নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
‘কয়েক বছর আগেও অর্ডারের এত চাপ ছিল যে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত কাজ করেছি। চাঁদরাতে ৩টা পর্যন্ত দোকানে থাকা লাগছে। আর এখন অর্ডারের যে অবস্থা, ২৮ রোজার মধ্যে সব শেষ কইরা বাড়ি চইলা যাইতে পারব।’ বলছিলেন রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের নিপুন টেইলার্সের দরজি (মাস্টার) জাকির হোসেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গাউছিয়া, নিউমার্কেট, নূর ম্যানসন, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকার দরজিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর দরজিবাড়িতে আগের মতো চাপ নেই। করোনার আগে ১০ রমজানের পর আর পোশাক সেলাইয়ের যেখানে অর্ডার নেওয়া সম্ভব হতো না, সেখানে এবার ফাঁকা পড়ে আছে দরজিদের হাত।
দরজি কারিগরদের ধারণা, অনেকেই এবার রমজানের আগেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। সে জন্য হয়তো রোজায় তাঁদের হাতে কাজ কম।
নূর ম্যানসন মার্কেটের দরজি মাস্টার মোহাম্মদ হান্নান বলেন, শবে বরাতের আগে কিছুটা চাপ ছিল। রমজানে ভিড়ভাট্টা, ক্লান্ত থাকে সবাই। অনেকে তাই আগেই সব কেনাকাটা শেষ করছেন।
আবার দরজিদের কেউ কেউ মনে করছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত মানুষ ঈদের কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার তৈরি পোশাকের (রেডিমেড) দিকে ঝুঁকছেন। ফলে দরজিবাড়িতে গ্রাহকের আনাগোনা কমে গেছে।
নিপুন টেইলার্সের মাস্টার জাকির হোসেন বলেন, আগে মানুষ পেট চালাবে। তারপর তো জামাকাপড়। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেশি৷ তাই জামাকাপড় কেনাকাটাও একটু কমছে মনে হয়।
রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবার গতকাল রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোর পোশাকের দোকানে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে দরজির দোকানগুলোতে। দুপুরের পরেও গ্রাহকশূন্য দোকানে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে অনেক মাস্টার ও কারিগরদের। তাঁরা বলছেন, শবে মেরাজের সপ্তাহখানেক আগে থেকে শবে বরাতের এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত দরজির দোকানে অর্ডারের চাপ ছিল অনেক বেশি। কিন্তু রমজান আসতেই সেগুলো গ্রাহকশূন্য হয়ে পড়েছে।
নূর ম্যানসন মার্কেটে ১৯৭২ সাল থেকে দরজির কাজ করছেন আখতার হোসেন। স্বাধীনতার পর থেকে দরজির দোকানের হালচাল সবকিছুই তাঁর জানা। দেশের অনেক তারকা অভিনেত্রীও ছিলেন তাঁর নিয়মিত গ্রাহক। প্রবীণ এই দরজি মাস্টার বলেন, ‘এইবারের মতো খারাপ অবস্থা কখনো দেখি নাই।
ঢাকাইয়ারা আগে ঈদে ১৫-২০ সেট কইরাও জামাকাপড় বানাত। ঈদে তো বটেই, শবে বরাতেও নতুন জামা লাগত তাদের। এখন আর সেই দিন নাই।’
অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, বর্তমানে দরজির দোকানে পোশাক সেলাইয়ের মজুরি অনেক বেশি। তাই কাপড় কিনে পোশাক সেলাইয়ের বদলে তৈরি পোশাক কেনাটাই সাশ্রয়ী। মৌচাক মার্কেটে ঈদের পোশাক কিনতে আসা উম্মে তারান্নুম বলেন, ‘বছর দুয়েক আগেও ২০০-২৫০ টাকা মজুরিতে জামা বানাইছি। এখন ৪৫০-এর নিচে মজুরি নাই। একটি ডিজাইন দিলে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকাও মজুরি ধরে। এর চেয়ে রেডিমেড কিনলে ডিজাইন ভালো পাওয়া যায়। দরজির বাড়িতে দৌড়াদৌড়িতে আলাদা সময়ও লাগে না।’
ছুটির দিনে উপচেপড়া ভিড়
শুক্রবার রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, গাউছিয়া, মৌচাকের মতো বিপণিবিতানগুলোতে পা ফেলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ক্রেতারা। বসুন্ধরার আড়ংয়ের শোরুমে আসা মনোয়ার আলীম বলেন, ‘ছুটির দিনে সব কেনাকাটা শেষ করব ভাবছিলাম৷ এখন দেখছি পা ফেলারই জায়গা পাচ্ছি না৷ কিনব কীভাবে।’
তবে বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের ভিড় বেশি হলেও তুলনামূলকভাবে বেচাকেনা কম। ধানমন্ডি হকার্সের সবুজ আহমেদ বলেন, মানুষ অনেক, কিন্তু বেচাবিক্রি কম।
‘কয়েক বছর আগেও অর্ডারের এত চাপ ছিল যে ঈদের দিন সকাল পর্যন্ত কাজ করেছি। চাঁদরাতে ৩টা পর্যন্ত দোকানে থাকা লাগছে। আর এখন অর্ডারের যে অবস্থা, ২৮ রোজার মধ্যে সব শেষ কইরা বাড়ি চইলা যাইতে পারব।’ বলছিলেন রাজধানীর গাউছিয়া মার্কেটের নিপুন টেইলার্সের দরজি (মাস্টার) জাকির হোসেন।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর গাউছিয়া, নিউমার্কেট, নূর ম্যানসন, মৌচাকসহ বিভিন্ন এলাকার দরজিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এ বছর দরজিবাড়িতে আগের মতো চাপ নেই। করোনার আগে ১০ রমজানের পর আর পোশাক সেলাইয়ের যেখানে অর্ডার নেওয়া সম্ভব হতো না, সেখানে এবার ফাঁকা পড়ে আছে দরজিদের হাত।
দরজি কারিগরদের ধারণা, অনেকেই এবার রমজানের আগেই ঈদের কেনাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। সে জন্য হয়তো রোজায় তাঁদের হাতে কাজ কম।
নূর ম্যানসন মার্কেটের দরজি মাস্টার মোহাম্মদ হান্নান বলেন, শবে বরাতের আগে কিছুটা চাপ ছিল। রমজানে ভিড়ভাট্টা, ক্লান্ত থাকে সবাই। অনেকে তাই আগেই সব কেনাকাটা শেষ করছেন।
আবার দরজিদের কেউ কেউ মনে করছেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির কারণে মধ্যবিত্ত মানুষ ঈদের কেনাকাটা কমিয়ে দিয়েছেন। অনেকে আবার তৈরি পোশাকের (রেডিমেড) দিকে ঝুঁকছেন। ফলে দরজিবাড়িতে গ্রাহকের আনাগোনা কমে গেছে।
নিপুন টেইলার্সের মাস্টার জাকির হোসেন বলেন, আগে মানুষ পেট চালাবে। তারপর তো জামাকাপড়। নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বেশি৷ তাই জামাকাপড় কেনাকাটাও একটু কমছে মনে হয়।
রমজানের দ্বিতীয় শুক্রবার গতকাল রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোর পোশাকের দোকানে ছিল উপচেপড়া ভিড়। কিন্তু এর উল্টো চিত্র দেখা গেছে দরজির দোকানগুলোতে। দুপুরের পরেও গ্রাহকশূন্য দোকানে অলস সময় কাটাতে দেখা গেছে অনেক মাস্টার ও কারিগরদের। তাঁরা বলছেন, শবে মেরাজের সপ্তাহখানেক আগে থেকে শবে বরাতের এক সপ্তাহ পর পর্যন্ত দরজির দোকানে অর্ডারের চাপ ছিল অনেক বেশি। কিন্তু রমজান আসতেই সেগুলো গ্রাহকশূন্য হয়ে পড়েছে।
নূর ম্যানসন মার্কেটে ১৯৭২ সাল থেকে দরজির কাজ করছেন আখতার হোসেন। স্বাধীনতার পর থেকে দরজির দোকানের হালচাল সবকিছুই তাঁর জানা। দেশের অনেক তারকা অভিনেত্রীও ছিলেন তাঁর নিয়মিত গ্রাহক। প্রবীণ এই দরজি মাস্টার বলেন, ‘এইবারের মতো খারাপ অবস্থা কখনো দেখি নাই।
ঢাকাইয়ারা আগে ঈদে ১৫-২০ সেট কইরাও জামাকাপড় বানাত। ঈদে তো বটেই, শবে বরাতেও নতুন জামা লাগত তাদের। এখন আর সেই দিন নাই।’
অন্যদিকে ক্রেতাদের অভিযোগ, বর্তমানে দরজির দোকানে পোশাক সেলাইয়ের মজুরি অনেক বেশি। তাই কাপড় কিনে পোশাক সেলাইয়ের বদলে তৈরি পোশাক কেনাটাই সাশ্রয়ী। মৌচাক মার্কেটে ঈদের পোশাক কিনতে আসা উম্মে তারান্নুম বলেন, ‘বছর দুয়েক আগেও ২০০-২৫০ টাকা মজুরিতে জামা বানাইছি। এখন ৪৫০-এর নিচে মজুরি নাই। একটি ডিজাইন দিলে ৭০০ থেকে ১ হাজার টাকাও মজুরি ধরে। এর চেয়ে রেডিমেড কিনলে ডিজাইন ভালো পাওয়া যায়। দরজির বাড়িতে দৌড়াদৌড়িতে আলাদা সময়ও লাগে না।’
ছুটির দিনে উপচেপড়া ভিড়
শুক্রবার রাজধানীর বিপণিবিতানগুলোতে ছিল উপচেপড়া ভিড়। বসুন্ধরা সিটি, নিউমার্কেট, চাঁদনীচক, গাউছিয়া, মৌচাকের মতো বিপণিবিতানগুলোতে পা ফেলতে হিমশিম খাচ্ছিলেন ক্রেতারা। বসুন্ধরার আড়ংয়ের শোরুমে আসা মনোয়ার আলীম বলেন, ‘ছুটির দিনে সব কেনাকাটা শেষ করব ভাবছিলাম৷ এখন দেখছি পা ফেলারই জায়গা পাচ্ছি না৷ কিনব কীভাবে।’
তবে বিক্রেতারা বলছেন, ক্রেতাদের ভিড় বেশি হলেও তুলনামূলকভাবে বেচাকেনা কম। ধানমন্ডি হকার্সের সবুজ আহমেদ বলেন, মানুষ অনেক, কিন্তু বেচাবিক্রি কম।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
১৭ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে