ফয়সাল পারভেজ, মাগুরা
মাগুরা শহরের বেশির ভাগ ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নবগঙ্গা নদীতে। এর ফলে নাব্যতা কমছে। ছড়াচ্ছে নদীদূষণ। পানির প্রবাহেও বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, মাগুরা জেলা শহরের পাশ ঘেঁষে প্রায় ছয় কিলোমিটারজুড়ে নবগঙ্গা নদী প্রবহমান। শহরের পুরাতন বাজার থেকে নতুন বাজার এলাকায় রয়েছে নদীর বেশ কিছু বাঁক। এসব বাঁকে রয়েছে পৌরসভার ড্রেনেজের মুখ (আউটফিট)। নবগঙ্গা নদীর অংশে পড়েছে মাগুরা পৌরসভার ৬, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। পৌরসভার আবাসিক এলাকার বৃষ্টির পানিসহ বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে শতাধিক ছোট বড় ড্রেন (নালা)। এসব ড্রেনের সব পানি গিয়ে পড়ছে এই নবগঙ্গার বুকে।
মাগুরা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের সব ড্রেনের পানি নবগঙ্গা নদীতে ১৬টি ড্রেনের আউটফিট হয়ে প্রবাহিত হয়। এগুলোর মধ্যে বড় ড্রেনের আউটফিট (পতিত মুখ) নতুন বাজার, পুরাতন বাজার, ছানার বটতলা, পূর্বাশা হলসংলগ্ন মোট সাতটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, যেসব জায়গায় শহরের সব পানি এসে নদীতে পড়ছে, সেখানে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নানা ধরনের ক্ষতিকর আবর্জনা, ব্যাগসহ বড় বস্তায় ফেলা হয়েছে নদীতে।
মাগুরা নতুন বাজার এলাকা ব্রিজের নিচে ময়লা ফেলায় তৈরি হয়েছে পানির প্রবাহে বড় ধরনের বাধা। স্থানীয় ব্যবসায়ী বলাই চাঁদ জানান, বাজারের সব ময়লা এই ব্রিজের নিচে ফেলা হয়, সেই সঙ্গে ১০টির বেশি হোটেল ও ৮টি ফলের দোকান থেকে ফেলা হয় নানা রকম পলিথিনের ব্যাগ ও আবর্জনা। ফলে নদীর স্বচ্ছ পানি হয়ে গেছে ঘোলা। আগে গোসল করত মানুষ, এখন তা সম্ভব হয় না। শরীর চুলকায়।
ময়লা ফেলার কথা স্বীকার করে নতুন বাজার ব্রিজের ওপরের ফলের দোকানি মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা রাতে সড়কের ওপরে ময়লা ফেলি। এরপর পৌরসভা তা নিয়ে হয়তো নদীতে ফেলে দেয়। এ ছাড়া শহরের অন্যতম ময়লা ফেলার জায়গা তৈরি হয়েছে পুরাতন বাজার এলাকায়। এখানে মাংসের বাজারের সব গরু-ছাগলের জবাই করা আবর্জনা ফেলা হয় দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোকারম মোল্লা জানান, পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলার জায়গা নেই। ফলে নদীর পাড়ে পশু জবাই করে এখানেই ফেলা হয়।
স্থানীয় বাজার এলাকার বাসিন্দারা জানান, সব পশুর আবর্জনা ফেলা হয় নদীর বুকে। ফলে এখানে দুর্গন্ধে বসবাস করা কঠিন। নদীর সর্বনাশের কথা অনেকবার বলা হয়েছে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
ময়লা ফেলার বিষয়ে এই ওয়ার্ডের কমিশনার (৯ নম্বর) আবু রেজা নান্টু বলেন, পৌরসভা থেকে যতটুকু সম্ভব ময়লা সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এরপরও মানুষ যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে। নিজেদের সচেতনতা দরকার বলে মনে করেন এই কমিশনার।
মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা পৌর আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০০৯ সালের ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন আইনের ১০৯ ধারায় বলা আছে, কেউ যদি ময়লা যেখানে-সেখানে ফেলে, তার জন্য জরিমানার বিধান রয়েছে অনধিক ২০০০ টাকা। যদি এরপরও ফেলতে থাকে, তবে প্রতিদিন ২০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
রেজাউল ইসলাম জানান, আইন রয়েছে কিন্তু এটা প্রয়োগ তেমন হয়নি বলে যত্রতত্র ময়লা ফেলার প্রবণতা বাড়ছে; বিশেষ করে পৌর এলাকার যত ড্রেনেজ রয়েছে, তার অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করছে সেপটিক ট্যাংকে সংযোগ দিয়ে। ফলে পয়োনিষ্কাশনের সব ময়লা এই ড্রেন দিয়ে নদীতে যাচ্ছে। দূষণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এটা আইনত দণ্ডনীয়। ড্রেনে কখনো সেপটিক ট্যাংকের ময়লা ফেলার নিয়ম নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মাগুরা জেলার শিক্ষক এ টি এম আরিসুর রহমান জানান, নদীদূষণে নবগঙ্গা হুমকির মুখে। বেশির ভাগ ময়লা বাজার এলাকার। সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসন ও পৌরসভার আরও কার্যকর ভূমিকার অভাব আছে। জরুরি ব্যবস্থা না নিলে নদীর পানি আরও খারাপ হয়ে মানুষসহ ফসলি জমিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
নদীতে ময়লা ফেলায় নদীর নাব্যতা কমছে বলে জানান মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম মনিরুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীতে ময়লা ফেললে দূষণের পাশাপাশি এর গভীরতা কমতে থাকে। নদীর স্রোতের দিক পরিবর্তন হয়। ফলে পানির মাত্রা যখন বেশি হয়, তখন ভাঙনের শঙ্কা থাকে।
মাগুরা পৌরসভার প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ময়লা নদীতে ফেলছে এটা পৌরসভা থেকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও অনেকে ফেলছে। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, ময়লা ফেলার পর্যাপ্ত জায়গা দরকার। সে লক্ষ্যে মাগুরা পৌরসভা ময়লা-আবর্জনা প্রসেসিং প্ল্যান তৈরি করেছে। ভিটাসাইর এলাকায় প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এটা চালু হলে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার প্রবণতা কমবে। নদীদূষণ কমে আসবে।
মাগুরা শহরের বেশির ভাগ ময়লা-আবর্জনা ফেলা হচ্ছে নবগঙ্গা নদীতে। এর ফলে নাব্যতা কমছে। ছড়াচ্ছে নদীদূষণ। পানির প্রবাহেও বড় ধরনের বাধা তৈরি হয়েছে।
জানা গেছে, মাগুরা জেলা শহরের পাশ ঘেঁষে প্রায় ছয় কিলোমিটারজুড়ে নবগঙ্গা নদী প্রবহমান। শহরের পুরাতন বাজার থেকে নতুন বাজার এলাকায় রয়েছে নদীর বেশ কিছু বাঁক। এসব বাঁকে রয়েছে পৌরসভার ড্রেনেজের মুখ (আউটফিট)। নবগঙ্গা নদীর অংশে পড়েছে মাগুরা পৌরসভার ৬, ৭ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড। পৌরসভার আবাসিক এলাকার বৃষ্টির পানিসহ বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনের জন্য রয়েছে শতাধিক ছোট বড় ড্রেন (নালা)। এসব ড্রেনের সব পানি গিয়ে পড়ছে এই নবগঙ্গার বুকে।
মাগুরা পৌরসভা সূত্রে জানা যায়, শহরের সব ড্রেনের পানি নবগঙ্গা নদীতে ১৬টি ড্রেনের আউটফিট হয়ে প্রবাহিত হয়। এগুলোর মধ্যে বড় ড্রেনের আউটফিট (পতিত মুখ) নতুন বাজার, পুরাতন বাজার, ছানার বটতলা, পূর্বাশা হলসংলগ্ন মোট সাতটি। সরেজমিনে দেখা গেছে, যেসব জায়গায় শহরের সব পানি এসে নদীতে পড়ছে, সেখানে ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। নানা ধরনের ক্ষতিকর আবর্জনা, ব্যাগসহ বড় বস্তায় ফেলা হয়েছে নদীতে।
মাগুরা নতুন বাজার এলাকা ব্রিজের নিচে ময়লা ফেলায় তৈরি হয়েছে পানির প্রবাহে বড় ধরনের বাধা। স্থানীয় ব্যবসায়ী বলাই চাঁদ জানান, বাজারের সব ময়লা এই ব্রিজের নিচে ফেলা হয়, সেই সঙ্গে ১০টির বেশি হোটেল ও ৮টি ফলের দোকান থেকে ফেলা হয় নানা রকম পলিথিনের ব্যাগ ও আবর্জনা। ফলে নদীর স্বচ্ছ পানি হয়ে গেছে ঘোলা। আগে গোসল করত মানুষ, এখন তা সম্ভব হয় না। শরীর চুলকায়।
ময়লা ফেলার কথা স্বীকার করে নতুন বাজার ব্রিজের ওপরের ফলের দোকানি মতিন বিশ্বাস বলেন, ‘আমরা রাতে সড়কের ওপরে ময়লা ফেলি। এরপর পৌরসভা তা নিয়ে হয়তো নদীতে ফেলে দেয়। এ ছাড়া শহরের অন্যতম ময়লা ফেলার জায়গা তৈরি হয়েছে পুরাতন বাজার এলাকায়। এখানে মাংসের বাজারের সব গরু-ছাগলের জবাই করা আবর্জনা ফেলা হয় দীর্ঘদিন ধরে।
স্থানীয় ব্যবসায়ী মোকারম মোল্লা জানান, পৌরসভা থেকে ময়লা ফেলার জায়গা নেই। ফলে নদীর পাড়ে পশু জবাই করে এখানেই ফেলা হয়।
স্থানীয় বাজার এলাকার বাসিন্দারা জানান, সব পশুর আবর্জনা ফেলা হয় নদীর বুকে। ফলে এখানে দুর্গন্ধে বসবাস করা কঠিন। নদীর সর্বনাশের কথা অনেকবার বলা হয়েছে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরকে। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি।
ময়লা ফেলার বিষয়ে এই ওয়ার্ডের কমিশনার (৯ নম্বর) আবু রেজা নান্টু বলেন, পৌরসভা থেকে যতটুকু সম্ভব ময়লা সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু এরপরও মানুষ যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলে। নিজেদের সচেতনতা দরকার বলে মনে করেন এই কমিশনার।
মাগুরা পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বলেন, যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা পৌর আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০০৯ সালের ময়লা-আবর্জনা নিষ্কাশন আইনের ১০৯ ধারায় বলা আছে, কেউ যদি ময়লা যেখানে-সেখানে ফেলে, তার জন্য জরিমানার বিধান রয়েছে অনধিক ২০০০ টাকা। যদি এরপরও ফেলতে থাকে, তবে প্রতিদিন ২০০ টাকা জরিমানার বিধান রয়েছে।
রেজাউল ইসলাম জানান, আইন রয়েছে কিন্তু এটা প্রয়োগ তেমন হয়নি বলে যত্রতত্র ময়লা ফেলার প্রবণতা বাড়ছে; বিশেষ করে পৌর এলাকার যত ড্রেনেজ রয়েছে, তার অধিকাংশ মানুষ ব্যবহার করছে সেপটিক ট্যাংকে সংযোগ দিয়ে। ফলে পয়োনিষ্কাশনের সব ময়লা এই ড্রেন দিয়ে নদীতে যাচ্ছে। দূষণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে। এটা আইনত দণ্ডনীয়। ড্রেনে কখনো সেপটিক ট্যাংকের ময়লা ফেলার নিয়ম নেই।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের মাগুরা জেলার শিক্ষক এ টি এম আরিসুর রহমান জানান, নদীদূষণে নবগঙ্গা হুমকির মুখে। বেশির ভাগ ময়লা বাজার এলাকার। সচেতনতার পাশাপাশি প্রশাসন ও পৌরসভার আরও কার্যকর ভূমিকার অভাব আছে। জরুরি ব্যবস্থা না নিলে নদীর পানি আরও খারাপ হয়ে মানুষসহ ফসলি জমিতে এর বিরূপ প্রভাব পড়বে।
নদীতে ময়লা ফেলায় নদীর নাব্যতা কমছে বলে জানান মাগুরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কে এম মনিরুল ইসলাম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীতে ময়লা ফেললে দূষণের পাশাপাশি এর গভীরতা কমতে থাকে। নদীর স্রোতের দিক পরিবর্তন হয়। ফলে পানির মাত্রা যখন বেশি হয়, তখন ভাঙনের শঙ্কা থাকে।
মাগুরা পৌরসভার প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানান, ময়লা নদীতে ফেলছে এটা পৌরসভা থেকে বারবার সতর্ক করা হয়েছে। এরপরও অনেকে ফেলছে। কারণ হিসেবে তিনি বলছেন, ময়লা ফেলার পর্যাপ্ত জায়গা দরকার। সে লক্ষ্যে মাগুরা পৌরসভা ময়লা-আবর্জনা প্রসেসিং প্ল্যান তৈরি করেছে। ভিটাসাইর এলাকায় প্রকল্পটির কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। এটা চালু হলে যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলার প্রবণতা কমবে। নদীদূষণ কমে আসবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে