রাজীব কুমার সাহা
বাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দ হলো কীর্তিকলাপ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘তারিণীখুড়োর কীর্তিকলাপ’ গ্রন্থের কথা আমরা কে না শুনেছি! এই কীর্তিকলাপ ইতিবাচক না নেতিবাচক, তা পাঠক আপনারাই বিবেচনা করুন। কেউ যদি কথায় কথায় বলে বসেন ‘তোমাদের “কীর্তিকলাপ” আর কারোরই অজানা নেই’, ঠিক তখনই বুঝে নিতে হবে শব্দটির মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো নেতিবাচক ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে। আলাদাভাবে দুটো শব্দ ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করলেও আসলেই কি এই ‘কীর্তি’ ও ‘কলাপ’ শব্দ একত্রে যুক্ত হলে নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে? তবে চলুন আজ রাষ্ট্র করি কীর্তিকলাপের কীর্তিগাথা।
সংস্কৃত ‘কীর্তি’ ও ‘কলাপ’ শব্দ সহযোগে গঠিত হয়েছে ‘কীর্তিকলাপ’ শব্দটি। এটি বিশেষ্য পদ। আক্ষরিকভাবে কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থ হলো প্রশংসনীয় বা যশোপূর্ণ কাজ। আর আলংকারিকভাবে এর অর্থ হলো ভালো ও মন্দ কাজ, অকাজ-কুকাজ, কুকাণ্ড প্রভৃতি। আলংকারিক অর্থের নিরিখে বলা যায়, কারও কীর্তিকলাপ ফাঁস হওয়া মানে হলো কারও অকাজ-কুকাজ প্রকাশ পেয়ে যাওয়া, যেটি স্পষ্টতই নেতিবাচক। ‘বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’-এ কীর্তিকলাপ শব্দটি ‘কীর্ত্তিকলাপ’ বানানে লিপিবদ্ধ হয়েছে ‘কৃতিত্বের পরিচায়ক কার্যাবলি’ অর্থে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা (১৮৭২) থেকে। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনায় শব্দটি রয়েছে ‘যশোরাশি’ অর্থে। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’-এ কীর্তিকলাপ শব্দটি না থাকলেও কীর্তি শব্দের একটি নেতিবাচক অর্থ লিপিবদ্ধ রয়েছে। অন্যান্য অর্থের সঙ্গে কীর্তি শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে ‘(বাংলায়) কর্ম্ম, কাজ (নিন্দার্থে)’। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাঙ্গালা ভাষার অভিধান’-এ কীর্তি শব্দের একাধিক অর্থ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে লক্ষণীয় ‘(কদর্থে) কুকীর্ত্তি, অকাণ্ড’ অর্থটি। আর কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে ‘যশোরাশি, কীর্তিসমূহ’। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘আকাদেমি বিদ্যার্থী অভিধান’-এ কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থ (নিন্দার্থে) লেখা হয়েছে অকাজ-কুকাজ। এর প্রয়োগবাক্য হিসেবে আশাপূর্ণা দেবীর রচনা থেকে ‘সুভাষের স্ত্রীর কীর্তিকলাপ শুনলে তো?’ বাক্যটি চয়িত হয়েছে, যা অর্থের নিরিখে স্পষ্টতই নেতিবাচক।
এবার কীর্তিকলাপ শব্দটির গঠনের দিকে দৃষ্টি দেই। সংস্কৃত ‘কীর্তি’ শব্দের অর্থ হলো যশ, খ্যাতি, সুনাম; কৃতিত্বের পরিচায়ক কাজ বা প্রতিষ্ঠান; (ব্যঙ্গার্থে) কাণ্ড বা কুকাজ প্রভৃতি। আর ‘কলাপ’ শব্দের অর্থ হলো ময়ূরের ছড়ানো পেখম বা ময়ূরপুচ্ছ; অলংকার; গুচ্ছ; বাণ; সংস্কৃত ব্যাকরণবিশেষ প্রভৃতি। এই ‘কীর্তি’ ও ‘কলাপ’ শব্দদ্বয় মিলে তৈরি হয়েছে ‘কীর্তিকলাপ’। অর্থাৎ কীর্তিকলাপ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো ময়ূরের পেখম বা ময়ূরপুচ্ছের মতো সজ্জিত বহুবিচিত্র রঙের কর্মরাশি বা কর্মযজ্ঞ। ময়ূরপুচ্ছ যেমন সৌন্দর্য, সম্মান বা আভিজাত্যের প্রতীক, তেমনি কীর্তিকলাপ শব্দের মূল অর্থ ভালো কাজ বা যশোপূর্ণ কীর্তিসমূহকেই এককালে নির্দেশ করত। তবে বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় কীর্তিকলাপ শব্দের সেই অর্থের এখন আর কোনো প্রায়োগিক ভিত্তি নেই। বর্তমানে কীর্তিকলাপ বলতে শতভাগ কুকীর্তিকেই বোঝায়। কালের বিবর্তনে প্রচলিত অর্থের পরিবর্তন ঘটে। সেই পরিবর্তন কখনো অর্থের উন্নতি ঘটায়, আবার কখনো অর্থের অবনতিকে নির্দেশ করে। বাগর্থবিজ্ঞানের প্রচলিত সূত্রের ধারায় কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থের অবনতি ঘটেছে। তবে এটিও পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিই, কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থের অবনতির ক্ষেত্রে সূত্রধরের কাজটি কিন্তু করেছে ‘কীর্তি’ শব্দটি। কেননা, ‘কীর্তি’ শব্দের মধ্যেই নিন্দার্থে কুকাজ বা কুকাণ্ড অর্থটি নিহিত ছিল। আবার কলাপ শব্দের আরেকটি অর্থ আমরা পাই গুচ্ছ বা সমূহ। অর্থাৎ কীর্তিকলাপ বললে কীর্তির সঙ্গে আনুষঙ্গিক কর্মসমূহকেও (ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক) নির্দেশ করে। কীর্তিকলাপ শব্দের গঠনগত দিক হিসেবে এ বিষয়টিও সমান বিবেচ্য বলে মনে করি।
আমাদের যাপিত জীবনের বাস্তবতায় আমরা সচরাচর ইতিবাচক অপেক্ষা নেতিবাচক কোনো কর্ম বা বিষয়েই অধিক আগ্রহ পোষণ করি। তেমনি কোনো ব্যক্তিবিশেষের সুকীর্তি অপেক্ষা কুকীর্তি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কুকীর্তি ময়ূরের পেখমের মতো সুসজ্জিত না হলেও এতে ব্যক্তির ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়, যা নিতান্তই অযৌক্তিক ও অনুচিত। সুতরাং, আসুন আমরা কুকীর্তি বাদ দিয়ে সুকীর্তিকে যাপিত জীবনে সংক্রামক করে তুলি।
লেখক: রাজীব কুমার সাহা
আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
বাংলা ভাষায় অতিপরিচিত একটি শব্দ হলো কীর্তিকলাপ। বিংশ শতাব্দীর অন্যতম চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘তারিণীখুড়োর কীর্তিকলাপ’ গ্রন্থের কথা আমরা কে না শুনেছি! এই কীর্তিকলাপ ইতিবাচক না নেতিবাচক, তা পাঠক আপনারাই বিবেচনা করুন। কেউ যদি কথায় কথায় বলে বসেন ‘তোমাদের “কীর্তিকলাপ” আর কারোরই অজানা নেই’, ঠিক তখনই বুঝে নিতে হবে শব্দটির মধ্যে নিশ্চয়ই কোনো নেতিবাচক ইঙ্গিত লুকিয়ে আছে। আলাদাভাবে দুটো শব্দ ইতিবাচক অর্থ প্রকাশ করলেও আসলেই কি এই ‘কীর্তি’ ও ‘কলাপ’ শব্দ একত্রে যুক্ত হলে নেতিবাচক অর্থ প্রকাশ করে? তবে চলুন আজ রাষ্ট্র করি কীর্তিকলাপের কীর্তিগাথা।
সংস্কৃত ‘কীর্তি’ ও ‘কলাপ’ শব্দ সহযোগে গঠিত হয়েছে ‘কীর্তিকলাপ’ শব্দটি। এটি বিশেষ্য পদ। আক্ষরিকভাবে কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থ হলো প্রশংসনীয় বা যশোপূর্ণ কাজ। আর আলংকারিকভাবে এর অর্থ হলো ভালো ও মন্দ কাজ, অকাজ-কুকাজ, কুকাণ্ড প্রভৃতি। আলংকারিক অর্থের নিরিখে বলা যায়, কারও কীর্তিকলাপ ফাঁস হওয়া মানে হলো কারও অকাজ-কুকাজ প্রকাশ পেয়ে যাওয়া, যেটি স্পষ্টতই নেতিবাচক। ‘বাংলা একাডেমি বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধান’-এ কীর্তিকলাপ শব্দটি ‘কীর্ত্তিকলাপ’ বানানে লিপিবদ্ধ হয়েছে ‘কৃতিত্বের পরিচায়ক কার্যাবলি’ অর্থে ‘বঙ্গদর্শন’ পত্রিকা (১৮৭২) থেকে। এ ছাড়া রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচনায় শব্দটি রয়েছে ‘যশোরাশি’ অর্থে। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘বঙ্গীয় শব্দকোষ’-এ কীর্তিকলাপ শব্দটি না থাকলেও কীর্তি শব্দের একটি নেতিবাচক অর্থ লিপিবদ্ধ রয়েছে। অন্যান্য অর্থের সঙ্গে কীর্তি শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে ‘(বাংলায়) কর্ম্ম, কাজ (নিন্দার্থে)’। জ্ঞানেন্দ্রমোহন দাসের ‘বাঙ্গালা ভাষার অভিধান’-এ কীর্তি শব্দের একাধিক অর্থ দেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে লক্ষণীয় ‘(কদর্থে) কুকীর্ত্তি, অকাণ্ড’ অর্থটি। আর কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থ লেখা হয়েছে ‘যশোরাশি, কীর্তিসমূহ’। পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি কর্তৃক প্রকাশিত ‘আকাদেমি বিদ্যার্থী অভিধান’-এ কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থ (নিন্দার্থে) লেখা হয়েছে অকাজ-কুকাজ। এর প্রয়োগবাক্য হিসেবে আশাপূর্ণা দেবীর রচনা থেকে ‘সুভাষের স্ত্রীর কীর্তিকলাপ শুনলে তো?’ বাক্যটি চয়িত হয়েছে, যা অর্থের নিরিখে স্পষ্টতই নেতিবাচক।
এবার কীর্তিকলাপ শব্দটির গঠনের দিকে দৃষ্টি দেই। সংস্কৃত ‘কীর্তি’ শব্দের অর্থ হলো যশ, খ্যাতি, সুনাম; কৃতিত্বের পরিচায়ক কাজ বা প্রতিষ্ঠান; (ব্যঙ্গার্থে) কাণ্ড বা কুকাজ প্রভৃতি। আর ‘কলাপ’ শব্দের অর্থ হলো ময়ূরের ছড়ানো পেখম বা ময়ূরপুচ্ছ; অলংকার; গুচ্ছ; বাণ; সংস্কৃত ব্যাকরণবিশেষ প্রভৃতি। এই ‘কীর্তি’ ও ‘কলাপ’ শব্দদ্বয় মিলে তৈরি হয়েছে ‘কীর্তিকলাপ’। অর্থাৎ কীর্তিকলাপ শব্দের ব্যুৎপত্তিগত অর্থ হলো ময়ূরের পেখম বা ময়ূরপুচ্ছের মতো সজ্জিত বহুবিচিত্র রঙের কর্মরাশি বা কর্মযজ্ঞ। ময়ূরপুচ্ছ যেমন সৌন্দর্য, সম্মান বা আভিজাত্যের প্রতীক, তেমনি কীর্তিকলাপ শব্দের মূল অর্থ ভালো কাজ বা যশোপূর্ণ কীর্তিসমূহকেই এককালে নির্দেশ করত। তবে বর্তমান সমাজ বাস্তবতায় কীর্তিকলাপ শব্দের সেই অর্থের এখন আর কোনো প্রায়োগিক ভিত্তি নেই। বর্তমানে কীর্তিকলাপ বলতে শতভাগ কুকীর্তিকেই বোঝায়। কালের বিবর্তনে প্রচলিত অর্থের পরিবর্তন ঘটে। সেই পরিবর্তন কখনো অর্থের উন্নতি ঘটায়, আবার কখনো অর্থের অবনতিকে নির্দেশ করে। বাগর্থবিজ্ঞানের প্রচলিত সূত্রের ধারায় কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থের অবনতি ঘটেছে। তবে এটিও পাঠকদের স্মরণ করিয়ে দিই, কীর্তিকলাপ শব্দের অর্থের অবনতির ক্ষেত্রে সূত্রধরের কাজটি কিন্তু করেছে ‘কীর্তি’ শব্দটি। কেননা, ‘কীর্তি’ শব্দের মধ্যেই নিন্দার্থে কুকাজ বা কুকাণ্ড অর্থটি নিহিত ছিল। আবার কলাপ শব্দের আরেকটি অর্থ আমরা পাই গুচ্ছ বা সমূহ। অর্থাৎ কীর্তিকলাপ বললে কীর্তির সঙ্গে আনুষঙ্গিক কর্মসমূহকেও (ইতিবাচক অথবা নেতিবাচক) নির্দেশ করে। কীর্তিকলাপ শব্দের গঠনগত দিক হিসেবে এ বিষয়টিও সমান বিবেচ্য বলে মনে করি।
আমাদের যাপিত জীবনের বাস্তবতায় আমরা সচরাচর ইতিবাচক অপেক্ষা নেতিবাচক কোনো কর্ম বা বিষয়েই অধিক আগ্রহ পোষণ করি। তেমনি কোনো ব্যক্তিবিশেষের সুকীর্তি অপেক্ষা কুকীর্তি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। কুকীর্তি ময়ূরের পেখমের মতো সুসজ্জিত না হলেও এতে ব্যক্তির ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়, যা নিতান্তই অযৌক্তিক ও অনুচিত। সুতরাং, আসুন আমরা কুকীর্তি বাদ দিয়ে সুকীর্তিকে যাপিত জীবনে সংক্রামক করে তুলি।
লেখক: রাজীব কুমার সাহা
আভিধানিক ও প্রাবন্ধিক
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে