সম্পাদকীয়
রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও বাস্তবে বাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই। সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও তা বিক্রেতারা মানছেন না।
ক্রেতারা একদিনও ওই নির্ধারিত দামে কোনো পণ্য কিনতে পেরেছেন—এমন তথ্য কেউ দিতে পারবেন না; বরং উল্টো দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এই দাম বেঁধে দেওয়াকে অযৌক্তিক ও কল্পনাপ্রসূত বলে বিবৃতি দিয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও কল্পনাপ্রসূত আর দোকান মালিক সমিতির বক্তব্য যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত—এটাই কি তাহলে আমাদের মেনে নিতে হবে? তাহলে আবারও সেই প্রশ্ন করতে হয়, দেশ কি সরকার চালায়, না ব্যবসায়ী বা দোকান মালিক সমিতি?
যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। এর উৎপাদন খরচ, পরিবহন ব্যয় ইত্যাদি সরকারের না জানার কথা নয়। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো, লাভের পরিমাণ কত হলে ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা খুশি হয়, এটা আমাদের দেশে কারও জানা নেই।
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় দেশে উৎপাদিত কিছু পণ্যের উৎপাদক ও ক্রেতাপর্যায়ে দামের আকাশ-পাতাল হেরফের নিয়ে একটি ভালো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ‘খুচরায় খাচ্ছে কয়েক গুণ লাভ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বেগুন, লাউ, মুলা, টমেটোসহ আরও কয়েকটি সবজির স্থানীয় পর্যায়ে পাইকারিতে দাম একেবারে পড়ে গেছে। যদিও এর প্রতিফলন নেই খুচরা বাজারে।
সবজি উৎপাদনকারী অন্যতম কয়েকটি জেলা এবং ঢাকার পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, দাম একলাফে কয়েক গুণ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে এসে। সব মিলিয়ে পুরো ব্যবস্থায় কৃষক সর্বস্বান্ত হলেও, যথারীতি ভুগছে কিনে খাওয়া মানুষ।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, ‘বাজারব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে একদিকে কৃষক ঠকছেন, অন্যদিকে ভোক্তাদের পকেট কাটা হচ্ছে।’ এটা কারও অজানা নয় যে আমাদের দেশে বাজার ও বিপণনব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে ভোক্তা ও উৎপাদক ক্ষতিগ্রস্ত হন, আর মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফার পাহাড় গড়েন।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘খুচরা আর পাইকারিতে যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকেরা তা-ও পাচ্ছেন না। বগুড়া ও লালমনিরহাটে প্রথম রমজানে পাইকারি দামে বেগুন কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ছয়-সাত রমজান থেকে দরপতন। খেত থেকে বেগুন সংগ্রহ করতে শ্রমিকের খরচই উঠছে না চাষিদের।’
দামের এমন তারতম্য অব্যাহত থাকলে নানা দিক থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষক উৎপাদন কমিয়ে দিলে সংকট আরও বাড়বে। তাই সরকারকে দায়সারা পদক্ষেপের পরিবর্তে টেকসই বিকল্পের কথা ভাবতে হবে। সবার আগে বন্ধ করতে হবে চাঁদাবাজি। বিপণনব্যবস্থা কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, তা-ও ভাবনায় সীমাবদ্ধ না রেখে বাজারে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
রোজার মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণের কথা সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও বাস্তবে বাজারে এর কোনো প্রতিফলন নেই। সরকারি সংস্থা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ১৫ মার্চ ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও তা বিক্রেতারা মানছেন না।
ক্রেতারা একদিনও ওই নির্ধারিত দামে কোনো পণ্য কিনতে পেরেছেন—এমন তথ্য কেউ দিতে পারবেন না; বরং উল্টো দোকান মালিক সমিতির সভাপতি মো. হেলাল উদ্দিন এই দাম বেঁধে দেওয়াকে অযৌক্তিক ও কল্পনাপ্রসূত বলে বিবৃতি দিয়েছেন। সরকারের সিদ্ধান্ত অযৌক্তিক ও কল্পনাপ্রসূত আর দোকান মালিক সমিতির বক্তব্য যৌক্তিক ও বাস্তবসম্মত—এটাই কি তাহলে আমাদের মেনে নিতে হবে? তাহলে আবারও সেই প্রশ্ন করতে হয়, দেশ কি সরকার চালায়, না ব্যবসায়ী বা দোকান মালিক সমিতি?
যে ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে, সেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয় না। এর উৎপাদন খরচ, পরিবহন ব্যয় ইত্যাদি সরকারের না জানার কথা নয়। তাহলে সমস্যা কোথায়? সমস্যা হলো, লাভের পরিমাণ কত হলে ব্যবসায়ী-বিক্রেতারা খুশি হয়, এটা আমাদের দেশে কারও জানা নেই।
শুক্রবার আজকের পত্রিকায় দেশে উৎপাদিত কিছু পণ্যের উৎপাদক ও ক্রেতাপর্যায়ে দামের আকাশ-পাতাল হেরফের নিয়ে একটি ভালো প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ‘খুচরায় খাচ্ছে কয়েক গুণ লাভ’ শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘বেগুন, লাউ, মুলা, টমেটোসহ আরও কয়েকটি সবজির স্থানীয় পর্যায়ে পাইকারিতে দাম একেবারে পড়ে গেছে। যদিও এর প্রতিফলন নেই খুচরা বাজারে।
সবজি উৎপাদনকারী অন্যতম কয়েকটি জেলা এবং ঢাকার পাইকারি আড়ত ও খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যাচ্ছে, দাম একলাফে কয়েক গুণ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে খুচরা ব্যবসায়ীদের হাতে এসে। সব মিলিয়ে পুরো ব্যবস্থায় কৃষক সর্বস্বান্ত হলেও, যথারীতি ভুগছে কিনে খাওয়া মানুষ।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেছেন, ‘বাজারব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে একদিকে কৃষক ঠকছেন, অন্যদিকে ভোক্তাদের পকেট কাটা হচ্ছে।’ এটা কারও অজানা নয় যে আমাদের দেশে বাজার ও বিপণনব্যবস্থার দুর্বলতার কারণে ভোক্তা ও উৎপাদক ক্ষতিগ্রস্ত হন, আর মধ্যস্বত্বভোগীরা মুনাফার পাহাড় গড়েন।
আজকের পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে বলা হয়েছে, ‘খুচরা আর পাইকারিতে যে দামে সবজি বিক্রি হচ্ছে, স্থানীয় পর্যায়ে কৃষকেরা তা-ও পাচ্ছেন না। বগুড়া ও লালমনিরহাটে প্রথম রমজানে পাইকারি দামে বেগুন কেজিপ্রতি ৫০ টাকায় বিক্রি হলেও ছয়-সাত রমজান থেকে দরপতন। খেত থেকে বেগুন সংগ্রহ করতে শ্রমিকের খরচই উঠছে না চাষিদের।’
দামের এমন তারতম্য অব্যাহত থাকলে নানা দিক থেকেই পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। ন্যায্য দাম না পেয়ে কৃষক উৎপাদন কমিয়ে দিলে সংকট আরও বাড়বে। তাই সরকারকে দায়সারা পদক্ষেপের পরিবর্তে টেকসই বিকল্পের কথা ভাবতে হবে। সবার আগে বন্ধ করতে হবে চাঁদাবাজি। বিপণনব্যবস্থা কীভাবে আরও উন্নত করা যায়, তা-ও ভাবনায় সীমাবদ্ধ না রেখে বাজারে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে