ফেনী প্রতিনিধি
ফেনীতে বাড়ছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন উৎপাদন। শহরে, গ্রামের হাটবাজার, পাড়া-মহল্লাসহ সবখানে দেদারসে ব্যবহৃত হচ্ছে এ পলিথিন। নিষিদ্ধ হলেও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা না করায় এটি এখন প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ফেনীর বিসিক, রামপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অতিমুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী গোপনে কারখানা দিয়ে পিপি দানা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করছেন এবং বাজারজাত করছেন। এ ছাড়া প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনে লাইসেন্স যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরাই বালতি, মগ কিংবা অন্য কোনো পণ্যের মোড়কে পলিথিন ব্যবহার করছেন। আর এসব অনুমোদিত প্লাস্টিক কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে পলিথিন।
আবার শহরের বড় বাজার, হকার্স মার্কেট, মহিপাল কাঁচাবাজার, মুক্তবাজারসহ অভিজাত রেস্টুরেন্ট, মুদিদোকান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ফুটপাতের প্রায় সব দোকানে এবং পুরো জেলার সব দোকানে পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। সহজলভ্য ও ব্যবহারে সুবিধা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ক্ষতির দিক বিবেচনা না করে পলিথিন ব্যাগ দেদার ব্যবহার করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তাদের ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা চলছে। প্রতিটি হাটবাজারে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাইকারি পলিথিনের দোকান। এসব দোকানে উৎপাদনকারীরাই লোক দিয়ে পলিথিন সরবরাহ দিয়ে থাকে। ফলে তুলনামূলক এর চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা চরম আকারে বাড়ছে।
শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার নুরুল হক জানান, পলিথিনের মতো অপচনশীল দ্রব্যে পানিনিষ্কাশনের লাইন বন্ধ হয়ে প্রতিবছর বর্ষায় তাঁর এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ হয়। সরকারি সংস্থার সমালোচনা ছাড়াও জনসচেতনতার অভাব মনে করেন তিনি। যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলা, বিশেষ করে পলিথিনের অতি ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে টনক নড়ছে না কারও।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পলিথিনের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হোক, তাঁরা তা চান না। কিন্তু পলিথিনের মতো সহজলভ্য কোনো পণ্য বাজারে নেই। তাই কাজে লাগাচ্ছেন।
শহরের হকার মার্কেটে দেখা মেলে নুরুল আফসার নামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মুরগি কিনলে দোকানদার পলিথিন ধরিয়ে দিলে কী করব। চারদিকেই তো পলিথিন আর পলিথিন। বন্ধ করার ব্যবস্থা তো দেখি না। এ জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
এদিকে পরিবেশবিদেরা বলছেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে শাস্তির বিধান রেখে আইন করা হলেও কমেনি পলিথিনের ব্যবহার। পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতির কথা চিন্তা করে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। তখন বিকল্প হিসেবে কাগজ ও পাটের ব্যাগের প্রচলন শুরু হয়। পরে আইনের প্রয়োগ না থাকায় পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।
পরিবেশবাদী আতিক উল্লাহ বলেন, এটি বন্ধের আইন ও বিধিমালা রয়েছে। যারা এটা কার্যকর করবে, তারাই করছে না। জেলা প্রশাসনও পলিথিনের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়। পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের যানবাহনের অভাব, লোকবলের অভাবকে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে নিয়মিত অভিযান চালায় না। যে কারণে প্রকাশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন। তিনি বলেন, উৎপাদন তখনই বন্ধ হবে, যখন এটি বাজারজাত করা সম্ভব হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বলেন, তিনটি পলিথিন তৈরির বৈধ কারখানা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যরা কৌশলে পলিথিন উৎপাদন করছেন। যে কারণে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জায়গায় খুচরা বিক্রি করছেন। তবে বিক্রি নিষিদ্ধ এসব পলিথিন যারা প্রস্তুত এবং বাজারজাত করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রুত অভিযান চালাবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যত্রতত্র এটিকে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। যারা পলিথিন উৎপাদন বা বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে।
ফেনীতে বাড়ছে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর পলিথিন উৎপাদন। শহরে, গ্রামের হাটবাজার, পাড়া-মহল্লাসহ সবখানে দেদারসে ব্যবহৃত হচ্ছে এ পলিথিন। নিষিদ্ধ হলেও অনেক অসাধু ব্যবসায়ী গোপনে পলিথিন ব্যাগ উৎপাদন ও বাজারজাত করছেন। দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন এর বিরুদ্ধে কোনো অভিযান পরিচালনা না করায় এটি এখন প্রকাশ্যে বিক্রি ও ব্যবহার করা হচ্ছে বলে জানান স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ফেনীর বিসিক, রামপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে অতিমুনাফালোভী কিছু ব্যবসায়ী গোপনে কারখানা দিয়ে পিপি দানা থেকে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন করছেন এবং বাজারজাত করছেন। এ ছাড়া প্লাস্টিকপণ্য উৎপাদনে লাইসেন্স যাঁরা পেয়েছেন, তাঁরাই বালতি, মগ কিংবা অন্য কোনো পণ্যের মোড়কে পলিথিন ব্যবহার করছেন। আর এসব অনুমোদিত প্লাস্টিক কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে পলিথিন।
আবার শহরের বড় বাজার, হকার্স মার্কেট, মহিপাল কাঁচাবাজার, মুক্তবাজারসহ অভিজাত রেস্টুরেন্ট, মুদিদোকান, কাঁচাবাজার থেকে শুরু করে ফুটপাতের প্রায় সব দোকানে এবং পুরো জেলার সব দোকানে পণ্য বহনে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন ব্যাগ। সহজলভ্য ও ব্যবহারে সুবিধা থাকায় ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ই ক্ষতির দিক বিবেচনা না করে পলিথিন ব্যাগ দেদার ব্যবহার করছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট কর্তাদের ম্যানেজ করেই এ ব্যবসা চলছে। প্রতিটি হাটবাজারে রয়েছে বেশ কয়েকটি পাইকারি পলিথিনের দোকান। এসব দোকানে উৎপাদনকারীরাই লোক দিয়ে পলিথিন সরবরাহ দিয়ে থাকে। ফলে তুলনামূলক এর চাহিদা অনেকাংশে বেড়ে গেছে। এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা চরম আকারে বাড়ছে।
শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার নুরুল হক জানান, পলিথিনের মতো অপচনশীল দ্রব্যে পানিনিষ্কাশনের লাইন বন্ধ হয়ে প্রতিবছর বর্ষায় তাঁর এলাকায় জলাবদ্ধতার কারণে দুর্ভোগ হয়। সরকারি সংস্থার সমালোচনা ছাড়াও জনসচেতনতার অভাব মনে করেন তিনি। যেখানে-সেখানে আবর্জনা ফেলা, বিশেষ করে পলিথিনের অতি ব্যবহার হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে টনক নড়ছে না কারও।
এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, পলিথিনের কারণে পরিবেশের ক্ষতি হোক, তাঁরা তা চান না। কিন্তু পলিথিনের মতো সহজলভ্য কোনো পণ্য বাজারে নেই। তাই কাজে লাগাচ্ছেন।
শহরের হকার মার্কেটে দেখা মেলে নুরুল আফসার নামের এক প্রবাসীর সঙ্গে। তিনি বলেন, মুরগি কিনলে দোকানদার পলিথিন ধরিয়ে দিলে কী করব। চারদিকেই তো পলিথিন আর পলিথিন। বন্ধ করার ব্যবস্থা তো দেখি না। এ জন্য সরকারকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য তিনি আহ্বান জানান।
এদিকে পরিবেশবিদেরা বলছেন, নিষিদ্ধ পলিথিন ব্যবহারে শাস্তির বিধান রেখে আইন করা হলেও কমেনি পলিথিনের ব্যবহার। পলিথিন ও প্লাস্টিক ব্যবহারে পরিবেশের ক্ষতির কথা চিন্তা করে ২০০২ সালে পলিথিন নিষিদ্ধ করা হয়। তখন বিকল্প হিসেবে কাগজ ও পাটের ব্যাগের প্রচলন শুরু হয়। পরে আইনের প্রয়োগ না থাকায় পলিথিন বিক্রি ও ব্যবহার বেড়েছে জ্যামিতিক হারে।
পরিবেশবাদী আতিক উল্লাহ বলেন, এটি বন্ধের আইন ও বিধিমালা রয়েছে। যারা এটা কার্যকর করবে, তারাই করছে না। জেলা প্রশাসনও পলিথিনের ব্যাপারে নিষ্ক্রিয়। পরিবেশ অধিদপ্তর তাদের যানবাহনের অভাব, লোকবলের অভাবকে খোঁড়া অজুহাত দেখিয়ে নিয়মিত অভিযান চালায় না। যে কারণে প্রকাশ্যে ব্যবহৃত হচ্ছে পলিথিন। তিনি বলেন, উৎপাদন তখনই বন্ধ হবে, যখন এটি বাজারজাত করা সম্ভব হবে না।
পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক ফাইজুল কবির বলেন, তিনটি পলিথিন তৈরির বৈধ কারখানা রয়েছে। এ ছাড়া অন্যরা কৌশলে পলিথিন উৎপাদন করছেন। যে কারণে তাঁদের খুঁজে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জায়গায় খুচরা বিক্রি করছেন। তবে বিক্রি নিষিদ্ধ এসব পলিথিন যারা প্রস্তুত এবং বাজারজাত করছে, তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসন দ্রুত অভিযান চালাবে।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল হাসান বলেন, পলিথিন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই এর ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। যত্রতত্র এটিকে না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলতে হবে। যারা পলিথিন উৎপাদন বা বিক্রি করছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চালানো হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে