কাটা সড়ক পড়ে আছে ১ বছর

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০৮: ২৮
আপডেট : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ১৬: ৪৪

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার দড়্গ্রাম ইউনিয়নে এক বছর ধরে বন্ধ দুই কিলোমিটারের বেশি সড়ক সংস্কার। সড়কটির মাটি কাটার পর আর কোনো কাজ করছেন না সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার। এ ঘটনায় উপজেলা প্রকৌশলী ওই ঠিকাদারকে কাজ করার জন্য বারবার তাগাদা দিলেও তিনি কোনো পাত্তা দিচ্ছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুই বছর আগে শুরু হয় সাটুরিয়া উপজেলার দড়্গ্রাম ইউনিয়নের কাকিলাবাড়ির আকবর দেওয়ানের বাড়ি থেকে চরতিল্লী সড়ক পর্যন্ত ২ হাজার ২৯৫ মিটার সংযোগ সড়কের পুনর্নির্মাণকাজ। তার আগে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ১ কোটি ৯৫ লাখ টাকা বরাদ্দে ২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়।

মেসার্স সেলিম এন্টারপ্রাইজ ও সুরমা এন্টারপ্রাইজ নামের দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পায় এ কার্যাদেশ। ২০২১ সালে ১৯ মে এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে দুই বছর আগে কাজ শুরু করার পর এক বছর ধরে শুধু মাটি কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে সীমাহীন জনদুর্ভোগ নিয়েই প্রতিদিন তিল্লী ইউনিয়নের ১০ গ্রামের হাজারো মানুষকে এই সড়ক দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

তিল্লী এলাকার কৃষক কসিমুদ্দিন বলেন, ‘রাস্তাটি এভাবে কেটে রাখায় আমাদের কৃষিপণ্য পরিবহনে করে বাজারে নিতে পারছি না। ফলে খেতেই পচে যাচ্ছে শাকসবজি। এতে আমরা লোকসানের মুখে পড়েছি। এক বছর হবে রাস্তার মাটি কেটে ফেলে রেখেছে। আর কাজ হবে কি না, বুঝতে পারছি না।’

ওই এলাকার কলেজছাত্র মো. সাদেক বলেন, ‘আগে এই সড়কে রিকশা বা ভ্যান দিয়ে চলাচল করতাম। কিন্তু এখন হেঁটেও চলাচল করা যায় না। সড়ক পুনঃসংস্কারের জন্য এক বছর ধরে রাস্তা কেটে রেখেছেন ঠিকাদার। এখন সামান্য বৃষ্টি হলেই পানি জমে রাস্তা কাদাযুক্ত হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। দ্রুত সড়কটি মেরামত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি অনুরোধ জানাই।’

সংশ্লিষ্ট দুই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. আবুল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, পল্লী বিদ্যুতের খুঁটির জন্য সংস্কারকাজের মালপত্র আনা-নেওয়ার যানবাহন ঢুকতে পারে না। এ জন্য কাজ বন্ধ আছে। দ্রুত কাজ শুরু হবে।

সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী এ এফ এম তৈয়াবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘জনগণের দুর্ভোগ লাগবে দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজটি বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ইতিমধ্যে পাঁচটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু বারবার তাগিদ দিলেও ঠিকাদার পাত্তা দিচ্ছেন না।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত