ধনবাড়ী প্রতিনিধি
ধনবাড়ী পৌরশহরে প্রতিনিয়ত যানজটে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। ইজিবাইকের আধিক্য ও শরের মধ্যে ভারী যানবাহন চলাচল এবং গাড়ি লোড-আনলোড করায় এ জট বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যানজটে শহরবাসী অতিষ্ঠ। সমাধানের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তাঁদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাসটার্মিনাল ও ট্রাফিক পুলিশ না থাকা এবং নানা অব্যবস্থাপনার কারণে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রেই যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। দিন দিন লম্বা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোজট। এ ছাড়া সড়কে দিনভর ট্রাক রেখে মালামাল খালাস ও ফুটপাত দখল এর অন্যতম কারণ। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে পানি। এতে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জরুরি সেবার গাড়িও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রই কেন্দুয়া সড়ক। সড়কের পাশে ১০ থেকে ১৫টি সবজি ও ধানের আড়ত। ফুটপাত দখল করে রেখেছেন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এদিকে আড়তমালিকেরা সড়কে ট্রাক রেখে দিনভর খালাস করছেন মালামাল। এতে আরও লম্বা হচ্ছে যানজট। বিপাকে পড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
পথচারী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকটা দোকানে সামনের সড়কে ট্রাক খাড়া করাইয়ে থয়। তাগরে কেউ কিছুই কয় না। এহন বেক্কেই ভোগান্তিতে। বৃষ্টি হইলে পানি জমে সড়কে।’
আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা ইয়াসমিন ও বিউটি আক্তার বলেন, ‘বাসা থেকে সদরে আসতে ১৫ মিনিট লাগে। আর চৌরাস্তা থেকে কলেজের দূরত্ব ৫ মিনিট। অথচ আধা ঘণ্টাতেও যেতে পারি না। কাঁচামালের আড়ত ও ট্রাক সরানোর ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাই।’
আব্দুল্লাহ আবু এহসান ও শাহাদত হোসেন বলেন, ‘অটোজট এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছি। দুই বছর আগের তুলনায় এখন তিন গুণ অটো চলে এ সড়কে। দুই রঙের করে শহরের একেক এলাকায় একেক দিন করে চলতে দিলে অটোজট কমবে। এ ছাড়া বাইপাস সড়কও অতি জরুরি। কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
আব্দুল বাসার বলেন, ‘পুরো বাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। বাজার রোডের ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ভাড়া দিয়েছেন। উদ্ধার করবে কে?’
রাস্তাতে ট্রাক রেখে মালামাল ওঠা-নামার বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স তন্নী এন্টারপ্রাইজের মালিক রকনুজ্জামান বলেন, ‘ট্রাক লোড দিতে লাগেই কিছু সময়। একটু সমস্যা হলেও কিছু করার নেই। বাজার ব্যবসায়ী সমিতি তো কিছুই বলে না।’ অপর ব্যবসায়ী মেসার্স তৌকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মজিবুর রহমান হক বলেন, ‘আমি শুধু একাই না। সব ব্যবসায়রাই একাজ করছে। তবে এটা ঠিক ভোগান্তি তো হয়ই।’
ধনবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কোনো কথা শোনেন না। অনেকবার তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দোকানমালিকদের সতর্ক করা হবে। দিনে কোনো মালামাল খালাস করা যাবে না। বেদখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত উদ্ধারে কাজ শুরু হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
ধনবাড়ী পৌরশহরে প্রতিনিয়ত যানজটে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে জনসাধারণ। ইজিবাইকের আধিক্য ও শরের মধ্যে ভারী যানবাহন চলাচল এবং গাড়ি লোড-আনলোড করায় এ জট বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। যানজটে শহরবাসী অতিষ্ঠ। সমাধানের দ্রুত পদক্ষেপের দাবি তাঁদের।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বাসটার্মিনাল ও ট্রাফিক পুলিশ না থাকা এবং নানা অব্যবস্থাপনার কারণে পৌরশহরের প্রাণকেন্দ্রেই যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। দিন দিন লম্বা হচ্ছে ব্যাটারিচালিত অটোজট। এ ছাড়া সড়কে দিনভর ট্রাক রেখে মালামাল খালাস ও ফুটপাত দখল এর অন্যতম কারণ। এছাড়া সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে জমে পানি। এতে পথচারীদের পড়তে হচ্ছে দুর্ভোগে। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে জরুরি সেবার গাড়িও।
সরেজমিনে দেখা গেছে, জয়দেবপুর-টাঙ্গাইল-জামালপুর মহাসড়কের ধনবাড়ী বাসস্ট্যান্ডের প্রাণকেন্দ্রই কেন্দুয়া সড়ক। সড়কের পাশে ১০ থেকে ১৫টি সবজি ও ধানের আড়ত। ফুটপাত দখল করে রেখেছেন হকার ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। এদিকে আড়তমালিকেরা সড়কে ট্রাক রেখে দিনভর খালাস করছেন মালামাল। এতে আরও লম্বা হচ্ছে যানজট। বিপাকে পড়ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। অন্যদিকে ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ।
পথচারী জহিরুল ইসলাম বলেন, ‘প্রত্যেকটা দোকানে সামনের সড়কে ট্রাক খাড়া করাইয়ে থয়। তাগরে কেউ কিছুই কয় না। এহন বেক্কেই ভোগান্তিতে। বৃষ্টি হইলে পানি জমে সড়কে।’
আসিয়া হাসান আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী অনামিকা ইয়াসমিন ও বিউটি আক্তার বলেন, ‘বাসা থেকে সদরে আসতে ১৫ মিনিট লাগে। আর চৌরাস্তা থেকে কলেজের দূরত্ব ৫ মিনিট। অথচ আধা ঘণ্টাতেও যেতে পারি না। কাঁচামালের আড়ত ও ট্রাক সরানোর ব্যবস্থা নিতে দাবি জানাই।’
আব্দুল্লাহ আবু এহসান ও শাহাদত হোসেন বলেন, ‘অটোজট এখন বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছি। দুই বছর আগের তুলনায় এখন তিন গুণ অটো চলে এ সড়কে। দুই রঙের করে শহরের একেক এলাকায় একেক দিন করে চলতে দিলে অটোজট কমবে। এ ছাড়া বাইপাস সড়কও অতি জরুরি। কর্তৃপক্ষের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’
আব্দুল বাসার বলেন, ‘পুরো বাজারের ফুটপাত ব্যবসায়ীদের দখলে চলে গেছে। বাজার রোডের ব্যবসায়ীরা ফুটপাত ভাড়া দিয়েছেন। উদ্ধার করবে কে?’
রাস্তাতে ট্রাক রেখে মালামাল ওঠা-নামার বিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স তন্নী এন্টারপ্রাইজের মালিক রকনুজ্জামান বলেন, ‘ট্রাক লোড দিতে লাগেই কিছু সময়। একটু সমস্যা হলেও কিছু করার নেই। বাজার ব্যবসায়ী সমিতি তো কিছুই বলে না।’ অপর ব্যবসায়ী মেসার্স তৌকির এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. মজিবুর রহমান হক বলেন, ‘আমি শুধু একাই না। সব ব্যবসায়রাই একাজ করছে। তবে এটা ঠিক ভোগান্তি তো হয়ই।’
ধনবাড়ী বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল হাইয়ের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা কোনো কথা শোনেন না। অনেকবার তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মুহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘দোকানমালিকদের সতর্ক করা হবে। দিনে কোনো মালামাল খালাস করা যাবে না। বেদখল হয়ে যাওয়া ফুটপাত উদ্ধারে কাজ শুরু হবে।’
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসলাম হোসাইন বলেন, ‘এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়েই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
পর্দার নায়িকারা নিজেদের বয়স আড়ালে রাখা পছন্দ করেন। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম আজমেরী হক বাঁধন। প্রতিবছর নিজের জন্মদিনে জানান দেন তাঁর বয়স। গতকাল ছিল বাঁধনের ৪১তম জন্মদিন। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেই জানালেন এই তথ্য।
২ দিন আগে১০ বছরের বেশি সময় ধরে শোবিজে কাজ করছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। নাটকের পাশাপাশি ওটিটিতে দেখা গেছে তাঁকে। সরকারি অনুদানের ‘দেবী’ নামের একটি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন। প্রশংসিত হলেও সিনেমায় আর দেখা মেলেনি তাঁর। ছোট পর্দাতেও অনেক দিন ধরে অনিয়মিত তিনি। এবার শবনম ফারিয়া হাজির হচ্ছেন নতুন পরিচয়ে। কমেডি রিয়েলিটি
২ দিন আগেআমাদের লোকসংস্কৃতির অন্যতম ঐতিহ্য যাত্রাপালা। গণমানুষের সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচিত এই যাত্রাপালা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করছে ‘যাত্রা উৎসব-২০২৪’। আগামী ১ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চে শুরু হবে ৭ দিনব্যাপী এই উৎসব।
২ দিন আগে‘বঙ্গবন্ধু’ পদবি বিলীন হবে না। হতে পারে না। যেমনটি ‘দেশবন্ধু’ চিত্তরঞ্জন দাশের পদবি বিলীন হয়নি। ইতিহাসে এসব পদবি অম্লান ও অক্ষয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিত্ব ছিল অনন্যসাধারণ। আপনজনকে তো অবশ্যই, শত্রুপক্ষের লোকেরাও ব্যক্তিগত পর্যায়ে তাঁর প্রতি আকৃষ্ট হতেন। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উচ্চপদের
২ দিন আগে