সাগর হোসেন তামিম, মাদারীপুর
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৪৭ কিলোমিটার অত্যন্ত সরু হওয়ায় এবং সেখানে ডিভাইডার না থাকায় ব্যাহত হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলার মানুষের ঈদযাত্রা। এ কারণে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার মানুষ।
এমনকি পদ্মা সেতু চালু হলেও সরু ওই সড়কের জন্য বিড়ম্বনা পোহাতে হবে বলে মনে করছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। তবে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক বলছেন, রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি, বারবার সড়কের অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন করার কারণে এখনই ওই সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্যমতে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর অংশে ভাঙ্গা থেকে ভুরঘাটা পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বর্তমানে সড়কটি ২৪ ফুট চওড়া। মাদারীপুর অংশের অনেক স্থানেই সওজ বিভাগের নিজস্ব অনেক জমি রয়েছে। কোনো কোনো স্থানে জমি অধিগ্রহণ করা লাগবে না। আবার যেখানে এ সড়কের দুই পাশে নিজস্ব জমি নেই, সেখানে অধিগ্রহণ লাগবে। তবে মহাসড়ককে চার লেনে পরিণত করতে মাদারীপুর অংশে মোট ৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন হবে।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরও তথ্যমতে, দক্ষিণাঞ্চলের ব্যস্ত সড়কটি বর্তমানে ফরিদপুরের রাজবাড়ী মোড় থেকে সমুদ্রপাড়ের কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ২৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই মহাসড়কটিকে নতুন করে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার প্রস্তাব এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ে আছে। আর মাদারীপুর অংশের ৪৭ কিলোমিটার সড়কের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মালিকদের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে এই মহাসড়কটি রুগ্ণ হয়ে পড়ে আছে। মহাসড়কে যান চলাচলের চাপ বেড়েই চলেছে। আর দুর্ঘটনাও নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দেখা দিয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বর্তমানে যে পরিমাণ পরিবহন চলাচল করছে, তাতে পদ্মা সেতু চালু হলে সরু মহাসড়কের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হবে। যানজটে নাকাল হয়ে পড়বে দক্ষিণাঞ্চল। চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলার মানুষ। সবকিছু মিলে আসন্ন ঈদযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
শিবচরের পাচ্চর এলাকার বাসিন্দা ঈগল পরিবহনের বাসের চালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক; তবে সরু হওয়ায় আর ডিভাইডার না থাকায় প্রায়ই আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যদি মহাসড়কের সরু অংশগুলো বড় করা হয়, তাহলে যাত্রী ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের ভোগান্তি কমবে। আর সড়ক না বড় করলে, পদ্মাসেতু হওয়ার পর চাপ ও ভোগান্তি আরও বাড়বে।’
মাদারীপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায়, বারবার অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন হওয়ায় সংস্কারকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে মহাসড়কে চার লেন নির্মাণ করতে মাদারীপুর অংশে ৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন। অধিগ্রহণের কাজটি সম্পূর্ণ হলে আমরা কাজ শুরু করতে পারব। তবে এবারের ঈদে সেটা সম্ভব না। যে কারণে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতেই হবে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন এ বিষয়ে বলেন, ‘এই মহাসড়কটিকে নতুন করে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার প্রস্তাব এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ে আছে। মাদারীপুর অংশে ৪৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মালিকদের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি শিগগির দুর্ভোগ কমানোর জন্য কাজ শুরু করা যাবে।’
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের ৪৭ কিলোমিটার অত্যন্ত সরু হওয়ায় এবং সেখানে ডিভাইডার না থাকায় ব্যাহত হতে পারে দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলার মানুষের ঈদযাত্রা। এ কারণে যাত্রী দুর্ভোগ চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই এলাকার মানুষ।
এমনকি পদ্মা সেতু চালু হলেও সরু ওই সড়কের জন্য বিড়ম্বনা পোহাতে হবে বলে মনে করছেন দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীরা। তবে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক বলছেন, রাস্তা প্রশস্ত করার কাজ শিগগির শুরু হতে যাচ্ছে। জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর দাবি, বারবার সড়কের অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন করার কারণে এখনই ওই সড়কের কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপদ বিভাগের তথ্যমতে, ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের মাদারীপুর অংশে ভাঙ্গা থেকে ভুরঘাটা পর্যন্ত ৪৭ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। বর্তমানে সড়কটি ২৪ ফুট চওড়া। মাদারীপুর অংশের অনেক স্থানেই সওজ বিভাগের নিজস্ব অনেক জমি রয়েছে। কোনো কোনো স্থানে জমি অধিগ্রহণ করা লাগবে না। আবার যেখানে এ সড়কের দুই পাশে নিজস্ব জমি নেই, সেখানে অধিগ্রহণ লাগবে। তবে মহাসড়ককে চার লেনে পরিণত করতে মাদারীপুর অংশে মোট ৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন হবে।
মাদারীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের আরও তথ্যমতে, দক্ষিণাঞ্চলের ব্যস্ত সড়কটি বর্তমানে ফরিদপুরের রাজবাড়ী মোড় থেকে সমুদ্রপাড়ের কুয়াকাটা পর্যন্ত প্রায় ২৩৬ দশমিক ৭৪ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এই মহাসড়কটিকে নতুন করে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার প্রস্তাব এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ে আছে। আর মাদারীপুর অংশের ৪৭ কিলোমিটার সড়কের জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মালিকদের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানায় জেলা প্রশাসন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বর্তমানে এই মহাসড়কটি রুগ্ণ হয়ে পড়ে আছে। মহাসড়কে যান চলাচলের চাপ বেড়েই চলেছে। আর দুর্ঘটনাও নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দেখা দিয়েছে। ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে বর্তমানে যে পরিমাণ পরিবহন চলাচল করছে, তাতে পদ্মা সেতু চালু হলে সরু মহাসড়কের কারণে যান চলাচল ব্যাহত হবে। যানজটে নাকাল হয়ে পড়বে দক্ষিণাঞ্চল। চরম দুর্ভোগের শিকার হবেন দক্ষিণাঞ্চলের ১২ জেলার মানুষ। সবকিছু মিলে আসন্ন ঈদযাত্রায় দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হতে পারে বলে ধারণা করছেন ওই অঞ্চলের মানুষ।
শিবচরের পাচ্চর এলাকার বাসিন্দা ঈগল পরিবহনের বাসের চালক মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘এত গুরুত্বপূর্ণ সড়ক; তবে সরু হওয়ায় আর ডিভাইডার না থাকায় প্রায়ই আমাদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়। যদি মহাসড়কের সরু অংশগুলো বড় করা হয়, তাহলে যাত্রী ও পরিবহনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মানুষের ভোগান্তি কমবে। আর সড়ক না বড় করলে, পদ্মাসেতু হওয়ার পর চাপ ও ভোগান্তি আরও বাড়বে।’
মাদারীপুর সওজ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ সড়ক হওয়ায়, বারবার অ্যালাইনমেন্ট পরিবর্তন হওয়ায় সংস্কারকাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে মহাসড়কে চার লেন নির্মাণ করতে মাদারীপুর অংশে ৫৬ একর জমি অধিগ্রহণ করা প্রয়োজন। অধিগ্রহণের কাজটি সম্পূর্ণ হলে আমরা কাজ শুরু করতে পারব। তবে এবারের ঈদে সেটা সম্ভব না। যে কারণে যাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগ পোহাতেই হবে।’
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন এ বিষয়ে বলেন, ‘এই মহাসড়কটিকে নতুন করে হাইওয়ে এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ করার প্রস্তাব এখন সরকারের উচ্চপর্যায়ে আছে। মাদারীপুর অংশে ৪৭ কিলোমিটার সড়ক প্রশস্ত করার জন্য জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। মালিকদের জমি অধিগ্রহণের নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আশা করি শিগগির দুর্ভোগ কমানোর জন্য কাজ শুরু করা যাবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে