নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেল দেশি চার প্রতিষ্ঠান। এরা হলো—স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কলম্বিয়া গার্মেন্টস, বিএসআরএম ও রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস। এর মধ্যে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ফিলিপাইনে ১০ লাখ ডলার এবং কলম্বিয়া গার্মেন্টস লিমিটেড হংকংয়ে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে। এ দুই প্রতিষ্ঠান বিদেশে কারখানা স্থাপন করে চলতি বছরেই উৎপাদন শুরু করবে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিএসআরএম ৫ লাখ ডলার হংকংয়ে এবং ওষুধ খাতে রেনেটাকে যুক্তরাজ্যে ৫০ লাখ ডলার ও আয়ারল্যান্ডে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওষুধ খাতে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দিয়েছে। বিদেশে বিনিয়োগ করতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা মেনে উৎপাদনে যেতে হয়। আমরা দ্রুত উৎপাদনে যেতে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি গ্রুপ কাজ করছে। করোনাসহ পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকলে আমরা চলতি বছরের শেষের দিকে উৎপাদন শুরু করতে পারব।’
পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান কলম্বিয়া গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শর্তসাপেক্ষে সরকার দেশের বাইরে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়। এতে দেশের বাইরে বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদনে যেতে আর কোনো বাধা থাকল না। অনুমোদন পাওয়ার আগ থেকেই আমাদের বিশেষ দল বিদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রাথমিক কিছু কাজ করেছিল। দেশের বাইরে উৎপাদনে যেতে অনেক ধাপ পেরুতে হবে। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশে বিনিয়োগের কাজ শুরু করব। আর জনবল নিয়োগে দেশের হতে হবে নাকি বিদেশের হতে হবে সেই বিষয়ে কোনো ধারাবাঁধা নিয়ম নেই। আমরা উৎপাদনের জন্য কর্মক্ষম জনশক্তি নিয়োগে নিজস্ব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারব।’
দেশের বাহিরে কেন বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে উৎপাদনে আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা নেই। তবে দেশের বাইরে উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে চাই। এ দেশের জনবল নিয়োগের যেমন সুযোগ হবে তেমনি বিদেশি মুদ্রা আয়ের বাড়তি সুযোগ মিলবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব কারখানায় স্থানীয় জনবলের পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগের ফলে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে বলেও জানান তারা। দীর্ঘদিন ধরেই দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সরকারও মনে করে, এ সুযোগ দেওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ বাড়বে এবং দেশের লোকের বিদেশে কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
জানা গেছে, বিদেশে বিনিয়োগ বিষয়ে গত সপ্তাহে নতুন বিধিমালা জারি করে সরকার। সেই নীতিমালা অনুযায়ী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কলম্বিয়া গার্মেন্টস, বিএসআরএম ও রেনেটাকে ফিলিপাইন, হংকং, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে বিডি ভেঞ্চারের আবেদন নাকচ এবং মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ সিড ক্রাশিংয়ের আবেদন আরও পর্যালোচনার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। উল্লেখ্য, এই অনুমোদনের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগ করলেও কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। তবে রপ্তানিকারক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কেস টু কেস ভিত্তিতে অনুমতি দিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে মোবিল যমুনা ২০১৯ সালে মিয়ানমারে বিনিয়োগ করেও ফেরত এনেছে। এ ছাড়া বিএসআরএম ২০১৬ সালে কেনিয়ায় ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছিল। একই বছর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়ায় ১ কোটি ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগের অনুমতি নেয়।
বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ পেল দেশি চার প্রতিষ্ঠান। এরা হলো—স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কলম্বিয়া গার্মেন্টস, বিএসআরএম ও রেনাটা ফার্মাসিউটিক্যালস। এর মধ্যে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ফিলিপাইনে ১০ লাখ ডলার এবং কলম্বিয়া গার্মেন্টস লিমিটেড হংকংয়ে ১৫ লাখ ডলার বিনিয়োগ করবে। এ দুই প্রতিষ্ঠান বিদেশে কারখানা স্থাপন করে চলতি বছরেই উৎপাদন শুরু করবে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছে। চারটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ ডলার বিদেশে বিনিয়োগের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বিএসআরএম ৫ লাখ ডলার হংকংয়ে এবং ওষুধ খাতে রেনেটাকে যুক্তরাজ্যে ৫০ লাখ ডলার ও আয়ারল্যান্ডে ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মিজানুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা ওষুধ খাতে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছি। আমাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারের নির্দেশনার আলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দিয়েছে। বিদেশে বিনিয়োগ করতে হলে বেশ কিছু বিষয়ে আনুষ্ঠানিকতা মেনে উৎপাদনে যেতে হয়। আমরা দ্রুত উৎপাদনে যেতে সর্বাত্মক কাজ করে যাচ্ছি। এক্ষেত্রে আমাদের কয়েকটি গ্রুপ কাজ করছে। করোনাসহ পরিস্থিতি সহনীয় পর্যায়ে থাকলে আমরা চলতি বছরের শেষের দিকে উৎপাদন শুরু করতে পারব।’
পোশাক খাতের প্রতিষ্ঠান কলম্বিয়া গার্মেন্টসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সালাহউদ্দিন আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শর্তসাপেক্ষে সরকার দেশের বাইরে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। সেই সিদ্ধান্তের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ ব্যাংক বিদেশে বিনিয়োগের অনুমতি দেয়। এতে দেশের বাইরে বিনিয়োগের মাধ্যমে উৎপাদনে যেতে আর কোনো বাধা থাকল না। অনুমোদন পাওয়ার আগ থেকেই আমাদের বিশেষ দল বিদেশে বিনিয়োগের জন্য প্রাথমিক কিছু কাজ করেছিল। দেশের বাইরে উৎপাদনে যেতে অনেক ধাপ পেরুতে হবে। এসব আনুষ্ঠানিকতা শেষে আমরা সংশ্লিষ্ট দেশে বিনিয়োগের কাজ শুরু করব। আর জনবল নিয়োগে দেশের হতে হবে নাকি বিদেশের হতে হবে সেই বিষয়ে কোনো ধারাবাঁধা নিয়ম নেই। আমরা উৎপাদনের জন্য কর্মক্ষম জনশক্তি নিয়োগে নিজস্ব সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগাতে পারব।’
দেশের বাহিরে কেন বিনিয়োগ করতে যাচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দেশের বাইরে উৎপাদনে আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা নেই। তবে দেশের বাইরে উৎপাদনের ক্ষেত্রে আমরা বিশেষ কৌশল অবলম্বন করতে চাই। এ দেশের জনবল নিয়োগের যেমন সুযোগ হবে তেমনি বিদেশি মুদ্রা আয়ের বাড়তি সুযোগ মিলবে।’
সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব কারখানায় স্থানীয় জনবলের পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেকের কাজের সুযোগ তৈরি হবে। এ ছাড়া বিদেশে বিনিয়োগের ফলে দেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরি হবে বলেও জানান তারা। দীর্ঘদিন ধরেই দেশীয় উদ্যোক্তারা বিদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে সরকারের কাছে জোর দাবি জানিয়ে আসছিলেন। সরকারও মনে করে, এ সুযোগ দেওয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা প্রবাহ বাড়বে এবং দেশের লোকের বিদেশে কাজের সুযোগ তৈরি হবে।
জানা গেছে, বিদেশে বিনিয়োগ বিষয়ে গত সপ্তাহে নতুন বিধিমালা জারি করে সরকার। সেই নীতিমালা অনুযায়ী স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, কলম্বিয়া গার্মেন্টস, বিএসআরএম ও রেনেটাকে ফিলিপাইন, হংকং, যুক্তরাজ্য এবং আয়ারল্যান্ডে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে বিডি ভেঞ্চারের আবেদন নাকচ এবং মেঘনা গ্রুপের প্রতিষ্ঠান সোনারগাঁ সিড ক্রাশিংয়ের আবেদন আরও পর্যালোচনার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। উল্লেখ্য, এই অনুমোদনের আগে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান বিদেশে বিনিয়োগ করলেও কোনো সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ছিল না। তবে রপ্তানিকারক কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে কেস টু কেস ভিত্তিতে অনুমতি দিয়ে আসছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নেতৃত্বে সরকারের বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি এ পর্যন্ত ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে দেশের বাইরে বিনিয়োগের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্যে মোবিল যমুনা ২০১৯ সালে মিয়ানমারে বিনিয়োগ করেও ফেরত এনেছে। এ ছাড়া বিএসআরএম ২০১৬ সালে কেনিয়ায় ৪৬ লাখ ৭০ হাজার ডলারের বিনিয়োগের অনুমতি পেয়েছিল। একই বছর স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস কেনিয়ায় ১ কোটি ২০ লাখ ডলার বিনিয়োগের অনুমতি নেয়।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে