সানজিদা সামরিন, ঢাকা
একবার এক বিয়ের কনে একটি টিকলি নিয়ে এসেছিলেন সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির স্বত্বাধিকারী লরা খানের কাছে। টিকলিটি তাঁর বাবা উপহার দিয়েছিলেন জন্মের পর। সেটিই তিনি বিয়েতে পরতে চান। কিন্তু আধুনিক নকশার অন্য় সব গয়নার ভিড়ে সাবেকি মোটিফের ওই টিকলি তো বেমানান! কনে আবদার করলেন, টিকলির নকশার মতো করেই হাত, গলা, কানের বাকি গয়নাগুলো তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
ঘটনার অবতারণা যে কারণে তা হলো, এখন বিয়েতে অনেকেই সাবেকি ধাঁচের গয়নায় নিজেকে সাজাতে ভালোবাসেন। নানি-দাদি, মা-খালাদের পুরোনো গয়না এ ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। সেসব পুরোনো গয়নার নকশা দিয়ে নতুন করে কাস্টমাইজ সেট তৈরি করে নিতে সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন এ যুগের কনেরা। ইদানীং খেয়াল করলে দেখা যায়, বিয়েতে গৎবাঁধা ভারী সাজপোশাকের বদলে স্বচ্ছন্দের লুকে সাজতে ভালোবাসেন কনেরা।
বিয়েতে আধুনিক গয়নার পাশাপাশি পুরোনো গয়নার চাহিদা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে লরা খান বলেন, ‘আগের দিনে বিয়েতে কনের বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনার গয়না দিত—এখনো অনেকে দেয়। কারণ সোনাকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে দেখা হয়। বিপদে-আপদে, প্রয়োজনে এটি বিক্রি করা যায়। কিন্তু এখন মেয়েরা গয়না বিষয়ে স্বচ্ছন্দের দিকটি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। প্রথমত, সোনার গয়না সব সময় পরা হয় না, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে। কিন্তু রুপা, পিতল বা অন্য ধাতুর গয়না নিলে যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়।’
ব্রাইডাল গয়নার মোটিফের অনুপ্রেরণা হিসেবে কনেদের পছন্দকেই বেশি কৃতিত্ব দেন লরা খান। অনেক কনেই আছেন যাঁরা নিজেদের মায়ের বিয়ের গয়নার আদলে গয়না তৈরি করে দিতে বলেন তাঁকে। কেউ কেউ মায়ের বিয়ের ছবি পাঠিয়েও জানান, এই লুকটা নিজের বিয়েতে চাই। টুকরো টুকরো এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এক একটি গয়নার গল্প গড়ে ওঠে বলে জানান লরা খান। এসব গয়নার মধ্য়ে একটি হলো ‘বৌদি সেট’। এতে টিকলি, কানের দুল, গলার হার, বালাম নাকছাবি ও নূপুর রয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় কিংবদন্তি তারকা মধুবালার মিনিমাল লুকের পুরোনো গয়নার আদলে মধুবালা সেট বানিয়েছেন লরা খান।
সাবেকি ধাঁচের বিয়ের গয়না নিয়ে কাজ করেন ‘আটপৌরে’র স্বত্বাধিকারী ইপ্সিতা হুমায়রা। বিয়ের গয়না প্রসঙ্গে ইপ্সিতার ভাষ্য, ‘এখন বিয়েতে কনেদের মধ্যে শাড়ির ঐতিহ্য় আগলে রাখার একটা প্রবণতা দেখা যায়। বিষয়টি গয়নার ক্ষেত্রেও ঘটে। জামদানির সঙ্গে মিলিয়ে জামদানি মোটিফের কিংবা মায়ের বিয়ের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে সাবেকি ধাঁচের গয়না তৈরি করে পরছেন তাঁরা।’ বিয়ের গয়না তৈরির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি বিবেচনায় রাখেন ঈপ্সিতা তা হলো, গয়নাগুলো যেন বিয়ের পরেও পরার উপযোগী থাকে।
পুরোনো ধাঁচের গয়না নিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে লরা খানের ভাষ্য়, ‘পুরোনো দিনে যে ধরনের গয়না ছিল, সেগুলোর প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগা রয়েছে।’ পুরোনো গয়না দেখলে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছে করে তাঁর। নতুন করে পুরোনো গয়নাগুলো আবার যখন রিক্রিয়েট করেন, তখন অনেকেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন। অনেক গয়নাই তাঁদের পরিচিত মনে হয়—হয়তো মায়ের ছিল বা পরিচিত কারও ছিল!
ইপ্সিতা হুমায়রা জানান, এখন খুব বেশি পাথরের কাজ হচ্ছে না, আবার খুব বেশি রঙের ব্যবহারে গয়নাও তৈরি হচ্ছে না। আমাদের নানি-দাদি বা মা-খালারা যেমন হালকা নকশার গয়না পরতেন, সে রকম ধাঁচেই গয়না তৈরি হচ্ছে। ফলে সাবেকিয়ানার ব্যাপারটিকে মুখ্য রেখে গয়না তৈরি করা হয়।
বিয়েতে কনেরা সোনার ভারী গয়নার বদলে ওজনে হালকা এবং মিনিমাল নকশার রুপা ও পিতলের গয়নাই বেশি লুফে নিচ্ছেন।
আটপৌরের গয়নায় মূলত ইন্ডিয়ান রুপার ওপর সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের বিশেষ চাহিদা থাকলে তবেই আসল রুপা দিয়ে গয়না বানিয়ে দেয় আটপৌরে। শুধু বিয়েই নয়, গায়েহলুদের জন্যও গয়না তৈরি করে আটপৌরে। বিয়েতে কেউ চাইলে আটপৌরের কোনো গয়নার সঙ্গে মিলিয়ে পুরো সেট বানিয়ে নিতে পারে।
বিয়েতে গয়না ব্যবহার প্রসঙ্গে ইপ্সিতা হুমায়রা জানান, সবাই চায় যে বিয়ের দিনটিতে তাঁকে খুব সুন্দর লাগুক। এ ক্ষেত্রে সোনার গয়না গুরুত্বপূর্ণ নয়; বরং বিয়েতে কনে যে পোশাক পরবেন তার সঙ্গে গয়না কতটা সুন্দরভাবে তাঁকে উপস্থাপন করবে, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেন্ডি নকশাকে সবাই সব সময় স্বাগত জানায়। তবে যেসব গয়না আমাদের আগের প্রজন্ম ব্যবহার করেছেন, সেগুলোর প্রতি একধরনের মুগ্ধতা থাকে। সে জন্য এখন অনেকেই জুয়েলারির ফেসবুক পেজ বা জুয়েলারির দোকান থেকে নিজের পছন্দমতো সাবেকি ধাঁচের গয়না গড়িয়ে নিচ্ছেন।
একবার এক বিয়ের কনে একটি টিকলি নিয়ে এসেছিলেন সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির স্বত্বাধিকারী লরা খানের কাছে। টিকলিটি তাঁর বাবা উপহার দিয়েছিলেন জন্মের পর। সেটিই তিনি বিয়েতে পরতে চান। কিন্তু আধুনিক নকশার অন্য় সব গয়নার ভিড়ে সাবেকি মোটিফের ওই টিকলি তো বেমানান! কনে আবদার করলেন, টিকলির নকশার মতো করেই হাত, গলা, কানের বাকি গয়নাগুলো তৈরি করে দেওয়ার জন্য।
ঘটনার অবতারণা যে কারণে তা হলো, এখন বিয়েতে অনেকেই সাবেকি ধাঁচের গয়নায় নিজেকে সাজাতে ভালোবাসেন। নানি-দাদি, মা-খালাদের পুরোনো গয়না এ ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে। সেসব পুরোনো গয়নার নকশা দিয়ে নতুন করে কাস্টমাইজ সেট তৈরি করে নিতে সিক্স ইয়ার্ডস স্টোরির মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর দ্বারস্থ হচ্ছেন এ যুগের কনেরা। ইদানীং খেয়াল করলে দেখা যায়, বিয়েতে গৎবাঁধা ভারী সাজপোশাকের বদলে স্বচ্ছন্দের লুকে সাজতে ভালোবাসেন কনেরা।
বিয়েতে আধুনিক গয়নার পাশাপাশি পুরোনো গয়নার চাহিদা বেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে লরা খান বলেন, ‘আগের দিনে বিয়েতে কনের বাবার বাড়ি ও শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনার গয়না দিত—এখনো অনেকে দেয়। কারণ সোনাকে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হিসেবে দেখা হয়। বিপদে-আপদে, প্রয়োজনে এটি বিক্রি করা যায়। কিন্তু এখন মেয়েরা গয়না বিষয়ে স্বচ্ছন্দের দিকটি নিয়ে ভাবতে শুরু করেছেন। প্রথমত, সোনার গয়না সব সময় পরা হয় না, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন কারণে। কিন্তু রুপা, পিতল বা অন্য ধাতুর গয়না নিলে যেকোনো সময় ব্যবহার করা যায়।’
ব্রাইডাল গয়নার মোটিফের অনুপ্রেরণা হিসেবে কনেদের পছন্দকেই বেশি কৃতিত্ব দেন লরা খান। অনেক কনেই আছেন যাঁরা নিজেদের মায়ের বিয়ের গয়নার আদলে গয়না তৈরি করে দিতে বলেন তাঁকে। কেউ কেউ মায়ের বিয়ের ছবি পাঠিয়েও জানান, এই লুকটা নিজের বিয়েতে চাই। টুকরো টুকরো এই ঘটনাগুলোর পরিপ্রেক্ষিতে এক একটি গয়নার গল্প গড়ে ওঠে বলে জানান লরা খান। এসব গয়নার মধ্য়ে একটি হলো ‘বৌদি সেট’। এতে টিকলি, কানের দুল, গলার হার, বালাম নাকছাবি ও নূপুর রয়েছে। এ ছাড়া ভারতীয় কিংবদন্তি তারকা মধুবালার মিনিমাল লুকের পুরোনো গয়নার আদলে মধুবালা সেট বানিয়েছেন লরা খান।
সাবেকি ধাঁচের বিয়ের গয়না নিয়ে কাজ করেন ‘আটপৌরে’র স্বত্বাধিকারী ইপ্সিতা হুমায়রা। বিয়ের গয়না প্রসঙ্গে ইপ্সিতার ভাষ্য, ‘এখন বিয়েতে কনেদের মধ্যে শাড়ির ঐতিহ্য় আগলে রাখার একটা প্রবণতা দেখা যায়। বিষয়টি গয়নার ক্ষেত্রেও ঘটে। জামদানির সঙ্গে মিলিয়ে জামদানি মোটিফের কিংবা মায়ের বিয়ের শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে সাবেকি ধাঁচের গয়না তৈরি করে পরছেন তাঁরা।’ বিয়ের গয়না তৈরির ক্ষেত্রে যে বিষয়টি বিবেচনায় রাখেন ঈপ্সিতা তা হলো, গয়নাগুলো যেন বিয়ের পরেও পরার উপযোগী থাকে।
পুরোনো ধাঁচের গয়না নিয়ে কাজ করা প্রসঙ্গে লরা খানের ভাষ্য়, ‘পুরোনো দিনে যে ধরনের গয়না ছিল, সেগুলোর প্রতি ব্যক্তিগতভাবে আমার ভালো লাগা রয়েছে।’ পুরোনো গয়না দেখলে সেগুলো নিয়ে কাজ করতে ইচ্ছে করে তাঁর। নতুন করে পুরোনো গয়নাগুলো আবার যখন রিক্রিয়েট করেন, তখন অনেকেই নস্টালজিক হয়ে পড়েন। অনেক গয়নাই তাঁদের পরিচিত মনে হয়—হয়তো মায়ের ছিল বা পরিচিত কারও ছিল!
ইপ্সিতা হুমায়রা জানান, এখন খুব বেশি পাথরের কাজ হচ্ছে না, আবার খুব বেশি রঙের ব্যবহারে গয়নাও তৈরি হচ্ছে না। আমাদের নানি-দাদি বা মা-খালারা যেমন হালকা নকশার গয়না পরতেন, সে রকম ধাঁচেই গয়না তৈরি হচ্ছে। ফলে সাবেকিয়ানার ব্যাপারটিকে মুখ্য রেখে গয়না তৈরি করা হয়।
বিয়েতে কনেরা সোনার ভারী গয়নার বদলে ওজনে হালকা এবং মিনিমাল নকশার রুপা ও পিতলের গয়নাই বেশি লুফে নিচ্ছেন।
আটপৌরের গয়নায় মূলত ইন্ডিয়ান রুপার ওপর সোনার প্রলেপ দেওয়া হয়। তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ক্লায়েন্টের বিশেষ চাহিদা থাকলে তবেই আসল রুপা দিয়ে গয়না বানিয়ে দেয় আটপৌরে। শুধু বিয়েই নয়, গায়েহলুদের জন্যও গয়না তৈরি করে আটপৌরে। বিয়েতে কেউ চাইলে আটপৌরের কোনো গয়নার সঙ্গে মিলিয়ে পুরো সেট বানিয়ে নিতে পারে।
বিয়েতে গয়না ব্যবহার প্রসঙ্গে ইপ্সিতা হুমায়রা জানান, সবাই চায় যে বিয়ের দিনটিতে তাঁকে খুব সুন্দর লাগুক। এ ক্ষেত্রে সোনার গয়না গুরুত্বপূর্ণ নয়; বরং বিয়েতে কনে যে পোশাক পরবেন তার সঙ্গে গয়না কতটা সুন্দরভাবে তাঁকে উপস্থাপন করবে, সেটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
ট্রেন্ডি নকশাকে সবাই সব সময় স্বাগত জানায়। তবে যেসব গয়না আমাদের আগের প্রজন্ম ব্যবহার করেছেন, সেগুলোর প্রতি একধরনের মুগ্ধতা থাকে। সে জন্য এখন অনেকেই জুয়েলারির ফেসবুক পেজ বা জুয়েলারির দোকান থেকে নিজের পছন্দমতো সাবেকি ধাঁচের গয়না গড়িয়ে নিচ্ছেন।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে