ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে আচরণ-বিধি লঙ্ঘন করে কয়েকজন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার এ ঘটনা ঘটে।

গতকাল ছিল রাণীশংকৈল উপজেলার পাঁচ ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য পদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। এদিন উপজেলার কাশিপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আতিকুর রহমান বকুল তাঁর নির্বাচনী এলাকা থেকে মোটরসাইকেলের বিশাল শোভাযাত্রা নিয়ে প্রথমে পৌরশহরের হেলিপ্যাড মাঠে গাড়িগুলো রাখেন। সেখানে নৌকা প্রতীক সঙ্গে নিয়ে তিনি সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখেন। পরে নৌকা প্রতীক মিছিলের সামনে রেখে উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

একইভাবে লেহেম্বা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল কালাম বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। অপরদিকে একই ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক রওশন আলী মোটরসাইকেলের বিশাল বহর নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

ধর্মগড় ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেমও নৌকার স্লোগান ধরে বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা নৌকার স্লোগান ধরে বিশাল মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের এমন গণজমায়েতের কারণে নির্বাচন কার্যালয়ের সামনে রাণীশংকৈল-নেকমরদ মহাসড়ক যানজটে পড়ে। এতে পথচারীরা বেশ ভোগান্তিতে পড়েন।

এ বিষয়ে ধর্মগড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কাশেম বলেন, নেতা কর্মীরা চেয়েছে তাই মিছিল নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছি। এতে আচরণবিধি লঙ্ঘনের আবার কী আছে?

এ বিষয়ে জানার জন্য লেহেম্বা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবুল কালামের মোবাইলে ফোন দিলে তিনি তা ধরেননি। একই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী রওশন আলী জানান, আচরণবিধি লঙ্ঘন হয় এমন কাজ আমি আর করব না।

কাশিপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আতিকুর রহমান বকুল বলেন, নেতা–কর্মীরা নিজেদের উদ্দীপনায় আমার পেছনে এসেছেন।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম বলেন, ‘একজন প্রার্থীর সর্বোচ্চ ৫ জন ব্যক্তিকে সঙ্গে নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারবেন। কখনোই বিশাল মিছিল বা শোভাযাত্রা ও প্রতীক নিয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করা যাবে না। কেউ যদি লিখিত অভিযোগ দেয় আমি ব্যবস্থা নেব। তবে আচরণ-বিধি লঙ্ঘনের বিষয়টি দেখার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখার দায়িত্ব দেওয়া রয়েছে।’