এ যেন পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়

মীর মহিবুল্লাহ, পটুয়াখালী
প্রকাশ : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৮: ২৮
আপডেট : ১৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯: ০৯

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি) যেন একটি পারিবারিক বিশ্ববিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষক ও কর্মকর্তা পদে কর্মরত আছেন ২৫ দম্পতি ও বিভিন্ন পরিবারের সদস্যরা। কারও ছেলে, কারও মেয়ে, কারও ভাই, কারও বোন, কারও শ্যালক, কারও শ্যালিকা, কারও শ্বশুর, কারও জামাতা, কারও ননদ, কারও জা কর্মরত এখানে। সর্বশেষ গত ২ ডিসেম্বর সেকশন অফিসার পদে উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের ছেলেসহ বিভিন্ন পদে কয়েকজন কর্মকর্তার স্বজন নিয়োগ পেয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ২০০৮ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরু থেকেই যোগ্যদের বদলে নিয়োগে গুরুত্ব পেয়েছে স্বজন-প্রীতি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদন না নিয়ে এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত পদের চেয়ে বেশি জনবল নিয়োগ রীতিতে পরিণত হয়েছে। প্রতিবাদের মুখে কোনো কোনো নিয়োগ স্থগিত করা হলেও পরে সেই পদে অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের নজিরও আছে। সাবেক শিক্ষার্থী ও পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ জানালেও নিয়োগ আটকায়নি।

এ বিষয়ে পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক জেহাদ পারভেজ বলেন, ‘ইউজিসির অনুমোদনহীন পদে প্রশাসন প্রভাষক নিয়োগ দিয়েছে। আমরা সোচ্চার হলেও আমাদের কথা শোনেনি। নিয়মের বাইরে নিয়োগ অবশ্যই অনিয়ম। যোগ্যরা ভাইভা কার্ড না পেলে সে ক্ষেত্রেও নিয়মের ব্যত্যয় ঘটেছে। আমরা সাধারণ সভায় এসব বিষয় ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

তবে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বোস বলেছেন, উপাচার্যের ছেলে সাধারণ প্রার্থী হিসেবে নিয়মানুযায়ী চাকরি পেয়েছেন। সবাই যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন।

পবিপ্রবি শিক্ষক সমিতি এবং যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিয়োগ না পাওয়া সাবেক শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, গত ২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ড উপাচার্যের ছেলেসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৫৮ জনকে নিয়োগ দেয়। তবে ২০২২ সালের ১৬ নভেম্বর এবং এর আগের কয়েকটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে মোট পদ ছিল ৩৯টি। ২০২২ সালের ১৭ অক্টোবর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে সেকশন অফিসার পদে তিনজনকে নিয়োগের কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে গত বছরের ২ ডিসেম্বর নিয়োগ পান ছয়জন।

তাঁরা হলেন উপাচার্য অধ্যাপক স্বদেশ চন্দ্র সামন্তের ছেলে শাওন চন্দ্র সামন্ত তনু, পবিপ্রবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি সাইদুর রহমান জুয়েলের ছোট ভাই মো. আরিফুর রহমান পিয়েল, সহকারী রেজিস্ট্রারের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা, পবিপ্রবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তারেকের বড় ভাই মো. হাফিজুর রহমান, দুমকী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল কালামের ছেলে তানভীর হাসান স্বাধীন, অপরজন তাকছিনা নাজনীন নামের এক নারী।

২০০৮ সালে ইউজিসির করা অর্গানোগ্রামে পবিপ্রবিতে সেকশন অফিসারের পদ ৩০টি। তবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে ৪৮ জন সেকশন অফিসার।

অভিযোগ রয়েছে, ২০২২ সালের ২৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগে প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসির অনুমোদন না নিয়েই পোস্টহারভেস্ট টেকনোলজি অ্যান্ড মার্কেটিং বিভাগে ১ জন প্রভাষক নিয়োগের উল্লেখ করা হয়। সমালোচনার মুখে ওই পদে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করা হলেও নতুন বিজ্ঞপ্তি না দিয়েই গত ২ ডিসেম্বর দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁদের একজন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কামরুজ্জামান সোহাগের স্ত্রী শেখ তানজিলা ইসলাম দোলা।

২০২২ সালের ১১ অক্টোবর ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড সিস্টেম ইনফরমেশন বিভাগ এবং ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে তিনজন প্রভাষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তবে মেধাতালিকায় ৭ শতাংশের মধ্যে থাকা পবিপ্রবির সাবেক শিক্ষার্থীদের কেউ ভাইভা কার্ড না পাওয়ায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত ১৯ নভেম্বর ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ ও অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড সিস্টেম ইনফরমেশন বিভাগের নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে বিধিমালা অনুযায়ী নিয়োগের দাবিতে রেজিস্ট্রার বরাবর স্মারকলিপি দেন।

এতে সেদিনই ওই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ স্থগিত করা হয়। তবে ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয় ল্যান্ড রেকর্ড অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক সাউদ বিন আলমের (প্রতীক) স্ত্রী আমিনা সারওয়ারকে।

পবিপ্রবির ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের দ্বিতীয় ব্যাচের শিক্ষার্থী হাসনাইন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ব্যাচের মেধাতালিকায় থাকা প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয়সহ যোগ্য কাউকেই ভাইভা কার্ড দেয়নি প্রশাসন।’

ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগের শিক্ষার্থী মো. সিফাত খান বলেন, ‘আমি মেধাতালিকায় তৃতীয় হয়েও ভাইভা কার্ড পাইনি। শুনেছি, এক স্যারের স্ত্রীকে নিয়োগ দিতে আমাদের ভাইভা কার্ড দেয়নি।’

আইকিউএসি বিভাগে হিসাবরক্ষক পদ না থাকলেও একজন নিয়োগ পেয়েছেন।

জানতে চাইলে পবিপ্রবির ট্রেজারার ও সেকশন অফিসার বাছাই কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘ভিসি স্যারের ছেলে প্রার্থী থাকায় তিনি বাছাই কমিটিতে থাকতে পারবেন না, এটা বিধিমালায় রয়েছে। আমাকে যোগ্য মনে করায় তিনি আমাকে সভাপতি বানিয়েছেন। আমিও চেষ্টা করেছি স্বচ্ছভাবে বাছাই করার।’ তিনি বলেন, ‘শুনেছি, অনুমোদনহীন পদে নিয়োগ হয়েছে। তবে সেটা প্রশাসন ভালো বলতে পারবে। অনেক দম্পতি এবং অনেক পরিবারের সদস্যরা চাকরি করছেন, এটা সত্যি।’

এসব বিষয়ে জানতে পবিপ্রবির উপাচার্যকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ধরেননি। রেজিস্ট্রার বলেন, দীর্ঘদিন নিয়োগ বন্ধ থাকায় জট তৈরি হয়। কয়েকটি সার্কুলারের নিয়োগ একসঙ্গে নেওয়ায় সংখ্যা বেশি মনে হয়েছে।

২৫ দম্পতি ও স্বজনের ছড়াছড়ি
এই বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে কর্মরত আছেন ১২ দম্পতি। তাঁরা হলেন রেজিস্ট্রার ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. সন্তোষ কুমার বোস ও তাঁর স্ত্রী হর্টিকালচার বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. প্রিয়াংকা হালদার, হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. জুয়েল হাওলাদারের স্ত্রী ড. কানিজ রোকসানা সুমী অ্যাকুয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক, কৃষি রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের স্ত্রী নওরোজ জাহান লিপি একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আশরাফুল আলম ও সহকারী অধ্যাপক তাঁর স্ত্রী সানজিদা আক্তার, পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক মেহেদী হাসানের স্ত্রী অপরাজিতা বাঁধন কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, অধ্যাপক ড. আসাদুল হক ও তাঁর স্ত্রী ড. দিলরুবা ঝর্না, ফিশারিজ বায়োলজি অ্যান্ড জেনেটিকস বিভাগের অধ্যাপক ড. এ বি সিদ্দিকের স্ত্রী আশফাকুন্নাহার মেরিন ফিশারিজ ও ওশানোগ্রাফি বিভাগের অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আহমেদ পারভেজের স্ত্রী সহকারী অধ্যাপক আয়শা সিদ্দিকা আছেন ডিজাস্টার রেজিলিয়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, কীটতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান মিয়ার স্ত্রী আসমাউল হুসনা শাপলা বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. তরিকুল ইসলামের স্ত্রী মাওয়া সিদ্দিকা জিও ইনফরমেশন সায়েন্স অ্যান্ড আর্থ অবজারভেশন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, অ্যাগ্রোনমি বিভাগের অধ্যাপক ড. গোপাল সাহার স্ত্রী ড. অলি রায় চৌধুরী আছেন ফিজিকস অ্যান্ড মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে, ল্যান্ড রেকর্ড অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক সাউদ বিন আলমের (প্রতীক) স্ত্রী আমিনা সারওয়ার প্রভাষক পদে সদ্য নিয়োগ পেয়েছেন ল অ্যান্ড ল্যান্ড অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বিভাগে।

উপাচার্যের ছেলে শাওন চন্দ্র সামন্ত তনু সেকশন অফিসার। ট্রেজারার অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর মেয়ে হাবিবা জান্নাত মীম একটি বিভাগের প্রভাষক।

অধ্যাপক ড. মাহবুব রব্বানীর স্ত্রী ডা. সুলতানা রাবেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি চিফ মেডিকেল অফিসার, অ্যাগ্রোনমি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. সালমা খানমের স্বামী ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. কামরুল ইসলাম, বিবিএ অনুষদের অধ্যাপক বদিউজ্জামানের স্ত্রী ডেপুটি রেজিস্ট্রার সালমা আক্তার, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের অধ্যাপক জামাল হোসেনের স্ত্রী ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. জিনাত নাসরিন, ভেটেরিনারি অনুষদের অধ্যাপক ড. কাজী শারমিন আক্তারের স্বামী কে এম তারেক উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনে কর্মরত আছেন ৮ দম্পতি। তাঁরা হলেন ডেপুটি রেজিস্ট্রার ড. আরিফ আহমেদ জুয়েলের তাঁর স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন রোজী, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিজানুর রহমান টমাসের স্ত্রী আইরিন বেগম, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. মনিরুজ্জামানের স্ত্রী নাসরিন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার হুমায়ুন কবির আমিনের স্ত্রী সোহানী নূর, সহকারী রেজিস্ট্রার মেহেদী হাসান সোহাগের স্ত্রী রোকসানা, সহকারী রেজিস্ট্রার মাসুম বিল্লাহর স্ত্রী নার্গিস আক্তার, সহকারী রেজিস্ট্রার জসিম উদ্দিন বাদলের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা, সেকশন অফিসার সাইফুল্লাহর স্ত্রী নাজমুন নাহার এবং ডেপুটি রেজিস্ট্রার নইম কাওছারের স্ত্রী আসমা আক্তার সেতু সেকশন অফিসার। নইম কাওছারের শ্বশুর আবদুল ওহাব খানও সেকশন অফিসার।

মৃত্তিকাবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহিন হোসেনের বোন নাজমুন নাহার সেকশন অফিসার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার আরিফুল ইসলাম পিন্টুর বোন আতিয়া শাহনাজ সহকারী রেজিস্ট্রার ও শ্যালিকা আইরিন আক্তার সম্পা সেকশন অফিসার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সাইদুর রহমান জুয়েলের বোন শাহনাজ পারভিন ও ভাই আরিফুর রহমান পিয়াল সেকশন অফিসার, ডেপুটি রেজিস্ট্রার কামরুজ্জামানের ভাই তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম, সহকারী রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদের শ্যালক নেটওয়ার্ক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ইজাজত হোসেন, সয়েল সায়েন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কবিরুল ইসলামের শ্যালক ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. হুমায়ূন কবির আমিন ও শ্যালিকা সোহিনী নূর সেকশন অফিসার।

সহকারী রেজিস্ট্রার সীমা সুলতানার ভাইয়ের স্ত্রী মাজেদা বেগমও কর্মকর্তা। অ্যাগ্রিকালচারাল বোটানি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির হাওলাদারের জামাতা মো. শরিফুর রহমান ফুড টেকনোলজি অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে পবিপ্রবির রেজিস্ট্রার গতকাল রোববার আজকের পত্রিকাকে বলেন, উপাচার্যের ছেলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গ্র্যাজুয়েট। সাধারণ প্রার্থী হিসেবে তিনি যথাযথ প্রক্রিয়ায় আবেদন করে নিয়মানুযায়ী চাকরি পেয়েছেন। শিক্ষক-কর্মকর্তাদের নিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ১ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। বিভিন্ন সময়ে নিয়োগে কর্মরত কারও আত্মীয়স্বজন চাকরি পেয়ে থাকতে পারেন। সবাই তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিলেকশন বোর্ডের সুপারিশে চাকরি পেয়েছেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত