রেজা মাহমুদ, সৈয়দপুর (নীলফামারী)
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুমতি ছাড়াই গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক ভবন। পৌরসভা ও রেল কর্তৃপক্ষের বিরোধের কারণে সৃষ্টি হয়েছে নগরায়ণে নানা সংকট। তিন লাখ জনসংখ্যার এ শহরতলি এখন হয়ে উঠেছে বেহাল। এমন অভিমত পৌরবাসীর। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত নাগরিক সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময়ের দরকার। না হলে ভারসাম্যহীন থেকে যাবে নাগরিক দুর্ভোগ।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালের পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভা গঠন করলেও বর্তমান ১৫টি ওয়ার্ড। আর এর বেশির জায়গা হচ্ছে রেলওয়ের। পৌরসভার আয়ের উৎস বাড়াতে ১৯৮৫ সালে বিশেষ শর্তে তৎকালীন জেলা কর্মকর্তা পৌর পরিষদকে রেলওয়ের ২৫ দশমিক ৭৫ একর বাণিজ্যিক জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। পরে ওই জমি নিয়ে ৩৭ বছর ধরে পৌরসভা ও রেলওয়ের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। এ-সংক্রান্ত একটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে সৈয়দপুরের উন্নয়ন ও পরিষেবার সঙ্গে রেলওয়ে, পৌর পরিষদসহ বিভিন্ন এনজিওসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় ১০টি সংস্থা জড়িত। কিন্তু সংস্থা ও বিভাগগুলোর মধ্যকার সমন্বয় না থাকায় ইচ্ছেমতো শহরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন সংস্থার নিজমতো কার্যক্রম পরিচালনায় নগরীর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরিকল্পিত ও যথেচ্ছ কর্মকাণ্ডে ভারসাম্য হারাচ্ছে শহর। দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ও ভারসাম্যের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে পরিকল্পিত সড়ক, বাজার ব্যবস্থাপনা, জলাশয়, পুকুর, খেলার মাঠ ও খোলা জায়গা। রেলওয়ে ও পৌরসভার নির্দিষ্ট সীমানা না থাকার অজুহাতে বেদখলকারীরা বেপরোয়াভাবে রেলের জায়গায় অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
এ ছাড়া ২০০ বছরের আগের এ শহরে জনসংখ্যা ও যানবাহন বাড়লেও বাড়েনি সড়ক। সাবেক আটটি সড়কপথে চলছে যানবাহন। পিকআপ, মাইক্রো, ট্রাক, ট্যাংকলরি, ভটভটি ও অটোরিকশাসহ প্রায় ১০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। শহরের পাঁচমাথা, দিনাজপুর সড়কের মদিনা মোড়, পোস্ট অফিস ও বাস টার্মিনাল মোড়সহ কয়েক স্থানে লেগে থাকে যানজট। এমনকি সড়কগুলোয় ধারণক্ষমতার বেশি যানবাহনের কারণে হেঁটে চলাচলও দায়।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান হাফিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের অষ্টম বাণিজ্যিক শহর হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুরে বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসছেন। তবে নগরায়ণ গড়তে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা ও সমন্বয় না থাকায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো ক্রমাগত সীমিত ও স্থবির হয়ে পড়ছে।
সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী ও নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহসভাপতি হাজি আফতাব আলম জোবায়ের বলেন, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছোট শহরে দুর্ভোগ বাড়ছে।
তাঁরা আরও বলেন, ৫০ বছর আগে এ শহরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসতি ছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নবাগতদের কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘিঞ্জিভাবে এ শহরে বাস করছেন। এসব লোকের চাহিদা পূরণে শহরজুড়ে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে দোকানপাট, গুদাম, আড়ত, কলকারখানা, ওয়ার্কশপ, বাণিজ্য ও বিপণিকেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে রেলওয়ে ও পৌরসভার মধ্যে বিরোধ নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তাঁরা।
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অনুমতি ছাড়াই গড়ে উঠছে বাণিজ্যিক ভবন। পৌরসভা ও রেল কর্তৃপক্ষের বিরোধের কারণে সৃষ্টি হয়েছে নগরায়ণে নানা সংকট। তিন লাখ জনসংখ্যার এ শহরতলি এখন হয়ে উঠেছে বেহাল। এমন অভিমত পৌরবাসীর। পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, শহরের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের চেষ্টা চলছে। স্থানীয় নির্বাহী কর্মকর্তা, রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধি, উন্নয়ন ও সেবাদানকারী সংস্থাগুলোর সমন্বয়ের মাধ্যমে দ্রুত নাগরিক সমস্যা নিরসনে উদ্যোগ নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে যথেষ্ট সময়ের দরকার। না হলে ভারসাম্যহীন থেকে যাবে নাগরিক দুর্ভোগ।
জানা গেছে, ১৯৬৫ সালের পাঁচটি ওয়ার্ড নিয়ে পৌরসভা গঠন করলেও বর্তমান ১৫টি ওয়ার্ড। আর এর বেশির জায়গা হচ্ছে রেলওয়ের। পৌরসভার আয়ের উৎস বাড়াতে ১৯৮৫ সালে বিশেষ শর্তে তৎকালীন জেলা কর্মকর্তা পৌর পরিষদকে রেলওয়ের ২৫ দশমিক ৭৫ একর বাণিজ্যিক জায়গা ব্যবহারের অনুমতি দেয়। পরে ওই জমি নিয়ে ৩৭ বছর ধরে পৌরসভা ও রেলওয়ের মধ্যে চলছে রশি টানাটানি। এ-সংক্রান্ত একটি মামলা বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন।
এদিকে সৈয়দপুরের উন্নয়ন ও পরিষেবার সঙ্গে রেলওয়ে, পৌর পরিষদসহ বিভিন্ন এনজিওসহ সরকারি ও বেসরকারি প্রায় ১০টি সংস্থা জড়িত। কিন্তু সংস্থা ও বিভাগগুলোর মধ্যকার সমন্বয় না থাকায় ইচ্ছেমতো শহরের উন্নয়ন কার্যক্রম চলছে। বিভিন্ন সংস্থার নিজমতো কার্যক্রম পরিচালনায় নগরীর ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরিকল্পিত ও যথেচ্ছ কর্মকাণ্ডে ভারসাম্য হারাচ্ছে শহর। দিন দিন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে।
অন্যদিকে প্রাকৃতিক সুরক্ষা ও ভারসাম্যের জন্য অপরিহার্য হচ্ছে পরিকল্পিত সড়ক, বাজার ব্যবস্থাপনা, জলাশয়, পুকুর, খেলার মাঠ ও খোলা জায়গা। রেলওয়ে ও পৌরসভার নির্দিষ্ট সীমানা না থাকার অজুহাতে বেদখলকারীরা বেপরোয়াভাবে রেলের জায়গায় অনুমোদন ছাড়াই বহুতল ভবন নির্মাণ করছে। ফলে প্রতিনিয়ত বাড়ছে জনদুর্ভোগ।
এ ছাড়া ২০০ বছরের আগের এ শহরে জনসংখ্যা ও যানবাহন বাড়লেও বাড়েনি সড়ক। সাবেক আটটি সড়কপথে চলছে যানবাহন। পিকআপ, মাইক্রো, ট্রাক, ট্যাংকলরি, ভটভটি ও অটোরিকশাসহ প্রায় ১০ হাজার যানবাহন চলাচল করে। শহরের পাঁচমাথা, দিনাজপুর সড়কের মদিনা মোড়, পোস্ট অফিস ও বাস টার্মিনাল মোড়সহ কয়েক স্থানে লেগে থাকে যানজট। এমনকি সড়কগুলোয় ধারণক্ষমতার বেশি যানবাহনের কারণে হেঁটে চলাচলও দায়।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ হাফিজুর রহমান হাফিজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশের অষ্টম বাণিজ্যিক শহর হিসেবে পরিচিত সৈয়দপুরে বিভিন্ন এলাকার মানুষ আসছেন। তবে নগরায়ণ গড়তে সুবিন্যস্ত পরিকল্পনা ও সমন্বয় না থাকায় কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রগুলো ক্রমাগত সীমিত ও স্থবির হয়ে পড়ছে।
সৈয়দপুর বণিক সমিতির সভাপতি ইদ্রিস আলী ও নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সিনিয়র সহসভাপতি হাজি আফতাব আলম জোবায়ের বলেন, যানবাহনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ছোট শহরে দুর্ভোগ বাড়ছে।
তাঁরা আরও বলেন, ৫০ বছর আগে এ শহরে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের বসতি ছিল। জনসংখ্যা বৃদ্ধি ও নবাগতদের কারণে প্রায় তিন লাখ মানুষ ঘিঞ্জিভাবে এ শহরে বাস করছেন। এসব লোকের চাহিদা পূরণে শহরজুড়ে অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে দোকানপাট, গুদাম, আড়ত, কলকারখানা, ওয়ার্কশপ, বাণিজ্য ও বিপণিকেন্দ্র। এ ক্ষেত্রে পরিকল্পিত নগরী গড়ে তুলতে রেলওয়ে ও পৌরসভার মধ্যে বিরোধ নিরসনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান তাঁরা।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২০ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৫ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৫ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৫ দিন আগে