এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সঙ্গে জারি করা পৌনে দুই লাখের বেশি রুল। এই হিসাব গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এসব রুল ফৌজদারি বিবিধ মামলা হিসেবে পরিচিত।
হাইকোর্টে রুল বিচারাধীন থাকলেও নিম্ন আদালতে মামলার বিচারকাজ চলে। ফলে আসামিকে নিম্ন আদালতে শুনানিতে হাজির থাকতে হয়, আবার আইনজীবীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতে জামিনের মেয়াদ বাড়াতে হয়। এ কারণে আইনজীবীরা মনে করেন, জামিনসংক্রান্ত রুল দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হলে বিচার প্রার্থীদের উপকার হতো।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি বিবিধ মামলার রুল নিষ্পত্তিতে গত দুই বছর বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। এবারও বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে ভাগ করে দেওয়া হলে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, বর্তমান প্রধান বিচারপতিও এসব মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদেরও এগুলো নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে।’
আইনজীবী সূত্র জানায়, কারাগারে থাকা আসামি কয়েক দফায় নিম্ন আদালতে জামিন পেতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন চান। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে কারামুক্তি পেলেও নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে জামিনের মেয়াদ বাড়াতে হয়। একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানোর পর অনেক সময় উচ্চ আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। পরবর্তী সময়ে ওই রুল নিষ্পত্তি করে জামিন বহাল রাখা হয় বা বাতিল করা হয়। কখনো কখনো রুল খারিজ করে জামিন নাকচও করা হয়।
হাইকোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারার আওতায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সঙ্গে জারি করা ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯০টি রুল বিচারাধীন রয়েছে। গত বছরের প্রথম ৯ মাসে জামিনসংক্রান্ত ৩৮ হাজার ৫৩টি রুল জারি হয় এবং একই সময়ে নিষ্পত্তি হয় ৪২ হাজার ২৩৮টি। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন ফৌজদারি বিবিধ মামলার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৯। ওই বছর বিভিন্ন বেঞ্চে ৬২ হাজার ৬১৫টি এমন রুল নিষ্পত্তি হয়। একই বছরে জামিনসংক্রান্ত ৪৫ হাজার ৯৩১টি রুল জারি হয়।
রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নথি সংরক্ষণ করতে হয়। এ কারণে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এমন নথির স্তূপ জমেছে। হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী, রুল নিষ্পত্তি হলে নির্দিষ্ট সময় পর নথি বিনষ্ট করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভূইয়া রাসেল বলেন, রুল শুনানি করে নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব আবেদনকারীর। কিন্তু দেখা যায়, জামিন পাওয়ার পর আবেদনকারী রুল নিষ্পত্তির বিষয়ে মনোযোগী থাকেন না। যদিও এসব রুল নিষ্পত্তিতে খুব বেশি সময় লাগে না। আদালত নথি দেখেই নিষ্পত্তি করতে পারেন। গত দুই বছরের মতো এ বছরও এসব মামলা নিষ্পত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা তাঁর।
ফৌজদারি বিবিধ মামলা নিষ্পত্তিতে ২০২২ ও ২০২৩ সালে হাইকোর্টে একাধিক বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হাইকোর্টের ১০টি বেঞ্চকে ৪৯৮ ধারার রুল শুনানি ও নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া আছে। পর্যাপ্ত বেঞ্চ থাকায় এসব মামলা নিষ্পত্তিতে গতি সঞ্চার হয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একান্তই প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার।
হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সঙ্গে জারি করা পৌনে দুই লাখের বেশি রুল। এই হিসাব গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এসব রুল ফৌজদারি বিবিধ মামলা হিসেবে পরিচিত।
হাইকোর্টে রুল বিচারাধীন থাকলেও নিম্ন আদালতে মামলার বিচারকাজ চলে। ফলে আসামিকে নিম্ন আদালতে শুনানিতে হাজির থাকতে হয়, আবার আইনজীবীর মাধ্যমে উচ্চ আদালতে জামিনের মেয়াদ বাড়াতে হয়। এ কারণে আইনজীবীরা মনে করেন, জামিনসংক্রান্ত রুল দ্রুত সময়ে নিষ্পত্তি হলে বিচার প্রার্থীদের উপকার হতো।
জানতে চাইলে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাছান চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি বিবিধ মামলার রুল নিষ্পত্তিতে গত দুই বছর বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হয়েছিল। এবারও বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে ভাগ করে দেওয়া হলে এসব মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, বর্তমান প্রধান বিচারপতিও এসব মামলা নিষ্পত্তির বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেবেন। এ ছাড়া সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদেরও এগুলো নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিতে হবে।’
আইনজীবী সূত্র জানায়, কারাগারে থাকা আসামি কয়েক দফায় নিম্ন আদালতে জামিন পেতে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন চান। হাইকোর্ট শুনানি নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়ে রুল জারি করেন। অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে কারামুক্তি পেলেও নির্দিষ্ট মেয়াদ শেষে সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে জামিনের মেয়াদ বাড়াতে হয়। একাধিকবার মেয়াদ বাড়ানোর পর অনেক সময় উচ্চ আদালত মামলা নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জামিন দেন। পরবর্তী সময়ে ওই রুল নিষ্পত্তি করে জামিন বহাল রাখা হয় বা বাতিল করা হয়। কখনো কখনো রুল খারিজ করে জামিন নাকচও করা হয়।
হাইকোর্টে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৯৮ ধারার আওতায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের সঙ্গে জারি করা ১ লাখ ৭৬ হাজার ১৯০টি রুল বিচারাধীন রয়েছে। গত বছরের প্রথম ৯ মাসে জামিনসংক্রান্ত ৩৮ হাজার ৫৩টি রুল জারি হয় এবং একই সময়ে নিষ্পত্তি হয় ৪২ হাজার ২৩৮টি। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিচারাধীন ফৌজদারি বিবিধ মামলার সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭৯ হাজার ৮৮৯। ওই বছর বিভিন্ন বেঞ্চে ৬২ হাজার ৬১৫টি এমন রুল নিষ্পত্তি হয়। একই বছরে জামিনসংক্রান্ত ৪৫ হাজার ৯৩১টি রুল জারি হয়।
রুল নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নথি সংরক্ষণ করতে হয়। এ কারণে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এমন নথির স্তূপ জমেছে। হাইকোর্ট রুলস অনুযায়ী, রুল নিষ্পত্তি হলে নির্দিষ্ট সময় পর নথি বিনষ্ট করা যাবে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী হারুন ভূইয়া রাসেল বলেন, রুল শুনানি করে নিষ্পত্তির পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব আবেদনকারীর। কিন্তু দেখা যায়, জামিন পাওয়ার পর আবেদনকারী রুল নিষ্পত্তির বিষয়ে মনোযোগী থাকেন না। যদিও এসব রুল নিষ্পত্তিতে খুব বেশি সময় লাগে না। আদালত নথি দেখেই নিষ্পত্তি করতে পারেন। গত দুই বছরের মতো এ বছরও এসব মামলা নিষ্পত্তিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশা তাঁর।
ফৌজদারি বিবিধ মামলা নিষ্পত্তিতে ২০২২ ও ২০২৩ সালে হাইকোর্টে একাধিক বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোছাইন আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে হাইকোর্টের ১০টি বেঞ্চকে ৪৯৮ ধারার রুল শুনানি ও নিষ্পত্তির ক্ষমতা দেওয়া আছে। পর্যাপ্ত বেঞ্চ থাকায় এসব মামলা নিষ্পত্তিতে গতি সঞ্চার হয়েছে। এসব মামলা নিষ্পত্তিতে বিশেষ বেঞ্চ গঠন করা হবে কি না, এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটি একান্তই প্রধান বিচারপতির এখতিয়ার।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে