আরিফুল ইসলাম রিগান, কুড়িগ্রাম
১৯৭১ সালের ২৩ জুন দুপুরবেলা। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারী হাটে ২০ থেকে ২৫ যুবককে জড়ো করেছে পাকিস্তানি বাহিনী। উদ্দেশ্য আগের দিন রাতে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পের টেলিফোনের তার কেটে দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করা।
বন্দুকের নলের মুখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সবাই ছাড়া পেয়ে গেলেও আটক হন বাজারে তেল কিনতে যাওয়া পাশের নীলুর খামার গ্রামের যুবক মুজিবর রহমান। অপরাধ তাঁর নাম। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সঙ্গে মিল থাকায় সেদিন হাটের মানুষের সামনে মাথায় গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় যুবক মুজিবরকে। বাজারের পাশে নালায় পড়ে থাকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ। পরে পাশের সূর্যকুটি গ্রামে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
সন্তোষপুর ইউনিয়নে নীলুর খামার গ্রামের বাসিন্দা মুজিবরের বাবার নাম নছর উদ্দিন ব্যাপারী। বর্তমানে মুজিবরের দুই মেয়ে ও এক ছেলে বেঁচে আছেন।
ওই দিন আটক হওয়া যুবকদের মধ্যে ছিলেন ময়ছার আলী ও মিজানুর রহমান। ভাগ্যক্রমে তাঁরা বেঁচে গেলেও সেদিনের সেই নৃশংসতা এখনো ভোলেননি। সম্প্রতি নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর গ্রামে কথা হয় এই প্রবীণদের সঙ্গে।
ময়ছার ও মিজানুর জানান, মুজিবরসহ তাঁরা কেউই টেলিফোনের তার কাটায় জড়িত ছিলেন না। সবাইকে ছেড়ে দিলেও শুধু মুজিবর নাম হওয়ার কারণে তাঁকে বাজারের নালার কাছে দাঁড় করিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। সেই দৃশ্য এখনো চোখে ভেসে ওঠে। এই দুজন মুজিবরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।
মুজিবরের লাশের গোসল করিয়েছিলেন সূর্যকুটি গ্রামের বাটুল। তাঁর পুত্রবধূ জমিলা বেগম বলেন, ‘সেদিন মুজিবর চাচার শরীর রক্তে দেখা যাচ্ছিল না। আমার শ্বশুর তাঁর গোসল করান। এরপর তাঁকে কবর দেওয়া হয়।’
মুজিবরের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর হয়ে গেলেও আমার বাবার আত্মত্যাগ এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। সরকারের কাছে অনুরোধ, আমার বাবাকে যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তাহলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে। আমরাও বাকি জীবন গর্বের সঙ্গে বাঁচতে পারব।’
কুড়িগ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘মুজিবরসহ স্বাধীনতাযুদ্ধে এভাবে জীবনদানকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দিলে তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে, আমরাও শান্তি পাব।’
১৯৭১ সালের ২৩ জুন দুপুরবেলা। কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার ব্যাপারী হাটে ২০ থেকে ২৫ যুবককে জড়ো করেছে পাকিস্তানি বাহিনী। উদ্দেশ্য আগের দিন রাতে হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পের টেলিফোনের তার কেটে দেওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের খুঁজে বের করা।
বন্দুকের নলের মুখে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সবাই ছাড়া পেয়ে গেলেও আটক হন বাজারে তেল কিনতে যাওয়া পাশের নীলুর খামার গ্রামের যুবক মুজিবর রহমান। অপরাধ তাঁর নাম। স্বাধীনতা সংগ্রামের মহানায়ক শেখ মুজিবুর রহমানের নামের সঙ্গে মিল থাকায় সেদিন হাটের মানুষের সামনে মাথায় গুলি করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় যুবক মুজিবরকে। বাজারের পাশে নালায় পড়ে থাকে তাঁর রক্তাক্ত মরদেহ। পরে পাশের সূর্যকুটি গ্রামে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
সন্তোষপুর ইউনিয়নে নীলুর খামার গ্রামের বাসিন্দা মুজিবরের বাবার নাম নছর উদ্দিন ব্যাপারী। বর্তমানে মুজিবরের দুই মেয়ে ও এক ছেলে বেঁচে আছেন।
ওই দিন আটক হওয়া যুবকদের মধ্যে ছিলেন ময়ছার আলী ও মিজানুর রহমান। ভাগ্যক্রমে তাঁরা বেঁচে গেলেও সেদিনের সেই নৃশংসতা এখনো ভোলেননি। সম্প্রতি নাগেশ্বরীর সন্তোষপুর গ্রামে কথা হয় এই প্রবীণদের সঙ্গে।
ময়ছার ও মিজানুর জানান, মুজিবরসহ তাঁরা কেউই টেলিফোনের তার কাটায় জড়িত ছিলেন না। সবাইকে ছেড়ে দিলেও শুধু মুজিবর নাম হওয়ার কারণে তাঁকে বাজারের নালার কাছে দাঁড় করিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করে পাকিস্তানি সেনারা। সেই দৃশ্য এখনো চোখে ভেসে ওঠে। এই দুজন মুজিবরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানান।
মুজিবরের লাশের গোসল করিয়েছিলেন সূর্যকুটি গ্রামের বাটুল। তাঁর পুত্রবধূ জমিলা বেগম বলেন, ‘সেদিন মুজিবর চাচার শরীর রক্তে দেখা যাচ্ছিল না। আমার শ্বশুর তাঁর গোসল করান। এরপর তাঁকে কবর দেওয়া হয়।’
মুজিবরের ছেলে মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ‘দেশ স্বাধীনের ৫০ বছর হয়ে গেলেও আমার বাবার আত্মত্যাগ এখনো রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পায়নি। সরকারের কাছে অনুরোধ, আমার বাবাকে যেন রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তাহলে বাবার আত্মা শান্তি পাবে। আমরাও বাকি জীবন গর্বের সঙ্গে বাঁচতে পারব।’
কুড়িগ্রামে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলনকারী বীর প্রতীক আব্দুল হাই সরকার বলেন, ‘মুজিবরসহ স্বাধীনতাযুদ্ধে এভাবে জীবনদানকারীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দিলে তাঁদের আত্মা শান্তি পাবে, আমরাও শান্তি পাব।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৯ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে