মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
প্রশ্ন: জামাতে নামাজের এক বা একাধিক রাকাত ছুটে গেলে করণীয় কী? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
নাজিম হায়দার, ঢাকা
উত্তর: জামাতে নামাজ আদায় করতে গিয়ে যে ব্যক্তির এক বা একাধিক রাকাত ছুটে যায়, ইসলামের পরিভাষায় তাঁকে মাসবুক বলা হয়। মাসবুকের করণীয় হলো—ইমামকে নামাজের যে অংশে পাবে, সেই অংশেই তাঁর সঙ্গে যোগ দেবে এবং ইমামের অনুসরণ করে নামাজ পড়বে। প্রথম রাকাতের রুকু না পেলে পুরো রাকাতটি পায়নি ধরা হবে। এমনভাবে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে গেলে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে চুপ করে বসে থাকবে। ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে না পাওয়া রাকাতগুলো আদায় করে নেবে।
মাসবুক ছুটে যাওয়া রাকাতগুলো আদায়ের সময় সুরার ক্ষেত্রে নিজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে এবং বৈঠকের ক্ষেত্রে ইমামের রাকাতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। পক্ষান্তরে বৈঠক করতে হবে ইমামের সঙ্গে পড়া রাকাতগুলোসহ হিসাব করে।
সুতরাং, কারও এক রাকাত ছুটে গেলে ওই রাকাতে কিরাত সুরা মিলিয়ে শেষ বৈঠক করে সালাম ফেরাবে।
চার রাকাতের নামাজের দুই রাকাত ছুটে গেলে উভয় রাকাতে সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং দ্বিতীয় রাকাতে শেষ বৈঠক করে সালাম ফেরাবে।
তিন রাকাতের নামাজে দুই রাকাত ছুটে গেলে ইমামের সালামের পর যথারীতি উভয় রাকাতেই কিরাত সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং প্রথম রাকাতে বসে তাশাহহুদ পড়বে। কারণ এই রাকাতটি বৈঠকের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাত ধরা হবে। এরপর শেষ রাকাতে বসে সালাম ফেরাবে।
চার রাকাতের নামাজে তিন রাকাত ছুটে গেলে প্রথম দুই রাকাতে ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং শেষ রাকাতে সুরা না মিলিয়ে শুধু ফাতিহা পড়বে। আর প্রথম রাকাতে বসে তাশাহহুদ পড়ে উঠে যাবে। এরপর দ্বিতীয় রাকাতে না বসে শেষ রাকাত পড়ে বৈঠক করবে।
সূত্র: আল মাবসুত সারাখসি: ১ / ১৯০; আল বাহরুর রায়েক: ১ / ৩৭৯; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৯৬; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৯৬।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
প্রশ্ন: জামাতে নামাজের এক বা একাধিক রাকাত ছুটে গেলে করণীয় কী? বিস্তারিত জানালে উপকৃত হব।
নাজিম হায়দার, ঢাকা
উত্তর: জামাতে নামাজ আদায় করতে গিয়ে যে ব্যক্তির এক বা একাধিক রাকাত ছুটে যায়, ইসলামের পরিভাষায় তাঁকে মাসবুক বলা হয়। মাসবুকের করণীয় হলো—ইমামকে নামাজের যে অংশে পাবে, সেই অংশেই তাঁর সঙ্গে যোগ দেবে এবং ইমামের অনুসরণ করে নামাজ পড়বে। প্রথম রাকাতের রুকু না পেলে পুরো রাকাতটি পায়নি ধরা হবে। এমনভাবে এক বা একাধিক রাকাত ছুটে গেলে শেষ বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ে চুপ করে বসে থাকবে। ইমামের সালাম ফেরানোর পর দাঁড়িয়ে না পাওয়া রাকাতগুলো আদায় করে নেবে।
মাসবুক ছুটে যাওয়া রাকাতগুলো আদায়ের সময় সুরার ক্ষেত্রে নিজের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে এবং বৈঠকের ক্ষেত্রে ইমামের রাকাতের ধারাবাহিকতা রক্ষা করবে। পক্ষান্তরে বৈঠক করতে হবে ইমামের সঙ্গে পড়া রাকাতগুলোসহ হিসাব করে।
সুতরাং, কারও এক রাকাত ছুটে গেলে ওই রাকাতে কিরাত সুরা মিলিয়ে শেষ বৈঠক করে সালাম ফেরাবে।
চার রাকাতের নামাজের দুই রাকাত ছুটে গেলে উভয় রাকাতে সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং দ্বিতীয় রাকাতে শেষ বৈঠক করে সালাম ফেরাবে।
তিন রাকাতের নামাজে দুই রাকাত ছুটে গেলে ইমামের সালামের পর যথারীতি উভয় রাকাতেই কিরাত সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং প্রথম রাকাতে বসে তাশাহহুদ পড়বে। কারণ এই রাকাতটি বৈঠকের ক্ষেত্রে দ্বিতীয় রাকাত ধরা হবে। এরপর শেষ রাকাতে বসে সালাম ফেরাবে।
চার রাকাতের নামাজে তিন রাকাত ছুটে গেলে প্রথম দুই রাকাতে ফাতিহার সঙ্গে সুরা মিলিয়ে পড়বে এবং শেষ রাকাতে সুরা না মিলিয়ে শুধু ফাতিহা পড়বে। আর প্রথম রাকাতে বসে তাশাহহুদ পড়ে উঠে যাবে। এরপর দ্বিতীয় রাকাতে না বসে শেষ রাকাত পড়ে বৈঠক করবে।
সূত্র: আল মাবসুত সারাখসি: ১ / ১৯০; আল বাহরুর রায়েক: ১ / ৩৭৯; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৯৬; রদ্দুল মুহতার: ১ / ৫৯৬।
উত্তর দিয়েছেন
মুফতি মুহাম্মদ জাকারিয়া আল-আজহারি
মুহাদ্দিস, আল-জামিয়া আল-ইসলামিয়া পটিয়া, চট্টগ্রাম
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে