সাবিত আল হাসান, নারায়ণগঞ্জ
শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে তৈরি পোশাক কারখানার পাশাপাশি গড়ে উঠেছে রি-রোলিং মিল। এসব কারখানায় কাজ করছেন অনেক শ্রমিক। মাঝেমধ্যেই কারখানার ভাট্টিতে (লোহা গলানোর পাত্র) ঘটে বিস্ফোরণ, হয় প্রাণহানি। মাস না ঘুরতেই সেসব ঘটনা চলে যায় আড়ালে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ঝুঁকির বিষয়টি থেকে যায় ব্রাত্যই।
নারায়ণগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১৪২টি নিবন্ধিত রি-রোলিং মিল রয়েছে। এর বাইরে অনুমোদন ছাড়া কোনো কারখানা পরিচালিত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তথ্য নেই সংস্থাটির কাছে। এসব নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত উভয় কারখানাতেই কর্মরত শ্রমিকেরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। রোলিং কারখানায় নিরাপত্তাসামগ্রী ব্যবহার ও ভাট্টি ব্যবহারের ওপর বেশ কিছু নির্দেশনা থাকলেও সেসব উপেক্ষা করেই কাজ চালান মালিকেরা।
এ ঝুঁকির কারণে মাঝেমধ্যেই ভাট্টি বিস্ফোরণের মতো বড় দুর্ঘটনায় মারা যান কর্মরত অনেক শ্রমিক। প্রাণহানি না হলেও গলিত লোহা শরীরে পড়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন অনেকে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকার রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডে (আরআইসিএল) এ ধরনের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
কেন ঘটে বিস্ফোরণ
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভাট্টিতে বিভিন্ন লৌহজাত দ্রব্য ঢেলে গলানো হয়। সেসব দ্রব্য যখন ভাট্টিতে ঢালা হয়, তখন ভেতরের ফাঁকা অংশে ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়ে গলিত লাভা ছিটকে দেয়। এতে আশপাশের শ্রমিকেরা হতাহত হন।
ভাট্টিতে গলিত লোহা ধারণক্ষমতার বেশি হলেও তা ছিটকে যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ ভাট্টি ব্যবহারের ফলে ফেটে যেতে পারে। এই দুটো ঘটনাকেই ভাট্টি বিস্ফোরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জ্বালানি খরচ বাঁচাতে ধারণক্ষমতার বেশি লোহা ভাট্টিতে গলানো হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, ভাট্টিগুলো প্রতিবছর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক মালিক এই পরীক্ষার বিষয়ে উদাসীন।
শ্রমিক সুরক্ষাতেও ফাঁকি
শুধু ভাট্টি ও কাঠামোগত সুরক্ষাই যথেষ্ট নয়, কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিককে পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রী ও সুবিধা দেওয়ার কথাও রয়েছে শ্রম আইনে। কাজের সময় শ্রমিকদের হাতে মোটা হ্যান্ড গ্লাভস (কনুই পর্যন্ত বিস্তৃত), পায়ে বোর্ড ও গামবুট, চোখে গগলস, দুই ঘণ্টা পরপর শরবতের ব্যবস্থা এবং বিশ্রামের সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। আইন ও বিধিমালা মানতেও মালিকদের ত্রুটি দেখা যায় প্রায়ই। প্রতি মাসে এসব বিষয় তদারকির জন্য পরিদর্শন করে ত্রুটি পান কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কর্তাব্যক্তিরা যা বলছেন
রূপগঞ্জের আরআইসিএল কারখানাতে চলতি বছরের ৬ মার্চ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অধিদপ্তরের দুজন পরিদর্শক। কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তার ধরন সন্তুষ্ট করতে না পারায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি তাদের। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মেহেদী হাসান বলেন, এরপরও কারখানার ভেতরে লৌহজাত পণ্য উৎপাদন করছিল প্রতিষ্ঠানটি। মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারলাম, এখানে মূলত গলিত লোহা ওভারফ্লো হয়েছে। শ্রমিকেরা নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরেই ছিলেন। কাজের শেষ মুহূর্তে পোশাক খুলে রাখার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিল্পনগরী নারায়ণগঞ্জে তৈরি পোশাক কারখানার পাশাপাশি গড়ে উঠেছে রি-রোলিং মিল। এসব কারখানায় কাজ করছেন অনেক শ্রমিক। মাঝেমধ্যেই কারখানার ভাট্টিতে (লোহা গলানোর পাত্র) ঘটে বিস্ফোরণ, হয় প্রাণহানি। মাস না ঘুরতেই সেসব ঘটনা চলে যায় আড়ালে। শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও ঝুঁকির বিষয়টি থেকে যায় ব্রাত্যই।
নারায়ণগঞ্জ কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় ১৪২টি নিবন্ধিত রি-রোলিং মিল রয়েছে। এর বাইরে অনুমোদন ছাড়া কোনো কারখানা পরিচালিত হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে তথ্য নেই সংস্থাটির কাছে। এসব নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত উভয় কারখানাতেই কর্মরত শ্রমিকেরা ঝুঁকি নিয়ে কাজ করেন। রোলিং কারখানায় নিরাপত্তাসামগ্রী ব্যবহার ও ভাট্টি ব্যবহারের ওপর বেশ কিছু নির্দেশনা থাকলেও সেসব উপেক্ষা করেই কাজ চালান মালিকেরা।
এ ঝুঁকির কারণে মাঝেমধ্যেই ভাট্টি বিস্ফোরণের মতো বড় দুর্ঘটনায় মারা যান কর্মরত অনেক শ্রমিক। প্রাণহানি না হলেও গলিত লোহা শরীরে পড়ে পঙ্গুত্ব বরণ করেন অনেকে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে রূপগঞ্জের সাওঘাট এলাকার রহিমা ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমপ্লেক্স লিমিটেডে (আরআইসিএল) এ ধরনের ঘটনায় গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চারজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে।
কেন ঘটে বিস্ফোরণ
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ভাট্টিতে বিভিন্ন লৌহজাত দ্রব্য ঢেলে গলানো হয়। সেসব দ্রব্য যখন ভাট্টিতে ঢালা হয়, তখন ভেতরের ফাঁকা অংশে ভ্যাকুয়াম তৈরি হয়ে গলিত লাভা ছিটকে দেয়। এতে আশপাশের শ্রমিকেরা হতাহত হন।
ভাট্টিতে গলিত লোহা ধারণক্ষমতার বেশি হলেও তা ছিটকে যায়। মেয়াদোত্তীর্ণ ভাট্টি ব্যবহারের ফলে ফেটে যেতে পারে। এই দুটো ঘটনাকেই ভাট্টি বিস্ফোরণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে জ্বালানি খরচ বাঁচাতে ধারণক্ষমতার বেশি লোহা ভাট্টিতে গলানো হয়। কর্মকর্তারা বলছেন, ভাট্টিগুলো প্রতিবছর পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। কিন্তু অনেক মালিক এই পরীক্ষার বিষয়ে উদাসীন।
শ্রমিক সুরক্ষাতেও ফাঁকি
শুধু ভাট্টি ও কাঠামোগত সুরক্ষাই যথেষ্ট নয়, কর্মরত প্রত্যেক শ্রমিককে পর্যাপ্ত সুরক্ষাসামগ্রী ও সুবিধা দেওয়ার কথাও রয়েছে শ্রম আইনে। কাজের সময় শ্রমিকদের হাতে মোটা হ্যান্ড গ্লাভস (কনুই পর্যন্ত বিস্তৃত), পায়ে বোর্ড ও গামবুট, চোখে গগলস, দুই ঘণ্টা পরপর শরবতের ব্যবস্থা এবং বিশ্রামের সুবিধা দিতে বলা হয়েছে। আইন ও বিধিমালা মানতেও মালিকদের ত্রুটি দেখা যায় প্রায়ই। প্রতি মাসে এসব বিষয় তদারকির জন্য পরিদর্শন করে ত্রুটি পান কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
কর্তাব্যক্তিরা যা বলছেন
রূপগঞ্জের আরআইসিএল কারখানাতে চলতি বছরের ৬ মার্চ পরিদর্শনে গিয়েছিলেন অধিদপ্তরের দুজন পরিদর্শক। কারখানার ভেতরে শ্রমিকদের কর্মপরিবেশ ও নিরাপত্তার ধরন সন্তুষ্ট করতে না পারায় ছাড়পত্র দেওয়া হয়নি তাদের। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের পরিদর্শক (স্বাস্থ্য) মেহেদী হাসান বলেন, এরপরও কারখানার ভেতরে লৌহজাত পণ্য উৎপাদন করছিল প্রতিষ্ঠানটি। মেহেদী হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, বিস্ফোরণের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারলাম, এখানে মূলত গলিত লোহা ওভারফ্লো হয়েছে। শ্রমিকেরা নিরাপত্তা সরঞ্জাম পরেই ছিলেন। কাজের শেষ মুহূর্তে পোশাক খুলে রাখার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২ দিন আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৬ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৬ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৬ দিন আগে