হ্রদের কচুরিপানায় নাকাল লংগদু বাসী

লংগদু (রাঙামাটি) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১১: ২২
আপডেট : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ১৩: ৩৫

রাঙামাটির লংগদুতে কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় ব্যাহত হচ্ছে উপজেলার অভ্যন্তরীণ নৌ-যোগাযোগ। তিনটি ইউনিয়নের এই দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। এতে মাত্র ১০ মিনিটের পথ সেখানে ৪ ঘণ্টায়ও সম্ভব হচ্ছে না।

উপজেলার মাইনীমুখ ইউনিয়নের মাইনী নদী, কাচালং নদীসহ গুলশাখালী ও বগাচতর ইউনিয়নের অধিকাংশ এলাকা কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানায় ভরে গেছে। এ সব ইউনিয়নের বেশির ভাগ বাসিন্দার যাতায়াতে একমাত্র ব্যবস্থা নৌপথ। এ সব এলাকায় ইঞ্জিন চালিত ছোট নৌকা দিয়ে হাট-বাজারসহ পেশাগত জরুরি কাজ ও হাসপাতালে রোগী নিয়ে যেতে হলে কচুরিপানার বিপাকে পড়তে হচ্ছে।

এদিকে তিনটি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা কচুরিপানায় ভরে যাওয়ায় কয়েক দিন ধরে জেলেরাও ঠিকমতো মাছ ধরতে পারছেন না। এতে পরিবার-পরিজন নিয়ে কষ্টে জীবন যাপন করছেন তাঁরা। স্পিড বোট চালক জামাল হোসেন জানান, ‘লংগদুর মুখ, বগাচতর, গুলশাখালী হয়ে মাইনীমুখ হ্রদ এলাকা কচুরিপানা ভরপুর হয়েছে। আমরা ঠিকমতো বোট চালাতে পারছি না। এতে আমাদের প্রতিদিন খরচ গুনতে হচ্ছে।’

ট্রলার চালক নজরুল ইসলাম জানান, লংগদু থেকে কচুরিপানা অপসারণ করা প্রয়োজন। নয়তো নৌপথে যাতায়াতে এলাকাবাসীর মারাত্মক সমস্যা তৈরি হবে।

গত মঙ্গলবার উপজেলা আইনশৃঙ্খলা সভায় এক প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মাইনুল আবেদীন জানান, লংগদুর তিনটি ইউনিয়নের কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানা বেশি হয়ে গেছে। এতে নৌ যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যাহত হচ্ছে। তাই অচিরেই কচুরিপানা অপসারণের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মাইনীমুখ ও বগাচতর ইউপি চেয়ারম্যানেরা সর্বাত্মক সহযোগিতা করবেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত