কয়রা (খুলনা) প্রতিনিধি
শাকবেড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রাম আবারও প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেড়িবাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পানিবন্দী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে। নদীতে প্রবল স্রোত ও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শনিবার রাতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ পুনরায় ভেঙে যায়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বেড়ি বাঁধের একই জায়গা ভেঙে যায়। ওই সময় স্থানীয় মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া পয়েন্টটি মেরামত করা হয়। পরে বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত ওই স্থানটি পুনরায় নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার যথাসময়ে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ না করায় আবার তা আবার ভেঙে যায়।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে ৪১০ মিটার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
গাতিরঘেরী গ্রামের গণেশ গাইন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর প্রায় পাঁচ মাস পানিবন্দী ছিলাম। মাসখানেক আগে বাঁধ পুনর্নির্মাণ হওয়ায় মনে করেছিলাম বিধাতা হয়তো আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে আবারও বাঁধ ভেঙে আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি। জানি না এ দশা থেকে আবার কবে মুক্ত হব।’
হরিহারপুর গ্রামের সিতা মণ্ডল বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঘরবাড়ি ভেসে গেয়েছিল। ছয় মাস ধরে পরিবার নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বাস করেছি। বাঁধ হওয়ায় নতুন করে ঘর তৈরির স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু সেটা দুঃস্বপ্নই থেকে গেল। আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছি।’
উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণের কাজটি মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে কালাম নামের এক শ্রমিক সাব কন্টাক্টে কিনে নিয়েছিলেন। টিউবে বালি ভরে রিং বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু অসাবধানতাবশত টিউবের তল দিয়ে পানি ঢুকে বেড়িবাঁধটি আবারও ভেঙে গেছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপসহকারী প্রকৌশল মশিউল আবেদিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশের বেড়িবাঁধের একটা অংশ ভেঙে গেছে। এর আগেও ওই স্থানটি ভেঙে গিয়েছিল। পুনর্নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার মানুষকে পানিবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা ও কম্বল দেওয়া হয়েছে।
শাকবেড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর বেদকাশি ইউনিয়নের গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রাম আবারও প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে দুই গ্রামের অন্তত ২০০ পরিবার। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বেড়িবাঁধ নির্মাণে ঠিকাদারের গাফিলতির কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
পানিবন্দী পরিবারগুলোর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট বেশি উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হতে থাকে। নদীতে প্রবল স্রোত ও স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় গত শনিবার রাতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধ পুনরায় ভেঙে যায়।
জানা গেছে, চলতি বছরের ২৬ মে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে বেড়ি বাঁধের একই জায়গা ভেঙে যায়। ওই সময় স্থানীয় মানুষের স্বেচ্ছাশ্রমে ভেঙে যাওয়া পয়েন্টটি মেরামত করা হয়। পরে বেড়িবাঁধের ক্ষতিগ্রস্ত ওই স্থানটি পুনরায় নির্মাণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছিল। কিন্তু ঠিকাদার যথাসময়ে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ না করায় আবার তা আবার ভেঙে যায়।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশ থেকে ৪১০ মিটার পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণের জন্য মেসার্স জিয়াউল ট্রেডার্স নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। নির্মাণকাজের ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৫০ লাখ টাকা।
গাতিরঘেরী গ্রামের গণেশ গাইন বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের পর প্রায় পাঁচ মাস পানিবন্দী ছিলাম। মাসখানেক আগে বাঁধ পুনর্নির্মাণ হওয়ায় মনে করেছিলাম বিধাতা হয়তো আমাদের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন। কিন্তু ঠিকাদারের গাফিলতিতে আবারও বাঁধ ভেঙে আমরা পানিবন্দী হয়ে পড়েছি। জানি না এ দশা থেকে আবার কবে মুক্ত হব।’
হরিহারপুর গ্রামের সিতা মণ্ডল বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ঘরবাড়ি ভেসে গেয়েছিল। ছয় মাস ধরে পরিবার নিয়ে ঝুপড়ি ঘরে বাস করেছি। বাঁধ হওয়ায় নতুন করে ঘর তৈরির স্বপ্ন দেখছিলাম। কিন্তু সেটা দুঃস্বপ্নই থেকে গেল। আবারও পানিবন্দী হয়ে পড়েছি।’
উত্তর বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জানান, বেড়িবাঁধ পুনর্নির্মাণের কাজটি মূল ঠিকাদারের কাছ থেকে কালাম নামের এক শ্রমিক সাব কন্টাক্টে কিনে নিয়েছিলেন। টিউবে বালি ভরে রিং বাঁধ তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু অসাবধানতাবশত টিউবের তল দিয়ে পানি ঢুকে বেড়িবাঁধটি আবারও ভেঙে গেছে।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (বিভাগ-২) উপসহকারী প্রকৌশল মশিউল আবেদিন বলেন, ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে শাকবাড়িয়া নদীতে স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উঁচু দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এতে হরিহারপুর লঞ্চঘাটের পূর্বপাশের বেড়িবাঁধের একটা অংশ ভেঙে গেছে। এর আগেও ওই স্থানটি ভেঙে গিয়েছিল। পুনর্নির্মাণের জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দেওয়া আছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এলাকার মানুষকে পানিবন্দী অবস্থা থেকে মুক্ত করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস জানান, শাকবাড়িয়া নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙে গাতিরঘেরী ও হরিহারপুর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী মানুষের জন্য খাদ্যসহায়তা ও কম্বল দেওয়া হয়েছে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে