এস আলম সুমন, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার)
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ভাটেরায় গড়ে ওঠা ‘ভাটেরা রাবারবাগানে’ উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে শিল্প উদ্যোক্তাদের। গত দুই অর্থবছরে লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। বাগানের জীবনচক্র হারানো গাছের বিপরীতে নতুন বাগান তৈরি না হওয়ায় উৎপাদন কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
ভাটেরা রাবারবাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় সিলেট অঞ্চলে চারটি রাবারবাগান রয়েছে। এর মধ্যে ভাটেরা সরকারি রাবারবাগান একটি। ১৯৬৫ সালে ২ হাজার ৮৬৭ একর এলাকাজুড়ে এই রাবারবাগানের যাত্রা শুরু হয়। তখন প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার রাবারগাছ ছিল।
বর্তমানে বাগানের প্রায় ৪০০ একর জায়গা বেদখলে রয়েছে। বাগানে উৎপাদনশীল ৭ হাজার ২১০টি গাছ ও জীবনচক্র হারানো ৯৪ হাজার ৮১০টি গাছ রয়েছে। এক দশক আগেও যেখানে গড়ে প্রতিদিন আট থেকে ৯ হাজার কেজি কষ উৎপাদন হতো। বর্তমানে সেখানে গড় উৎপাদন কমেছে ৬০ শতাংশ।
বর্তমানে এই বাগানে ভরা মৌসুমের সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার কেজি রাবার কষ সংগ্রহ করা হয়। অন্যান্য সময় উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশি কমে যায়। বছরে প্রতিদিনে গড়ে সংগ্রহ দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার কেজি কষ। সংগৃহীত কষ বাগানের কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে রাবারশিট তৈরি করে বিক্রি করা হয়। একটি গাছের অর্থনৈতিক জীবনচক্র থাকে ২৮ থেকে ৩০ বছর। এদিকে বাগানের গাছগুলো ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক। নতুন উন্নতজাতের চারা ও হাইব্রিড ক্লোন দিয়ে বাগান তৈরি না করায় বাগানে উৎপাদন কমেছে। গত দুই বছরে লোকাল চারা দিয়ে নতুন বাগান তৈরি করা হয়েছে ১৮০ একর।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম কমে যাওয়ায় বাগানের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে প্রতিবছর। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাগানের ৩ কোটি ২৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা আয় এবং ৭ কোটি ৭০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। লোকসান ৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাগানের আয় ২ কোটি ৯২ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ব্যয় ৬ কোটি ৯১ লাখ ৬৬ হাজার এবং লোকসান ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশির দশকে সাদা সোনা খ্যাত এই রাবার শিল্পে রমরমা বাণিজ্য ছিল। তখন এ অঞ্চলে সরকারি বাগানের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন ছোট ১০টির মতো বাগান গড়ে ওঠে। ২০১০-১১ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম কমে যাওয়া, বিদেশ থেকে এর আমদানি ও রাবারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় এ শিল্পে ধস নামতে শুরু করে। লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে অনেক ব্যক্তিমালিকানাধীন বাগান বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভাটেরা রাবারবাগানের ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হক বলেন, ১০ বছর আগে যে পরিমাণ রাবার উৎপাদন হতো, এর অর্ধেকও এখন হয় না। জীবনচক্র হারানো গাছ থেকে রাবার উৎপাদন হয় না। এর বিপরীতে নতুন ক্লোন দিয়ে বাগান তৈরি হয়নি। বাগানে উৎপাদনশীল যে জাতের গাছ রয়েছে, সেগুলো ভারত, শ্রীলঙ্কার বাগানের গাছগুলো থেকে কম উৎপাদনশীল।
তিনি আরও বলেন, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়া যে উন্নতজাতের গাছ থেকে রাবার উৎপাদন করছে, সেই জাতের ক্লোন দিয়ে বাগান নতুন করে তৈরি করলে ভালো উৎপাদন সম্ভব।
বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের সিলেট অঞ্চলের (শ্রীমঙ্গল) মহাব্যবস্থাপক শ্যামল কান্তি দেব বলেন, নতুন ক্লোন ছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব না। ক্লোন আমদানির জন্য রাবার বোর্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ক্লোন ব্যবস্থা করলে তখন উন্নতজাতের চারা উৎপাদন করে বাগানের তৈরি করা যাবে।
ক্লোন আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক রাবার বোর্ডের সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ রাবার বোর্ড। এরপর আন্তর্জাতিক রাবার বোর্ডের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা থেকে ক্লোন আমদানি করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা ক্লোন দিতে নারাজ। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ক্লোন আমদানির চেষ্টা করি। তারা রাজি হলেও করোনার জন্য দেরি হয়। তবে আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।’
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ভাটেরায় গড়ে ওঠা ‘ভাটেরা রাবারবাগানে’ উৎপাদন কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে শিল্প উদ্যোক্তাদের। গত দুই অর্থবছরে লোকসান হয়েছে ৮ কোটি ৪৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। বাগানের জীবনচক্র হারানো গাছের বিপরীতে নতুন বাগান তৈরি না হওয়ায় উৎপাদন কমেছে প্রায় ৬০ শতাংশ।
ভাটেরা রাবারবাগান কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের ব্যবস্থাপনায় সিলেট অঞ্চলে চারটি রাবারবাগান রয়েছে। এর মধ্যে ভাটেরা সরকারি রাবারবাগান একটি। ১৯৬৫ সালে ২ হাজার ৮৬৭ একর এলাকাজুড়ে এই রাবারবাগানের যাত্রা শুরু হয়। তখন প্রায় ১ লাখ ৮৫ হাজার রাবারগাছ ছিল।
বর্তমানে বাগানের প্রায় ৪০০ একর জায়গা বেদখলে রয়েছে। বাগানে উৎপাদনশীল ৭ হাজার ২১০টি গাছ ও জীবনচক্র হারানো ৯৪ হাজার ৮১০টি গাছ রয়েছে। এক দশক আগেও যেখানে গড়ে প্রতিদিন আট থেকে ৯ হাজার কেজি কষ উৎপাদন হতো। বর্তমানে সেখানে গড় উৎপাদন কমেছে ৬০ শতাংশ।
বর্তমানে এই বাগানে ভরা মৌসুমের সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গড়ে প্রতিদিন তিন থেকে চার হাজার কেজি রাবার কষ সংগ্রহ করা হয়। অন্যান্য সময় উৎপাদন অর্ধেকেরও বেশি কমে যায়। বছরে প্রতিদিনে গড়ে সংগ্রহ দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার কেজি কষ। সংগৃহীত কষ বাগানের কারখানায় প্রক্রিয়াজাত করে রাবারশিট তৈরি করে বিক্রি করা হয়। একটি গাছের অর্থনৈতিক জীবনচক্র থাকে ২৮ থেকে ৩০ বছর। এদিকে বাগানের গাছগুলো ৫০ বছরের বেশি বয়স্ক। নতুন উন্নতজাতের চারা ও হাইব্রিড ক্লোন দিয়ে বাগান তৈরি না করায় বাগানে উৎপাদন কমেছে। গত দুই বছরে লোকাল চারা দিয়ে নতুন বাগান তৈরি করা হয়েছে ১৮০ একর।
এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম কমে যাওয়ায় বাগানের লোকসানের পাল্লা ভারী হচ্ছে প্রতিবছর। গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে বাগানের ৩ কোটি ২৫ লাখ ১৮ হাজার টাকা আয় এবং ৭ কোটি ৭০ লাখ ৪৭ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। লোকসান ৪ কোটি ৪৫ লাখ ২৯ হাজার টাকা। ২০২০-২১ অর্থবছরে বাগানের আয় ২ কোটি ৯২ লাখ ১৮ হাজার টাকা, ব্যয় ৬ কোটি ৯১ লাখ ৬৬ হাজার এবং লোকসান ৩ কোটি ৯৯ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আশির দশকে সাদা সোনা খ্যাত এই রাবার শিল্পে রমরমা বাণিজ্য ছিল। তখন এ অঞ্চলে সরকারি বাগানের পাশাপাশি ব্যক্তিমালিকানাধীন ছোট ১০টির মতো বাগান গড়ে ওঠে। ২০১০-১১ সালের পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে রাবারের দাম কমে যাওয়া, বিদেশ থেকে এর আমদানি ও রাবারের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপ করায় এ শিল্পে ধস নামতে শুরু করে। লোকসানের বোঝা বইতে না পেরে অনেক ব্যক্তিমালিকানাধীন বাগান বন্ধ হয়ে যায়।
এ ব্যাপারে ভাটেরা রাবারবাগানের ব্যবস্থাপক মো. নাজমুল হক বলেন, ১০ বছর আগে যে পরিমাণ রাবার উৎপাদন হতো, এর অর্ধেকও এখন হয় না। জীবনচক্র হারানো গাছ থেকে রাবার উৎপাদন হয় না। এর বিপরীতে নতুন ক্লোন দিয়ে বাগান তৈরি হয়নি। বাগানে উৎপাদনশীল যে জাতের গাছ রয়েছে, সেগুলো ভারত, শ্রীলঙ্কার বাগানের গাছগুলো থেকে কম উৎপাদনশীল।
তিনি আরও বলেন, ভারত, শ্রীলঙ্কা ও মালয়েশিয়া যে উন্নতজাতের গাছ থেকে রাবার উৎপাদন করছে, সেই জাতের ক্লোন দিয়ে বাগান নতুন করে তৈরি করলে ভালো উৎপাদন সম্ভব।
বাংলাদেশ বনশিল্প উন্নয়ন করপোরেশনের সিলেট অঞ্চলের (শ্রীমঙ্গল) মহাব্যবস্থাপক শ্যামল কান্তি দেব বলেন, নতুন ক্লোন ছাড়া উৎপাদন বৃদ্ধি সম্ভব না। ক্লোন আমদানির জন্য রাবার বোর্ডকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তারা ক্লোন ব্যবস্থা করলে তখন উন্নতজাতের চারা উৎপাদন করে বাগানের তৈরি করা যাবে।
ক্লোন আমদানির বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা সারওয়ার জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক রাবার বোর্ডের সদস্যপদ পায় বাংলাদেশ রাবার বোর্ড। এরপর আন্তর্জাতিক রাবার বোর্ডের মাধ্যমে শ্রীলঙ্কা থেকে ক্লোন আমদানি করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু তারা ক্লোন দিতে নারাজ। এরপর বাংলাদেশ ও ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ক্লোন আমদানির চেষ্টা করি। তারা রাজি হলেও করোনার জন্য দেরি হয়। তবে আমদানির প্রক্রিয়া চলছে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে