শাকিলা ববি, সিলেট
বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সিলেটে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ড। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে সিলেটের চার জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এই চারটির মধ্যে তিনটিই বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ঘটেছে বলে জানিয়েছে সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন কার্যালয়ের ত্রুটিপূর্ণ ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক উপকরণ ব্যবহার, সার্কিট ব্রেকার না থাকা ও অসচেতনতায় শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকাণ্ড বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি সিলেটে শঙ্কাজনকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়েনি। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে সিলেটের শহরতলি মালিনীছড়া চা-বাগানের একটি বসতঘর ও দোকান আগুনে পুড়েছে। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। খবর পেয়ে সিলেট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
এর আগে ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল টানা তিন দিন নগরীর পৃথক স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় প্রাণহানি না হলেও কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৫ এপ্রিল নগরীর পূর্ব দরগাহ গেটে ‘বেবি গার্ডেন’ নামের শিশুপণ্যের একটি দোকানে আগুন লাগে। ভোর ৫টার দিকে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পরদিন ৬ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় দৌলতপুর স্কয়ার নামে একটি পাঁচতলা ভবনে শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ভবনের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
৭ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর দর্শন দেউড়ি এলাকার আর্কেডিয়া শপিং কমপ্লেক্সের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ে একটি গাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে গাড়িতে আগুন লাগার কারণ অজ্ঞাত বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর। এ অগ্নিকাণ্ডেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জেলায় এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, যেখানেই আগুন লাগে, আমরা চেষ্টা করি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে আনতে। সিলেটে টানা কয়েক দিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই অগ্নিকাণ্ডগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই শর্টসার্কিটের কারণে ঘটেছে।
মো. দুলাল মিয়া আরও বলেন, ঘরে বিদ্যুতের ব্যাপারে মানুষজনকে আরও সচেতন হতে হবে। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন বানাতে হবে। এতে অগ্নিকাণ্ড হ্রাস পাবে ও জনগণের জানমালের রক্ষা হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, ঘরে বিদ্যুৎ থাকলে শর্টসার্কিট হবেই। তবে গ্রাহদের নিজস্ব সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। শর্টসার্কিট থেকে বাঁচতে হলে ভালো মানের তার ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী তারের মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যে তার দিয়ে লাইট জ্বালাবেন, ওই তার দিয়ে ইস্ত্রি বা এসি চালাতে পারবেন না। কিন্তু আমরা ওই এক তার দিয়েই এসি, ইস্ত্রি, লাইট, মোটর, হিটার চালাই। যার ফলে যখন এসি বা হিটার দীর্ঘ সময় চলে, তখন ওই তারটা গরম হয়। তখন ওই তারের ইনসুলেশন (প্লাস্টিক) গলে গিয়ে শর্টসার্কিট হয়।
শামস-ই আরেফিন বলেন, অনেক সময় ইঁদুর, তেলাপোকা সুইচ বোর্ডের ভেতরে তারের প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে, অনেক সময় তারে ফেইজ শর্টসার্কিট বা লাইন শর্টসার্কিট হয়। এসব কারণেও শর্টসার্কিট হয়।
বিদ্যুতের গ্রাহকের প্রতি দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, শর্টসার্কিট থেকে প্রোটেকশনের উপায় হলো সঠিক মানের এমসিবি (সার্কিট বেকার) ব্যবহার করা। এই এমসিবি থাকলে কোনো শর্টসার্কিট হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অগ্নিকাণ্ড ঘটবে না। পাশাপাশি বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে সিলেটে বাড়ছে অগ্নিকাণ্ড। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে সিলেটের চার জায়গায় আগুন লাগার খবর পাওয়া গেছে। এই চারটির মধ্যে তিনটিই বৈদ্যুতিক গোলযোগের কারণে ঘটেছে বলে জানিয়েছে সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ। বাসাবাড়ি, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বা বিভিন্ন কার্যালয়ের ত্রুটিপূর্ণ ও নিম্নমানের বৈদ্যুতিক উপকরণ ব্যবহার, সার্কিট ব্রেকার না থাকা ও অসচেতনতায় শর্টসার্কিট হয়ে অগ্নিকাণ্ড বাড়ছে বলে জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
সম্প্রতি সিলেটে শঙ্কাজনকভাবে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা বাড়ছে। এতে প্রাণহানির পাশাপাশি অনেক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। অগ্নিকাণ্ডে মানুষজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লেও এ ব্যাপারে জনসচেতনতা বাড়েনি। সর্বশেষ গত শনিবার সকালে সিলেটের শহরতলি মালিনীছড়া চা-বাগানের একটি বসতঘর ও দোকান আগুনে পুড়েছে। শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। খবর পেয়ে সিলেট ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার তথ্য পাওয়া যায়।
এর আগে ৫, ৬ ও ৭ এপ্রিল টানা তিন দিন নগরীর পৃথক স্থানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় প্রাণহানি না হলেও কোটি টাকা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ৫ এপ্রিল নগরীর পূর্ব দরগাহ গেটে ‘বেবি গার্ডেন’ নামের শিশুপণ্যের একটি দোকানে আগুন লাগে। ভোর ৫টার দিকে শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত। আগুনে দেড় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা।
পরদিন ৬ এপ্রিল বেলা ২টার দিকে সিলেট নগরীর চৌহাট্টায় দৌলতপুর স্কয়ার নামে একটি পাঁচতলা ভবনে শর্টসার্কিট থেকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দেড় ঘণ্টার চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও ভবনের অনেক ক্ষতি হয়েছে।
৭ এপ্রিল দুপুর সাড়ে ১২টায় নগরীর দর্শন দেউড়ি এলাকার আর্কেডিয়া শপিং কমপ্লেক্সের আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিংয়ে একটি গাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে। তাৎক্ষণিক স্থানীয় বাসিন্দারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম দ্রুত গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে গাড়িতে আগুন লাগার কারণ অজ্ঞাত বলে জানান ফায়ার সার্ভিসের কর্মীর। এ অগ্নিকাণ্ডেও তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
জেলায় এমন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. দুলাল মিয়া বলেন, যেখানেই আগুন লাগে, আমরা চেষ্টা করি খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিয়ন্ত্রণে আনতে। সিলেটে টানা কয়েক দিন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে এতে ক্ষয়ক্ষতি হলেও হতাহতের কোনো ঘটনা ঘটেনি। এই অগ্নিকাণ্ডগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই শর্টসার্কিটের কারণে ঘটেছে।
মো. দুলাল মিয়া আরও বলেন, ঘরে বিদ্যুতের ব্যাপারে মানুষজনকে আরও সচেতন হতে হবে। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন বানাতে হবে। এতে অগ্নিকাণ্ড হ্রাস পাবে ও জনগণের জানমালের রক্ষা হবে।
এ ব্যাপারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী শামস-ই আরেফিন বলেন, ঘরে বিদ্যুৎ থাকলে শর্টসার্কিট হবেই। তবে গ্রাহদের নিজস্ব সুরক্ষার ব্যবস্থা রাখতে হবে। শর্টসার্কিট থেকে বাঁচতে হলে ভালো মানের তার ব্যবহার করতে হবে। ব্যবহারের ধরন অনুযায়ী তারের মান নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যে তার দিয়ে লাইট জ্বালাবেন, ওই তার দিয়ে ইস্ত্রি বা এসি চালাতে পারবেন না। কিন্তু আমরা ওই এক তার দিয়েই এসি, ইস্ত্রি, লাইট, মোটর, হিটার চালাই। যার ফলে যখন এসি বা হিটার দীর্ঘ সময় চলে, তখন ওই তারটা গরম হয়। তখন ওই তারের ইনসুলেশন (প্লাস্টিক) গলে গিয়ে শর্টসার্কিট হয়।
শামস-ই আরেফিন বলেন, অনেক সময় ইঁদুর, তেলাপোকা সুইচ বোর্ডের ভেতরে তারের প্লাস্টিক খেয়ে ফেলে, অনেক সময় তারে ফেইজ শর্টসার্কিট বা লাইন শর্টসার্কিট হয়। এসব কারণেও শর্টসার্কিট হয়।
বিদ্যুতের গ্রাহকের প্রতি দিকনির্দেশনা দিয়ে তিনি আরও বলেন, শর্টসার্কিট থেকে প্রোটেকশনের উপায় হলো সঠিক মানের এমসিবি (সার্কিট বেকার) ব্যবহার করা। এই এমসিবি থাকলে কোনো শর্টসার্কিট হলে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। ফলে অগ্নিকাণ্ড ঘটবে না। পাশাপাশি বিল্ডিং কোড মেনে ভবন তৈরি করলে এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে