নেত্রকোনার মদনে সাজেদা আক্তার (২৫) নামে এক নারীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে লাশ রেখে তাঁরা চলে যান। এ ঘটনায় সাজেদার ভাই মো. সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে রাতেই মদন থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে পুলিশ আবুল বাশার নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা গেছে, নেত্রকোনার মদন উপজেলার মদন সদর ইউনিয়নের হুমায়ূন ৯ বছর আগে পারিবারিকভাবে সাজেদাকে বিয়ে করে দাম্পত্য জীবন শুরু করেন। দাম্পত্য জীবনে ৭ বছর বয়সী একজন ছেলে সন্তান রয়েছে তাঁদের। ৩ বছর মালয়েশিয়া ছিলেন হুমায়ূন। ২ মাস আগে বাড়িতে আসেন। আবার মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য হয়। পরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নিজ বসতঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় রশি দিয়ে গলায় ফাঁস নেন সাজেদা আক্তার। স্বামী হুমায়ূনের ডাক-চিৎকারে প্রতিবেশীরা সাজেদা আক্তারকে উদ্ধার করে মদন স্বাস্থ কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরে মদন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আসাদ মৃত ঘোষণা করেন সাজেদাকে। মারা যাওয়ার খবর শুনেই স্বামী হুমায়ূন স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এলে প্রতিবেশী ও স্বজনরাও সটকে পড়েন।

হুমায়ূনের বড় ভাই আবুল বাশার বলেন, ‘খবর শুনে হাসাপতালে আসি। লাশের সঙ্গে পুলিশ আমাকে আটকে রাখলে সবাই পালিয়ে যায়।’ মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদেসৈ আলম বলেন, ‘খবর পেয়ে হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ হাসপাতালে যাওয়ার আগেই ওই নারীর স্বামী পালিয়ে গেছে।