ড. মো. গোলাম রহমান
আজকের পত্রিকা তিন বছর পেরিয়ে নতুন উদ্যমে পা রাখছে চতুর্থ বছরে। এই শুভদিনে আমরা পত্রিকার পাঠক, সমর্থক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
দেশে তখন শুরু হয়েছিল হঠাৎ করেই এক মহাদুর্যোগ। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি মানবসভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। মানবতার এই সংকটময় সময়ে জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা গণমাধ্যমের জন্যও ছিল এক চ্যালেঞ্জ, পুরো পরিবেশ ছিল অত্যন্ত নাজুক। জনগণ তাদের নিজ গৃহে অন্তরীণ। হাটবাজার, দোকানপাট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান– সব বন্ধ হয়ে জীবন যেন থেমে থাকা স্টেশনে গন্তব্যহীন যাত্রা। পরিবারে পরিবারে হাহাকার! তাঁদের প্রিয়জন বিদায় নিচ্ছেন প্রায় চিকিৎসাহীন অবস্থায়। হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই; ডাক্তারদের চিকিৎসা জানা নেই, সেই রোগের যথার্থ ওষুধ নেই, রোগটি সেই অর্থে এত নতুন যে তার প্রতিকার ব্যবস্থাই ছিল গবেষণাধীন। আর এই সংকট সৃষ্টির বেশ কয়েক মাস আগে থেকে পুরোদস্তুর পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছিল ‘আজকের পত্রিকা’র। একটি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রকাশনা বিরাট এক কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত থাকেন, কেবল তাঁরাই বলতে পারেন এর ব্যাপ্তি ও বিকাশে কী পরিমাণ মেধা, মনন এবং সম্পদের ব্যবহার হয়।
আজ এই পত্রিকা চার বছরে পা দিচ্ছে। আমরা প্রকাশনার পূর্বেই জনসাধারণের সংবাদপত্রের চাহিদা এবং সংবাদপত্রের পাঠক হিসেবে তাঁদের মনোবাসনা জানার চেষ্টা করেছি। পাঠক সাধারণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কয়েকটি গবেষণা করেছি। আমাদের দেশের সংবাদপত্র বেশির ভাগ পাঠক খুব বেশি সময় ধরে সংবাদপত্র পাঠ করেন না। তাঁদের মানসিকতার বিরুদ্ধে খুব বেশি পৃষ্ঠা দিয়ে পত্রিকার কলেবর বৃদ্ধি করে তাঁদের বিব্রত করা সমীচীন মনে করিনি। এই উপলব্ধিতে আমরা তাঁদের পাঠাভ্যাসকে সম্মান দিয়ে দেশে একটি নতুন ধারার পত্রিকা বের করার প্রয়াস পেয়েছি।
পাঠক হচ্ছে সংবাদপত্রের পরশপাথর। পাঠকেরাই সংবাদপত্রের মতো কাগজে মুদ্রিত একটি জড়বস্তুকে নিজের মনের খোরাক হিসেবে ব্যবহার করে নিজের মনের ভালো লাগা-মন্দ লাগাকে ভিত্তি করে নিজেদের ভাবনার জগৎ তৈরি করেন; প্রকাশিত নানা বিষয় নিয়ে পরিবার কিংবা বন্ধুমহলে আলোচনার ঝড় তোলেন। এই পরশপাথরের সাহচর্যে আজকের পত্রিকা আজকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠমাধ্যম।
সংবাদপত্র শুধু পাঠকের পাঠাভ্যাস বজায় রাখে না, বরং প্রকাশিত খবরের নানা বিশ্লেষণ তাদের নতুন কিছু জানতে শেখায়, ভাবতে শেখায়, আগামী দিনে চলার পথনির্দেশক হয়ে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে থাকে। পাঠকের এই সব চাহিদা এবং তাঁদের সঙ্গী হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে ‘আজকের পত্রিকা’ তিন বছর সাফল্যের সঙ্গে কাটিয়ে আপনাদের সেবায় ধন্য। এই পত্রিকাটি স্বল্পমূল্যে পাঠকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সারা দেশে। এটি সারা দেশের স্থানীয় দৈনিক। আমরা সারা দেশের মানুষের এবং জনপদের খবরাখবর বিভিন্ন সংস্করণে উপস্থাপন করে যাচ্ছি।
প্রতিদিন পাঠকের প্রত্যাশা এবং ভালো লাগাকে দৃষ্টিতে রেখে আমরা প্রতিদিনের সর্বশেষ সংবাদ দিয়ে পত্রিকাকে সাজিয়ে তুলি। সপ্তাহের সাত দিনই পৃথক একেকটি পৃষ্ঠা পাঠকের কাছে অভ্যাগত অতিথির মতো সকালে এসে উপস্থিত হয় আজকের পত্রিকা। আমাদের সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়ান সংবাদ সংগ্রহে। আর যাঁরা সংবাদ সম্পাদনার কাজে নিজেদের সমর্পিত করেছেন, তাঁরা সারাক্ষণ এই কাজেই লেগে আছেন আপন মনে পাঠক রুচি সামলাতে এবং সংবাদপত্রের আদর্শিক আয়োজনে। আমরা পাঠকের মন জোগাতে এবং মনকে বিকশিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
পাঠকই আমাদের সবকিছু! তাঁরা আজ মুদ্রিত পত্রিকা কিংবা অনলাইনে যে আগ্রহের সঙ্গে আজকের পত্রিকা পাঠ করছেন, এই ধারা বজায় রেখে পত্রিকাকে এক বর্ণিল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেবেন—এই প্রত্যাশা করি।
ড. মো. গোলাম রহমান, সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
আজকের পত্রিকা তিন বছর পেরিয়ে নতুন উদ্যমে পা রাখছে চতুর্থ বছরে। এই শুভদিনে আমরা পত্রিকার পাঠক, সমর্থক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভানুধ্যায়ীসহ সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা।
দেশে তখন শুরু হয়েছিল হঠাৎ করেই এক মহাদুর্যোগ। শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে করোনা মহামারি মানবসভ্যতাকে চ্যালেঞ্জ করে ভয়াবহ হয়ে উঠেছিল। মানবতার এই সংকটময় সময়ে জীবনের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরা গণমাধ্যমের জন্যও ছিল এক চ্যালেঞ্জ, পুরো পরিবেশ ছিল অত্যন্ত নাজুক। জনগণ তাদের নিজ গৃহে অন্তরীণ। হাটবাজার, দোকানপাট, অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান– সব বন্ধ হয়ে জীবন যেন থেমে থাকা স্টেশনে গন্তব্যহীন যাত্রা। পরিবারে পরিবারে হাহাকার! তাঁদের প্রিয়জন বিদায় নিচ্ছেন প্রায় চিকিৎসাহীন অবস্থায়। হাসপাতালে কোনো শয্যা খালি নেই; ডাক্তারদের চিকিৎসা জানা নেই, সেই রোগের যথার্থ ওষুধ নেই, রোগটি সেই অর্থে এত নতুন যে তার প্রতিকার ব্যবস্থাই ছিল গবেষণাধীন। আর এই সংকট সৃষ্টির বেশ কয়েক মাস আগে থেকে পুরোদস্তুর পরিকল্পনা এবং প্রস্তুতি সংখ্যা প্রকাশিত হচ্ছিল ‘আজকের পত্রিকা’র। একটি দৈনিক সংবাদপত্রের প্রকাশনা বিরাট এক কর্মযজ্ঞ। এর সঙ্গে যাঁরা জড়িত থাকেন, কেবল তাঁরাই বলতে পারেন এর ব্যাপ্তি ও বিকাশে কী পরিমাণ মেধা, মনন এবং সম্পদের ব্যবহার হয়।
আজ এই পত্রিকা চার বছরে পা দিচ্ছে। আমরা প্রকাশনার পূর্বেই জনসাধারণের সংবাদপত্রের চাহিদা এবং সংবাদপত্রের পাঠক হিসেবে তাঁদের মনোবাসনা জানার চেষ্টা করেছি। পাঠক সাধারণের মতামতকে প্রাধান্য দিয়ে কয়েকটি গবেষণা করেছি। আমাদের দেশের সংবাদপত্র বেশির ভাগ পাঠক খুব বেশি সময় ধরে সংবাদপত্র পাঠ করেন না। তাঁদের মানসিকতার বিরুদ্ধে খুব বেশি পৃষ্ঠা দিয়ে পত্রিকার কলেবর বৃদ্ধি করে তাঁদের বিব্রত করা সমীচীন মনে করিনি। এই উপলব্ধিতে আমরা তাঁদের পাঠাভ্যাসকে সম্মান দিয়ে দেশে একটি নতুন ধারার পত্রিকা বের করার প্রয়াস পেয়েছি।
পাঠক হচ্ছে সংবাদপত্রের পরশপাথর। পাঠকেরাই সংবাদপত্রের মতো কাগজে মুদ্রিত একটি জড়বস্তুকে নিজের মনের খোরাক হিসেবে ব্যবহার করে নিজের মনের ভালো লাগা-মন্দ লাগাকে ভিত্তি করে নিজেদের ভাবনার জগৎ তৈরি করেন; প্রকাশিত নানা বিষয় নিয়ে পরিবার কিংবা বন্ধুমহলে আলোচনার ঝড় তোলেন। এই পরশপাথরের সাহচর্যে আজকের পত্রিকা আজকে গুরুত্বপূর্ণ একটি পাঠমাধ্যম।
সংবাদপত্র শুধু পাঠকের পাঠাভ্যাস বজায় রাখে না, বরং প্রকাশিত খবরের নানা বিশ্লেষণ তাদের নতুন কিছু জানতে শেখায়, ভাবতে শেখায়, আগামী দিনে চলার পথনির্দেশক হয়ে তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে থাকে। পাঠকের এই সব চাহিদা এবং তাঁদের সঙ্গী হয়ে থাকার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করে ‘আজকের পত্রিকা’ তিন বছর সাফল্যের সঙ্গে কাটিয়ে আপনাদের সেবায় ধন্য। এই পত্রিকাটি স্বল্পমূল্যে পাঠকের হাতে পৌঁছে যাচ্ছে সারা দেশে। এটি সারা দেশের স্থানীয় দৈনিক। আমরা সারা দেশের মানুষের এবং জনপদের খবরাখবর বিভিন্ন সংস্করণে উপস্থাপন করে যাচ্ছি।
প্রতিদিন পাঠকের প্রত্যাশা এবং ভালো লাগাকে দৃষ্টিতে রেখে আমরা প্রতিদিনের সর্বশেষ সংবাদ দিয়ে পত্রিকাকে সাজিয়ে তুলি। সপ্তাহের সাত দিনই পৃথক একেকটি পৃষ্ঠা পাঠকের কাছে অভ্যাগত অতিথির মতো সকালে এসে উপস্থিত হয় আজকের পত্রিকা। আমাদের সাংবাদিকেরা প্রতিনিয়ত ছুটে বেড়ান সংবাদ সংগ্রহে। আর যাঁরা সংবাদ সম্পাদনার কাজে নিজেদের সমর্পিত করেছেন, তাঁরা সারাক্ষণ এই কাজেই লেগে আছেন আপন মনে পাঠক রুচি সামলাতে এবং সংবাদপত্রের আদর্শিক আয়োজনে। আমরা পাঠকের মন জোগাতে এবং মনকে বিকশিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।
পাঠকই আমাদের সবকিছু! তাঁরা আজ মুদ্রিত পত্রিকা কিংবা অনলাইনে যে আগ্রহের সঙ্গে আজকের পত্রিকা পাঠ করছেন, এই ধারা বজায় রেখে পত্রিকাকে এক বর্ণিল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নেবেন—এই প্রত্যাশা করি।
ড. মো. গোলাম রহমান, সম্পাদক, আজকের পত্রিকা
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
২ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
২ দিন আগে