শহর থেকে খুব কাছে উন্নয়ন থেকে দূরে

যশোর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০৮: ০৫
আপডেট : ০৯ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ০৪

যশোর শহর থেকে মাত্র সাড়ে তিন কিলোমিটার দূরে বালিয়াডাঙ্গা গ্রাম। অথচ স্বাধীনতার ৫০ বছরে পাকা রাস্তা পায়নি এ গ্রামবাসী। কাঁচা রাস্তার সঙ্গে ইট বিছানো যে সড়কটি রয়েছে সেটিও বসানো হয়েছে অন্তত ২ দশক আগে। সেই সড়কের অবস্থাও বেহাল। এতে চরম বিপাকে রয়েছেন সেখানকার অন্তত ৪ হাজার পরিবার।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তথ্যমতে, বালিয়াডাঙ্গা গ্রামটিতে প্রায় ৯ কিলোমিটার সড়ক রয়েছে। এর মধ্যে বালিয়াডাঙ্গা-শাহপুর (হাশিমপুর) ২.৪ কিলোমিটার, বালিয়াডাঙ্গা-আড়পাড়া ২.২ কিলোমিটার, বালিয়াডাঙ্গা স্কুল থেকে শাহপুর মোড় পর্যন্ত ১.৯ কিলোমিটার ইট বিছানো সড়ক। এ ছাড়া বড় ও ছোট বালিয়াডাঙ্গার অভ্যন্তরীণ রাস্তা রয়েছে আরও অন্তত ৩ কিলোমিটার মাটির কাঁচা রাস্তা রয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ইদ্রিস আলী বলেন, ‘প্রায় দুই দশক আগে গ্রামটিতে প্রথম ইট বিছানো রাস্তা নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কিছুদিন পরই সড়কটির অবস্থা বেহাল হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে একাধিকবার সরকার বদল হলেও সড়কটির সংস্কার হয়নি। এতে দীর্ঘদিনের ব্যবহৃত রাস্তাটিও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। মাঝে মধ্যেই ঘটে অনেক দুর্ঘটনা।’

সাইফুল ইসলাম নামের আরেক গ্রামবাসী জানান, ইট বিছানো এই সড়ক দিয়েই ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রো, প্রাইভেট চলাচল করে। এতে রাস্তার অবস্থা আরও খারাপ হয়ে গেছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গ্রামটির ওপর দিয়ে আশপাশের আরও ৫ থেকে ৬ গ্রামের মানুষ প্রতিনিয়ত শহরে যাতায়াত করেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরাও সব সময় সড়কটি ব্যবহার করে। রোগী আনা-নেওয়াসহ গ্রামগুলোর মানুষের প্রায় সব কাজই এ রাস্তাগুলোর ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু রাস্তার অবস্থা বেহাল হওয়ায় সকলেরই খুব সমস্যায় পড়তে হয়।

এলজিইডি’র যশোর সদর উপজেলার উপপ্রকৌশলী মো. নাজমুল হুদা বলেন, ‘ওই এলাকার সড়কগুলোর ব্যাপারে আমরা একাধিকবার প্রস্তাবনা পাঠিয়েছি। কিন্তু এখন পর্যন্ত বরাদ্দ না পাওয়ায় সেগুলো সংস্কার কিংবা নির্মাণ করা সম্ভব হয়নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরেও রয়েছে।’

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত