খুলনা প্রতিনিধি
প্রথমে মারধর। এরপর অ্যাসিড ছুড়ে মুখ ঝলসে দেওয়ার ভয়ভীতি। এখন দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে হুমকি। উপর্যুপরি এসব হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খুলনার বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামের সেই নারী ফুটবলাররা। ফুটবল খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাওয়া এই তরুণীদের দিন কাটছে অ্যাসিড-সন্ত্রাস থেকে নিজেদের মুখ রক্ষার চিন্তা করেই।
তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় সাদিয়া নাসরিন বলে, ‘হামলার পর থেকে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন রয়েছি। ভয়ে আছি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে।’
হামলার ঘটনায় মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সভাপতি ইসলাম হাওলাদার। তিনি বলেন, মেয়েদের অনুশীলনের জন্য ডেকে ডেকে আনতে হচ্ছে। আগে কোনো দিন গ্রামের কেউ ফুটবল খেলা নিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত বা কটূক্তি করেনি। কিন্তু নূরুল আলমের পরিবার এবার ঝামেলা বাধিয়েছে।
নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ
নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ক্রীড়াঙ্গনে। উদ্বেগ জানিয়েছে নারী সংগঠনগুলো। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
নারী ফুটবলারদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) খুলনা জেলা শাখা। একই দাবিতে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ‘জনউদ্যোগ খুলনা’।
গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নারীরা খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ফুটবলে। শুধু তা-ই নয়, ফুটবলে স্বর্ণ পদকও নিয়ে এসেছে তারা। সেই মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা মানেই আমাদের সুনাম বাধাগ্রস্ত করা।’ বিডিইআরএমের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে ওই মানববন্ধন থেকে চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
যা বললেন পুলিশ সুপার
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর মামলা হওয়ার আগেই নূরুল আলমকে আমরা গ্রেপ্তার করি। অন্য তিন আসামি রোজী বেগম, নূপুর ও সালাউদ্দিন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলীর (হামলায় আহত ফুটবলার) চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের পরিবার ও অন্য খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
কী ঘটেছিল সেদিন
ঘটনা শুরু গত ২৭ জুলাই বিকেল থেকে। ওই দিন প্রশিক্ষণ চলাকালে ফুটবলার সাদিয়া নাসরিনের ছবি তোলে নূপুর খাতুন। পরে সেই ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় সাদিয়ার বাবা-মাসহ অন্যদের কাছে। দুদিন পর এ কথা জানতে পারে সাদিয়া। ২৯ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাস্তায় নূপুর ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা হলে ছবির প্রসঙ্গটি তোলে সাদিয়া। তখন তারা সেখানে সাদিয়াকে লাঞ্ছিত করে। পরে রাত ৮টার দিকে সাদিয়া বন্ধুদের নিয়ে নূপুরদের বাড়ি যায়। সেখানে চার নারী ফুটবল খেলোয়াড়কে মারধর করে নূরুল আলম খাঁ, স্ত্রী রঞ্জি বেগম, মেয়ে নূপুর খাতুন ও ছেলে সালাউদ্দিন খাঁ। এতে আহত হয় মঙ্গলী বাগচি, হাজেরা খাতুন, জুঁই মণ্ডল এবং সাদিয়া নাসরিন। হাত-পা বেঁধে রাখার দুই ঘণ্টা পর মঙ্গলীকে উদ্ধার করেন স্থানীয় তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রশিক্ষণরত সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় সাদিয়া গত ৩০ জুলাই চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। এর দুই দিন পর অ্যাসিড ছোড়ার হুমকি দেওয়া হয় তাকে।
প্রথমে মারধর। এরপর অ্যাসিড ছুড়ে মুখ ঝলসে দেওয়ার ভয়ভীতি। এখন দিচ্ছে মামলা তুলে নিতে হুমকি। উপর্যুপরি এসব হুমকিতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে খুলনার বটিয়াঘাটার তেঁতুলতলা গ্রামের সেই নারী ফুটবলাররা। ফুটবল খেলে দেশের মুখ উজ্জ্বল করতে চাওয়া এই তরুণীদের দিন কাটছে অ্যাসিড-সন্ত্রাস থেকে নিজেদের মুখ রক্ষার চিন্তা করেই।
তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির খেলোয়াড় সাদিয়া নাসরিন বলে, ‘হামলার পর থেকে আমরা সবাই উদ্বিগ্ন রয়েছি। ভয়ে আছি নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে।’
হামলার ঘটনায় মেয়েদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে বলে জানিয়েছেন তেঁতুলতলা সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির সভাপতি ইসলাম হাওলাদার। তিনি বলেন, মেয়েদের অনুশীলনের জন্য ডেকে ডেকে আনতে হচ্ছে। আগে কোনো দিন গ্রামের কেউ ফুটবল খেলা নিয়ে মেয়েদের উত্ত্যক্ত বা কটূক্তি করেনি। কিন্তু নূরুল আলমের পরিবার এবার ঝামেলা বাধিয়েছে।
নাগরিক সমাজের প্রতিবাদ
নারী ফুটবলারদের ওপর হামলার ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে ক্রীড়াঙ্গনে। উদ্বেগ জানিয়েছে নারী সংগঠনগুলো। দোষীদের শাস্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
নারী ফুটবলারদের মারধরের প্রতিবাদে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ দলিত ও বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর অধিকার আন্দোলন (বিডিইআরএম) খুলনা জেলা শাখা। একই দাবিতে আজ শুক্রবার বেলা ১১টায় খুলনা নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ‘জনউদ্যোগ খুলনা’।
গতকাল দুপুরে খুলনা প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ‘নারীরা খেলাধুলায় এগিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে ফুটবলে। শুধু তা-ই নয়, ফুটবলে স্বর্ণ পদকও নিয়ে এসেছে তারা। সেই মেয়েদের ওপর অত্যাচার করা মানেই আমাদের সুনাম বাধাগ্রস্ত করা।’ বিডিইআরএমের খুলনা জেলা কমিটির সভাপতি সুব্রত কুমার মিস্ত্রীর সভাপতিত্বে ওই মানববন্ধন থেকে চার নারী ফুটবলারকে মারধরের ঘটনায় অপরাধীদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
যা বললেন পুলিশ সুপার
খুলনার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইদুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার পর মামলা হওয়ার আগেই নূরুল আলমকে আমরা গ্রেপ্তার করি। অন্য তিন আসামি রোজী বেগম, নূপুর ও সালাউদ্দিন আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন। মঙ্গলীর (হামলায় আহত ফুটবলার) চিকিৎসার ব্যাপারে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। তাদের পরিবার ও অন্য খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার ব্যাপারেও আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।’
কী ঘটেছিল সেদিন
ঘটনা শুরু গত ২৭ জুলাই বিকেল থেকে। ওই দিন প্রশিক্ষণ চলাকালে ফুটবলার সাদিয়া নাসরিনের ছবি তোলে নূপুর খাতুন। পরে সেই ছবি বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয় সাদিয়ার বাবা-মাসহ অন্যদের কাছে। দুদিন পর এ কথা জানতে পারে সাদিয়া। ২৯ জুলাই সন্ধ্যার দিকে রাস্তায় নূপুর ও তার মায়ের সঙ্গে দেখা হলে ছবির প্রসঙ্গটি তোলে সাদিয়া। তখন তারা সেখানে সাদিয়াকে লাঞ্ছিত করে। পরে রাত ৮টার দিকে সাদিয়া বন্ধুদের নিয়ে নূপুরদের বাড়ি যায়। সেখানে চার নারী ফুটবল খেলোয়াড়কে মারধর করে নূরুল আলম খাঁ, স্ত্রী রঞ্জি বেগম, মেয়ে নূপুর খাতুন ও ছেলে সালাউদ্দিন খাঁ। এতে আহত হয় মঙ্গলী বাগচি, হাজেরা খাতুন, জুঁই মণ্ডল এবং সাদিয়া নাসরিন। হাত-পা বেঁধে রাখার দুই ঘণ্টা পর মঙ্গলীকে উদ্ধার করেন স্থানীয় তেঁতুলতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রশিক্ষণরত সুপার কুইন ফুটবল একাডেমির কর্মকর্তারা। এ ঘটনায় সাদিয়া গত ৩০ জুলাই চারজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করে। এর দুই দিন পর অ্যাসিড ছোড়ার হুমকি দেওয়া হয় তাকে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে