সুমেল সারাফাত, মোংলা (বাগেরহাট)
বাগেরহাটের মোংলা পৌর এলাকার প্রধান মাছবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ। গত বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা পৌরবাজারে এ মাছ কেটে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে এই মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ তা জানেন না বলে দাবি ক্রেতা–বিক্রেতাদের।
শাপলাপাতা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘স্টিংরে ফিশ’। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) থেকে শাপলাপাতা মাছকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী এই মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের নদ-নদীতে বিলুপ্ত প্রজাতির এ মাছ শিকার ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও কেউই তা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও বন বিভাগের নীরব ভূমিকায় অবাধে শাপলাপাতা মাছ আহরণ, সংরক্ষণ ও বিক্রি হচ্ছে।
মোংলা বন্দর পৌরসভা মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হালিম বলেন, প্রায় প্রতিদিনই সাগর থেকে জেলেরা শাপলাপাতা মাছ বাজারে আনছেন। এই মাছ ধরা বা বিক্রি যে নিষিদ্ধ তা তাঁরা জানেন না, তাঁদের কেউ কখনো বলেনি। সাগর থেকে এই মাছ শিকার করে নদীপথে আনার সময় বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তা এতে বাধা দেন না। তাঁদের প্রশ্ন, দোষ কি শুধু বাজারের ব্যবসায়ীদের?
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. সোলায়মান হোসেন বলেন, বন বিভাগের লোকজনই শাপলাপাতা মাছ বাজারে আনায় সহায়তা করেন। তাঁরা নিষেধ করলে তো আর এই মাছ বাজারে ওঠানো সম্ভব না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বিএম (বোটম্যান) মো. মিজানুর রহমান এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করার সুযোগ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক দফা টাকা নিয়েছেন।
তবে বন বিভাগের বোটম্যান মিজানুর রহমানের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের করা অভিযোগ সত্য নয়। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বন বিভাগ খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, মূলত প্রচার-প্রচারণার অভাবেই কেউ জানে না যে শাপলাপাতা মাছ শিকার ও বিক্রয় নিষিদ্ধ। এখন থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করবেন। আর বোটম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, সাগরে দিনের পর দিন এভাবে নিধন চলতে থাকলে এক সময় এই শাপলাপাতা মাছ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণেই এ মাছ শিকার হচ্ছে। এই মাছ শিকার হওয়ায় জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। সাগরে এই মাছের নিধন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
বাগেরহাটের মোংলা পৌর এলাকার প্রধান মাছবাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির শাপলাপাতা মাছ। গত বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা পৌরবাজারে এ মাছ কেটে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করতে দেখা যায়। তবে এই মাছ শিকার ও বিক্রি নিষিদ্ধ তা জানেন না বলে দাবি ক্রেতা–বিক্রেতাদের।
শাপলাপাতা মাছের বৈজ্ঞানিক নাম ‘স্টিংরে ফিশ’। ইন্টারন্যাশনাল ইউনিয়ন ফর কনজারভেশন অব নেচার (আইইউসিএন) থেকে শাপলাপাতা মাছকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বন্য প্রাণী সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা আইন-২০১২ অনুযায়ী এই মাছ শিকার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
বঙ্গোপসাগর ও সুন্দরবন উপকূলের নদ-নদীতে বিলুপ্ত প্রজাতির এ মাছ শিকার ও বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হলেও কেউই তা মানছেন না। স্থানীয় প্রশাসন, মৎস্য অধিদপ্তর ও বন বিভাগের নীরব ভূমিকায় অবাধে শাপলাপাতা মাছ আহরণ, সংরক্ষণ ও বিক্রি হচ্ছে।
মোংলা বন্দর পৌরসভা মৎস্য ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আফজাল ফরাজি ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল হালিম বলেন, প্রায় প্রতিদিনই সাগর থেকে জেলেরা শাপলাপাতা মাছ বাজারে আনছেন। এই মাছ ধরা বা বিক্রি যে নিষিদ্ধ তা তাঁরা জানেন না, তাঁদের কেউ কখনো বলেনি। সাগর থেকে এই মাছ শিকার করে নদীপথে আনার সময় বন বিভাগের কোনো কর্মকর্তা এতে বাধা দেন না। তাঁদের প্রশ্ন, দোষ কি শুধু বাজারের ব্যবসায়ীদের?
বাজারের মাছ ব্যবসায়ী মো. সোলায়মান হোসেন বলেন, বন বিভাগের লোকজনই শাপলাপাতা মাছ বাজারে আনায় সহায়তা করেন। তাঁরা নিষেধ করলে তো আর এই মাছ বাজারে ওঠানো সম্ভব না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যবসায়ী বলেন, পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বিএম (বোটম্যান) মো. মিজানুর রহমান এসব মাছ প্রকাশ্যে বিক্রি করার সুযোগ দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কয়েক দফা টাকা নিয়েছেন।
তবে বন বিভাগের বোটম্যান মিজানুর রহমানের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীদের করা অভিযোগ সত্য নয়। তাঁর বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
বন বিভাগ খুলনা সার্কেলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, মূলত প্রচার-প্রচারণার অভাবেই কেউ জানে না যে শাপলাপাতা মাছ শিকার ও বিক্রয় নিষিদ্ধ। এখন থেকে মাইকিং করে সবাইকে সতর্ক করবেন। আর বোটম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রউফ বলেন, সাগরে দিনের পর দিন এভাবে নিধন চলতে থাকলে এক সময় এই শাপলাপাতা মাছ পুরোপুরি বিলুপ্ত হয়ে যাবে। বন বিভাগের কর্মকর্তাদের উদাসীনতার কারণেই এ মাছ শিকার হচ্ছে। এই মাছ শিকার হওয়ায় জীববৈচিত্র্য মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হবে। সাগরে এই মাছের নিধন ঠেকাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৫ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে