তোফাজ্জল হোসেন রুবেল, ঢাকা
উপকরণ পাওয়ার আগেই দুই ঠিকাদারকে পৌনে ২৪ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) এই লঙ্ঘন হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৫২ জেলায় পানির গুণগত মান পরীক্ষা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে। মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপকরণ ক্রয়কারী কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ দুই দফা সুপারিশ করেছে।
এর আগে আরেকটি তদন্ত কমিটি এই প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের সূত্র জানায়, বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে পানির গুণগত মান পরীক্ষা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প নেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ৫২ জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ করলে গত বছরের ২৩ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিমকে সদস্যসচিব এবং সদস্য হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম তালুকদার। কমিটি গত ১১ এপ্রিল দুই দফা সুপারিশসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানই প্রথম চলমান বিল পাওয়ার পর সমপরিমাণ টাকার উপকরণ বিভিন্ন সময়ে (২০২২ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) সরবরাহ করেছে। বিল, ইনভয়েস, সরবরাহ চালান ও উপকরণ বুঝে পাওয়ার কাগজ থেকে প্রমাণিত হয়, উপকরণ সরবরাহ ছাড়াই কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডিকে ১৩ কোটি টাকা এবং মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডকে ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রথম বিল দেওয়া হয়েছে; যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এ ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
জানতে চাইলে ওই তদন্ত কমিটির প্রধান এ এইচ এম কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তে উপকরণ দেওয়ার আগেই বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এখন প্রশাসনিক অন্যান্য কাজ শেষে ব্যবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. ফজলে আজিমের মন্তব্য জানতে গিয়ে তাঁর কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমকেও দপ্তরে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ৬ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের করা আরেকটি তদন্ত কমিটি প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। এরপর ৪ আগস্ট স্থানীয় সরকার সচিবের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে ওই অনিয়মের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সম্পৃক্ত বলে উল্লেখ করা হয়।
কমিটির তিন সদস্য হলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন এবং পরিকল্পনা-৩ শাখার উপসচিব ড. বেলাল উদ্দিন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই প্রকল্পের পণ্য প্যাকেজ ৫ ও ৬-কে ভেঙে চারটি প্যাকেজ করা হয়েছে; যা গুরুতর অনিয়ম। দরপত্র দুটি মূল্যায়নে বিধি অনুযায়ী দরপত্র উন্মুক্ত কমিটি এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিও গঠন করা হয়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মুন্সি মো. হাচানুজ্জামানকে ফোন করা হলেও ধরেননি। পরে কথা বলার আগ্রহ জানিয়ে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
উপকরণ পাওয়ার আগেই দুই ঠিকাদারকে পৌনে ২৪ কোটি টাকার বিল পরিশোধ করা হয়েছে। সরকারি ক্রয় বিধিমালার (পিপিআর) এই লঙ্ঘন হয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের ৫২ জেলায় পানির গুণগত মান পরীক্ষা শক্তিশালীকরণ প্রকল্পে। মন্ত্রণালয়ের উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি অভিযোগের সত্যতা পেয়ে উপকরণ ক্রয়কারী কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রকল্প পরিচালকের (পিডি) বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশসহ দুই দফা সুপারিশ করেছে।
এর আগে আরেকটি তদন্ত কমিটি এই প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা পায়। স্থানীয় সরকার বিভাগের সূত্র জানায়, বিভাগের অধীন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে পানির গুণগত মান পরীক্ষা শক্তিশালীকরণ প্রকল্প নেওয়া হয়। ব্যয় ধরা হয় ১৭৮ কোটি ৫৬ লাখ ১৪ হাজার টাকা। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ৫২ জেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
একটি প্রতিষ্ঠান প্রকল্পটির দরপত্রে অনিয়মের অভিযোগ করলে গত বছরের ২৩ অক্টোবর তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব এ এইচ এম কামরুজ্জামানকে প্রধান করে গঠিত এই কমিটির যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ ফজলে আজিমকে সদস্যসচিব এবং সদস্য হলেন স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফিরোজ আলম তালুকদার। কমিটি গত ১১ এপ্রিল দুই দফা সুপারিশসহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কার্যাদেশ পাওয়া দুটি প্রতিষ্ঠানই প্রথম চলমান বিল পাওয়ার পর সমপরিমাণ টাকার উপকরণ বিভিন্ন সময়ে (২০২২ সালের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত) সরবরাহ করেছে। বিল, ইনভয়েস, সরবরাহ চালান ও উপকরণ বুঝে পাওয়ার কাগজ থেকে প্রমাণিত হয়, উপকরণ সরবরাহ ছাড়াই কম্পিউটার ওয়ার্ল্ড বিডিকে ১৩ কোটি টাকা এবং মেডি গ্রাফিক ট্রেডিং লিমিটেডকে ১০ কোটি ৭৪ লাখ ৮২ হাজার টাকার প্রথম বিল দেওয়া হয়েছে; যা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। এ ক্ষেত্রে ক্রয়কারীর বিরুদ্ধে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।
জানতে চাইলে ওই তদন্ত কমিটির প্রধান এ এইচ এম কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, তদন্তে উপকরণ দেওয়ার আগেই বিপুল পরিমাণ অর্থ পরিশোধের সত্যতা পেয়ে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এখন প্রশাসনিক অন্যান্য কাজ শেষে ব্যবস্থার বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
এ বিষয়ে গতকাল রোববার দুপুরে স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. ফজলে আজিমের মন্তব্য জানতে গিয়ে তাঁর কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইব্রাহিমকেও দপ্তরে পাওয়া যায়নি। মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, গত বছরের ৬ জুলাই স্থানীয় সরকার বিভাগের করা আরেকটি তদন্ত কমিটি প্রকল্পের দরপত্রে অনিয়মের প্রমাণ পেয়েছে। এরপর ৪ আগস্ট স্থানীয় সরকার সচিবের কাছে দেওয়া প্রতিবেদনে ওই অনিয়মের সঙ্গে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক সম্পৃক্ত বলে উল্লেখ করা হয়।
কমিটির তিন সদস্য হলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পানি সরবরাহ অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. খাইরুল ইসলাম, যুগ্ম সচিব জসিম উদ্দিন এবং পরিকল্পনা-৩ শাখার উপসচিব ড. বেলাল উদ্দিন। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের অনুমোদন না নিয়েই প্রকল্পের পণ্য প্যাকেজ ৫ ও ৬-কে ভেঙে চারটি প্যাকেজ করা হয়েছে; যা গুরুতর অনিয়ম। দরপত্র দুটি মূল্যায়নে বিধি অনুযায়ী দরপত্র উন্মুক্ত কমিটি এবং দরপত্র মূল্যায়ন কমিটিও গঠন করা হয়নি।
এ বিষয়ে কথা বলতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রকল্প পরিচালক মুন্সি মো. হাচানুজ্জামানকে ফোন করা হলেও ধরেননি। পরে কথা বলার আগ্রহ জানিয়ে খুদে বার্তা (এসএমএস) পাঠিয়ে একাধিকবার ফোন করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে