির ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা হয়। তিনটি ইউনিটে কোটাসহ ৪ হাজার ৬৪৬ আসনের বিপরীতে মোট ১ লাখ ৭৮ হাজার শিক্ষার্থী পরীক্ষার জন্য মনোনীত হয়। এবারের পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে পাস নম্বর ছিল ৪০। নিয়ম অনুযায়ী পাস নম্বর পাওয়ার পরই পোষ্য কোটা কার্যকর হওয়ার কথা। তবে চলতি শিক্ষাবর্ষে পোষ্য কোটায় ভর্তি-ইচ্ছুকেরা ন্যূনতম ৪০ নম্বর না পাওয়ায় ভর্তির যোগ্যতা কমিয়ে ৩০ নম্বর করে ৬০ জনকে বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ দেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মহব্বত হোসেন মিলন বলেন, ‘পাস করা শিক্ষার্থীদের বাদ রেখে অযোগ্যদের ভর্তি করানো অন্যায়ের মতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো
প্রতিষ্ঠানে মেধাই একমাত্র যোগ্যতা হওয়া উচিত।’
এমন সিদ্ধান্তের ক্ষোভ প্রকাশ করে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের আহ্বায়ক আব্দুল মজিদ অন্তর বলেন, ‘অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের ভর্তির সুযোগ দেওয়ায় ওয়েটিং লিস্টে থাকা অধিক যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষার্থীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারতান্ত্রিক হয়ে যাবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আতাউর রহমান রাজু বলেন, ‘এ ধরনের সিদ্ধান্ত সুদূরপ্রসারী শিক্ষাব্যবস্থাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে। এ ধরনের নিয়ম সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাতিল করা উচিত। এই প্রক্রিয়াটা শিক্ষাব্যবস্থার জন্য ক্ষতিকারক। এভাবে চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ে অযোগ্য শিক্ষার্থী বৃদ্ধি পাবে, প্রকৃত মেধাবীরা বঞ্চিত হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ও ভর্তি উপকমিটির প্রধান অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে চাই, অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা ভর্তির সুযোগ না পাক। কিন্তু সবার মতামত অনুসারে নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম ৩০ নম্বরপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের সন্তানেরা ভর্তি হতে পারবেন। তবে শিক্ষার্থীদের অধিক পছন্দের বিষয়গুলোতে তারা ভর্তি হতে পারবে না।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে