বদরুল ইসলাম মাসুদ, বান্দরবান ও অনুপম মারমা, থানচি
বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টি কম হওয়ায় বান্দরবানের থানচি উপজেলার পাহাড়ে জুমচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত ফসল না হওয়ায় জুমচাষিদের চোখে-মুখে এখন দুশ্চিন্তার ছাপ। ফসল কম হওয়ায় কৃষকেরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পাহাড়ে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে হাজার বছর ধরে পাহাড়ি জমিতে একই সঙ্গে ধান, ভুট্টা, আদা, হলুদ, সবজি চাষ করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে করা পাহাড়িদের এই চাষপদ্ধতি ‘জুমচাষ’ নামে পরিচিত।
থানচিতে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন বাস করে। প্রধানত জুমচাষ থেকে পাওয়া ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলে সারাবছরের চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা। এবার ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। আগামী এক বছরে তাদের পরিবার কীভাবে চলবে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাবেন কী করে, সে চিন্তায় জুমচাষিদের চোখে ঘুম নেই।
থানচি উপজেলার রেমাক্রী, ঝিলং, লিক্রীসহ আশপাশ এলাকায় দেখা যায়, পাহাড়ে উঁচু জমিতে ধান, তিল, ভুট্টা, মরিচ, শাকসবজি, ফল, কুমড়াসহ নানা জাতের ফসলের চাষ হয়েছে। তবে জুমচাষিরা বলেন, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জুমের ফসল ভালো হয়নি। খরা ও রোদে চোখের সামনে ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল ঝলসে গেছে, কোথাও ধানে চিটা বেশি; কিন্তু সেচের সুযোগ নেই।
থানচি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ম্রোপাড়ার বাসিন্দা সিংক্লান ম্রো পরিবারের বৃদ্ধ মা-বাবা, ছেলেমেয়েসহ আটজন সদস্য রয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাহাড়ি জমিতে ১৩ হাঁড়ি (১ হাঁড়ি ১০ কেজি) বীজধান রোপণ করে ৫০০ হাঁড়ি ধান পান। এ ছাড়া মিষ্টিকুমড়া, জুমকুমড়া, তিল, ভুট্টা, মরিচ, ফল (মারফা) বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছে। পরিবারের ভরণপোষণে অসুবিধা হয়নি।
সিংক্লান ম্রো বলেন, চলতি বছরে লিক্রি সড়কের পাশে ১২ হাঁড়ি ধান লাগানোর হয়; কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রখর রোদে ধানসহ অন্য ফসল মরে গেছে। বৃষ্টি না হলে ১০০ হাঁড়ি ধান পাবেন কি না সন্দেহ করছেন। তার মতো, কুংহ্লাপাড়ার ৫০ পরিবার, কাইথংপাড়ার ৮০ পরিবারের একই পরিণতি হবে।
থানচি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৩ হাজার ১৬৭ কৃষক পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে উঁচু জমিতে জুমচাষ করে ৯৫ শতাংশ পরিবার। বাকিরা বিভিন্ন ঝিরির মাঝে সমতলভূমিতে চাষ করেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ২ হাজার ৪৮৪ হেক্টর জমির মধ্যে ২ হাজার ৪৬২ হেক্টর উঁচু জমিতে জুমচাষ হয়।
বাকি ২২ হেক্টর জমি অন্যান্য কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। চলতি বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২২ মেট্রিক টন। গত বছর ৬ হাজার ৪৩৯ মেট্রিক টন ফসল হয়েছিল, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ মেট্রিক টন বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘চলতি বছরে ১০০ জন কৃষক পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে প্রণোদনা বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া কৃষিজমির জন্য ১০টি পরিবারকে প্রদর্শনী প্লট হিসেবে সহযোগিতা করা হয়েছে। তাঁদের ফসল খুবই ভালো হয়েছে এবং তাঁরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবেন।’
কুংহ্রাপাড়ার বাসিন্দা সিংক্লাং ম্রো বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাদের আমরা চিনি না, জানি না। যোগাযোগ ভালো হলেও তাঁরা আমাদের পাড়ায় কোনো দিন আসেন না। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় আমাদের ওয়ার্ডের ৭-৮টি পাড়ার লোকজন কোনো সুবিধা পাই না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আরিফিন সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামনে বৃষ্টি হলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব; কিন্তু বৃষ্টির অবস্থা এমন হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে।’
বৈরী আবহাওয়া ও বৃষ্টি কম হওয়ায় বান্দরবানের থানচি উপজেলার পাহাড়ে জুমচাষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত ফসল না হওয়ায় জুমচাষিদের চোখে-মুখে এখন দুশ্চিন্তার ছাপ। ফসল কম হওয়ায় কৃষকেরা আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি পাহাড়ে খাদ্যসংকটের আশঙ্কা করছেন।
পার্বত্য চট্টগ্রামে হাজার বছর ধরে পাহাড়ি জমিতে একই সঙ্গে ধান, ভুট্টা, আদা, হলুদ, সবজি চাষ করা হয়। প্রাকৃতিকভাবে করা পাহাড়িদের এই চাষপদ্ধতি ‘জুমচাষ’ নামে পরিচিত।
থানচিতে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকজন বাস করে। প্রধানত জুমচাষ থেকে পাওয়া ধান, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলে সারাবছরের চাহিদা মিটিয়ে থাকেন তারা। এবার ফলন কম হওয়ার পাশাপাশি দ্রব্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’ হয়ে দেখা দিয়েছে। আগামী এক বছরে তাদের পরিবার কীভাবে চলবে, ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার খরচ চালাবেন কী করে, সে চিন্তায় জুমচাষিদের চোখে ঘুম নেই।
থানচি উপজেলার রেমাক্রী, ঝিলং, লিক্রীসহ আশপাশ এলাকায় দেখা যায়, পাহাড়ে উঁচু জমিতে ধান, তিল, ভুট্টা, মরিচ, শাকসবজি, ফল, কুমড়াসহ নানা জাতের ফসলের চাষ হয়েছে। তবে জুমচাষিরা বলেন, এবার বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় জুমের ফসল ভালো হয়নি। খরা ও রোদে চোখের সামনে ধান, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসল ঝলসে গেছে, কোথাও ধানে চিটা বেশি; কিন্তু সেচের সুযোগ নেই।
থানচি সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ম্রোপাড়ার বাসিন্দা সিংক্লান ম্রো পরিবারের বৃদ্ধ মা-বাবা, ছেলেমেয়েসহ আটজন সদস্য রয়েছেন। তিনি বলেন, গত বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাহাড়ি জমিতে ১৩ হাঁড়ি (১ হাঁড়ি ১০ কেজি) বীজধান রোপণ করে ৫০০ হাঁড়ি ধান পান। এ ছাড়া মিষ্টিকুমড়া, জুমকুমড়া, তিল, ভুট্টা, মরিচ, ফল (মারফা) বিক্রি করে ভালো লাভ হয়েছে। পরিবারের ভরণপোষণে অসুবিধা হয়নি।
সিংক্লান ম্রো বলেন, চলতি বছরে লিক্রি সড়কের পাশে ১২ হাঁড়ি ধান লাগানোর হয়; কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ায় ও প্রখর রোদে ধানসহ অন্য ফসল মরে গেছে। বৃষ্টি না হলে ১০০ হাঁড়ি ধান পাবেন কি না সন্দেহ করছেন। তার মতো, কুংহ্লাপাড়ার ৫০ পরিবার, কাইথংপাড়ার ৮০ পরিবারের একই পরিণতি হবে।
থানচি কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলার চারটি ইউনিয়নে ৩ হাজার ১৬৭ কৃষক পরিবার রয়েছে। এর মধ্যে উঁচু জমিতে জুমচাষ করে ৯৫ শতাংশ পরিবার। বাকিরা বিভিন্ন ঝিরির মাঝে সমতলভূমিতে চাষ করেন।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, উপজেলায় মোট ২ হাজার ৪৮৪ হেক্টর জমির মধ্যে ২ হাজার ৪৬২ হেক্টর উঁচু জমিতে জুমচাষ হয়।
বাকি ২২ হেক্টর জমি অন্যান্য কৃষিকাজে ব্যবহৃত হয়। চলতি বছর ধান উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২২ মেট্রিক টন। গত বছর ৬ হাজার ৪৩৯ মেট্রিক টন ফসল হয়েছিল, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২০০ মেট্রিক টন বেশি।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উদ্ভিদ সংরক্ষণ ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ দাশগুপ্ত বলেন, ‘চলতি বছরে ১০০ জন কৃষক পরিবারকে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে প্রণোদনা বীজ ও সার বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়। এ ছাড়া কৃষিজমির জন্য ১০টি পরিবারকে প্রদর্শনী প্লট হিসেবে সহযোগিতা করা হয়েছে। তাঁদের ফসল খুবই ভালো হয়েছে এবং তাঁরা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছাতে পারবেন।’
কুংহ্রাপাড়ার বাসিন্দা সিংক্লাং ম্রো বলেন, ‘কৃষি কর্মকর্তাদের আমরা চিনি না, জানি না। যোগাযোগ ভালো হলেও তাঁরা আমাদের পাড়ায় কোনো দিন আসেন না। প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে না দেওয়ায় আমাদের ওয়ার্ডের ৭-৮টি পাড়ার লোকজন কোনো সুবিধা পাই না।’
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল আরিফিন সবুজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সামনে বৃষ্টি হলে ফলনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব; কিন্তু বৃষ্টির অবস্থা এমন হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা কঠিন হবে।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে