কমলনগর ও রামগতি (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি
শীত এলেই এ অঞ্চলে চলে হাঁসের মাংস খাওয়ার উৎসব। সপরিবারে বা বন্ধুবান্ধব মিলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রায় বাড়িতেই এই উৎসব চলে। শীতে এই উৎসবকে ঘিরে মৌসুমি কিছু হাঁসের খামারিও গড়ে ওঠে।
শীতে হাঁস ও রুটি খাওয়ার চল আছে মোটামুটি সারা দেশেই। কিন্তু সেটা রীতিমতো উৎসবে পরিণত হওয়ার নজির সম্ভবত কেবল এই এলাকায়। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে শীত এলেই হাঁসের মাংস খেতাম। আমদের বাবা-দাদারাও শীত এলে হাঁসের মাংস খেতেন।’
পাশের উপজেলা রামগতি বাজারের আরজু আমিন বলেন, আগে শীত এলেই হাঁসের গোশত খেতেন বয়স্ক লোকেরা। এখন তরুণ-যুবকরাও হাঁস খাচ্ছে। অনেকটা উৎসবের মতো হয়ে গেছে ব্যাপারটা। সাধারণত হাঁস খাওয়া হয় রাতের বেলায়।
রামগতি বাজারে পুরুষ হাঁসের জোড়া ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে খামারের হাঁসের দাম একটু কম, জোড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
হাঁসের মাংস খাওয়া নিয়ে এলাকায় নানা কথারও প্রচলন আছে। বৃদ্ধ ইউনুস মিয়া বলেন, ‘একটা হাঁস পুরা একজনে রান্না করে খেতে পারলে ঠান্ডা আর বাতের রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।’
কলেজছাত্র মো. লিটন বলেন, ‘শীত এলেই বন্ধুবান্ধব নিয়ে হাঁস পার্টি করি। নিজেরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে নিজেরাই রান্নার আয়োজন করি। এভাবে প্রতিটি এলাকায় শীতকালজুড়ে চলতে থাকে হাঁস পার্টি।’
রামগতির ব্যবসায়ী রুপেশ দাস জানান, মূলত ঠান্ডা আর বাতের রোগ থেকে রেহাই পেতেই অনেক মশলা দিয়ে হাঁস খাওয়া হয়।
কমলনগরে চর পাগলা গ্রামের মাসুদ আলম বলেন, ‘একটি হাঁসের খামার দিয়েছিলাম ডিম উৎপাদনের জন্য। কিন্তু গত বছর শীতে হাঁসের দাম ভালো পাওয়ায় ডিমপাড়া ১২০০ হাঁস বিক্রি করে দিয়েছি। এতে আমার প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় হয়। এর পর থেকে হাঁস চাষে আরও গুরুত্ব দেই।’
কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, শীতে হাঁসের বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় প্রায় প্রতি বাড়িতে হাঁস পালন বেড়ে যায়। পাশাপাশি খামারির সংখ্যাও বাড়ে।
রামগতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০ থেকে ২ হাজার হাঁস পালন হয় এমন খামার এ উপজেলায় আছে কয়েকটি। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় প্রায় সব বাড়িতেই নারীরা হাঁস পালন করে থাকেন।
শীত এলেই এ অঞ্চলে চলে হাঁসের মাংস খাওয়ার উৎসব। সপরিবারে বা বন্ধুবান্ধব মিলে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে প্রায় বাড়িতেই এই উৎসব চলে। শীতে এই উৎসবকে ঘিরে মৌসুমি কিছু হাঁসের খামারিও গড়ে ওঠে।
শীতে হাঁস ও রুটি খাওয়ার চল আছে মোটামুটি সারা দেশেই। কিন্তু সেটা রীতিমতো উৎসবে পরিণত হওয়ার নজির সম্ভবত কেবল এই এলাকায়। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের বাসিন্দা মো. সেলিম বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে শীত এলেই হাঁসের মাংস খেতাম। আমদের বাবা-দাদারাও শীত এলে হাঁসের মাংস খেতেন।’
পাশের উপজেলা রামগতি বাজারের আরজু আমিন বলেন, আগে শীত এলেই হাঁসের গোশত খেতেন বয়স্ক লোকেরা। এখন তরুণ-যুবকরাও হাঁস খাচ্ছে। অনেকটা উৎসবের মতো হয়ে গেছে ব্যাপারটা। সাধারণত হাঁস খাওয়া হয় রাতের বেলায়।
রামগতি বাজারে পুরুষ হাঁসের জোড়া ১ হাজার ৬০০ থেকে ২ হাজার ৪০০ টাকায় বিক্রি হয়। তবে খামারের হাঁসের দাম একটু কম, জোড়া ৮০০ থেকে ১২০০ টাকায় বিক্রি হয়।
হাঁসের মাংস খাওয়া নিয়ে এলাকায় নানা কথারও প্রচলন আছে। বৃদ্ধ ইউনুস মিয়া বলেন, ‘একটা হাঁস পুরা একজনে রান্না করে খেতে পারলে ঠান্ডা আর বাতের রোগ থেকে রেহাই পাওয়া যায়।’
কলেজছাত্র মো. লিটন বলেন, ‘শীত এলেই বন্ধুবান্ধব নিয়ে হাঁস পার্টি করি। নিজেরা নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে নিজেরাই রান্নার আয়োজন করি। এভাবে প্রতিটি এলাকায় শীতকালজুড়ে চলতে থাকে হাঁস পার্টি।’
রামগতির ব্যবসায়ী রুপেশ দাস জানান, মূলত ঠান্ডা আর বাতের রোগ থেকে রেহাই পেতেই অনেক মশলা দিয়ে হাঁস খাওয়া হয়।
কমলনগরে চর পাগলা গ্রামের মাসুদ আলম বলেন, ‘একটি হাঁসের খামার দিয়েছিলাম ডিম উৎপাদনের জন্য। কিন্তু গত বছর শীতে হাঁসের দাম ভালো পাওয়ায় ডিমপাড়া ১২০০ হাঁস বিক্রি করে দিয়েছি। এতে আমার প্রায় ৩ লাখ টাকা আয় হয়। এর পর থেকে হাঁস চাষে আরও গুরুত্ব দেই।’
কমলনগর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. আক্তারুজ্জামান জানান, শীতে হাঁসের বাজার মূল্য ভালো পাওয়ায় প্রায় প্রতি বাড়িতে হাঁস পালন বেড়ে যায়। পাশাপাশি খামারির সংখ্যাও বাড়ে।
রামগতি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ২০০ থেকে ২ হাজার হাঁস পালন হয় এমন খামার এ উপজেলায় আছে কয়েকটি। এ ছাড়া উপকূলীয় অঞ্চল হওয়ায় প্রায় সব বাড়িতেই নারীরা হাঁস পালন করে থাকেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪