Ajker Patrika

সড়কের দুরবস্থায় জনদুর্ভোগ

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৮ নভেম্বর ২০২১, ১৮: ২৪
সড়কের দুরবস্থায় জনদুর্ভোগ

মির্জাপুরের দেওহাটা-ধানতারা আঞ্চলিক সড়কের দুরবস্থার কারণে যান তো দূরের কথা, লোক চলাচলই কঠিন হয়ে পড়েছে। ফলে স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীসহ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী লোকজনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বাইপাইল অংশের যানজট এড়ানোর জন্য এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে অনেকে ধামরাই হয়ে ঢাকায় যাতায়াত করতেন। সড়কটিতে বর্ষায় খানাখন্দসহ কাদা ও শুষ্ক মৌসুমে ধুলোতে ভরা থাকে। এ অবস্থার মধ্যেও এ আঞ্চলিক সড়ক দিয়ে ট্রাক, মাইক্রো, প্রাইভেট কার, লেগুনা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।

উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ সড়কের দেওহাটা থেকে গেড়ামারা পর্যন্ত পাকা করা হয়। অপরদিকে ধামরাইয়ের ধানতারা থেকে পঞ্চাশ গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক পাকা করা হয়। মধ্যখানে গেড়ামারা থেকে বিলগজারিয়া গ্রাম পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা থেকে যায়।

২০১৯ সালের বন্যায় গেড়ামারায় ৫০ মিটার রাস্তা পানির স্রোতে ভেঙে যায়। এর পর থেকে এ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। জনসাধারণের যাতায়াতের জন্য বহুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) মাধ্যমে ভাঙা অংশে বাঁশের সাঁকো দেওয়া হয়। বর্তমানে সে সাঁকোও নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া দেওহাটা থেকে বহুরিয়ার শিল্পপতি নূরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত সড়কটি এতই ভেঙে গেছে যে যান চলাচল করা দায়।

ইউপি সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান মিয়া বলেন, বৃষ্টি হলেই দেওহাটা থেকে শিল্পপতি নূরুল ইসলাম সেতু পর্যন্ত আনুমানিক প্রায় চার কিলোমিটার রাস্তা কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায়। তা ছাড়া শুষ্ক মৌসুমে সড়কের ওই অংশটুকুতে এত ধুলোবালি উড়ে যে নাক-মুখ ডেকেও চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়ে।

বেত্রাসিন গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা বাদশা মিয়া বলেন, শুষ্ক মৌসুমে ধুলোবালিতে আশপাশের বাড়িঘরে থাকা দায় হয়ে পড়ে। আঞ্চলিক সড়কটির এ দুরবস্থার কারণে ছাত্রছাত্রীসহ এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চলাচলকারী শত শত মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

এলজিইডি প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গোড়ামারায় একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বরাদ্দ হলেই টেন্ডার আহ্বান করা হবে। অপরদিকে রাস্তাটিতে বর্তমানে চূড়ান্ত পরিমাপের কাজ চলছে। এ পরিমাপ শেষ হলে পাকাকরণের জন্য ঢাকায় প্রস্তাব পাঠানো হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত