দেড় শ কিমি হেঁটে ভজনপুর

নীলফামারী প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ১৮
আপডেট : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ২৫

ক্ষতিকর পলিথিনের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টিসহ সামাজিক কর্মকাণ্ডের অংশ হিসেবে রোভার স্কাউটসের তিন সদস্য উত্তরাঞ্চলের তিন জেলার দেড় শ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে পাড়ির কর্মসূচি শুরু করেছেন গত বৃহস্পতিবার ভোরে। রংপুর হয়ে তাঁরা নীলফামারী আসেন গতকাল শুক্রবার দুপুরে। পদযাত্রী দলটি আগামী সোমবার পঞ্চগড়ের ভজনপুরের সেতুতে পৌঁছাবেন বলে আশা করছেন।

এই তিনজন হলেন রংপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজির সপ্তম পর্বের ছাত্র শহিদুল ইসলাম জীবন, একই পর্বের ইলেকট্রনিকস টেকনোলজির রাকিবুল ইসলাম রুম্মান ও পাওয়ার টেকনোলজির কামরুল ইসলাম খান। তারা ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের রোভার সদস্য। প্রজন্মের দীক্ষা, কারিগরি শিক্ষা’ ও ‘করোনা শেষ হওয়ার নয়, সচেতনতায় সুরক্ষা হয়’ এবং পলিথিনের সর্ব গ্রাস পরিবেশের সর্বনাশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে তাদের এই পদযাত্রা।

স্কাউটস পোশাক পরিহিত এই তিন যুবক নীলফামারী শহরে পৌঁছার পর স্থানীয় জেলা প্রশাসক হাফিজুর রহমান চৌধুরী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন নাহার ও নীলফামারী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নীলফামারীতে অবস্থানকালে তারা দর্শনীয় বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখেন।

দলের নেতৃত্বে থাকা শহিদুল ইসলাম জীবন জানান, এই পদযাত্রায় আমরা অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারবো। দর্শনীয় স্থান পর্যবেক্ষণ এবং তার ইতিহাস জানার চেষ্টা করবো। ভ্রমণকালে শিক্ষা ও সচেতনতা মূলক নানা বার্তা ছড়িয়ে দিচ্ছি আমরা।

বাংলাদেশ স্কাউটস রংপুর জেলা রোভারের সম্পাদক মহাদেব কুমার গুন বলেন, প্রেসিডেন্টস রোভার অ্যাওয়ার্ড অর্জনের লক্ষ্যে ১৫২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে পরিভ্রমণের উদ্যোগ নিয়েছে তারা। তাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হলে মানুষ উপকৃত হবে।

নীলফামারী সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম রব্বানী বলেন, শৃঙ্খলার জন্য স্কাউটিং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পড়াশোনা শৃঙ্খলা একে অন্যের পরিপূরক। রংপুরের তিন রোভার সদস্য যে উদ্যোগ নিয়েছে আমি অভিনন্দন জানাই। পদযাত্রা শেষে তারা অনেক কিছু জানতে এবং শিখতে পারবে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত