শীর্ষ পদপ্রত্যাশীদের নিয়ে চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ

জুবাইদুল ইসলাম, শেরপুর
প্রকাশ : ০৭ ডিসেম্বর ২০২২, ১৫: ৪০

দীর্ঘ সাড়ে সাত বছর পর শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর)। শহরের শহীদ দারোগ আলী পৌরপার্ক মাঠে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। দীর্ঘদিন পর এই সম্মেলনকে ঘিরে নেতা-কর্মীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। সমাবেশে অর্ধলক্ষ কর্মী সমাগমের আশা করছেন জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা।

জেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, এই সম্মেলনের উদ্বোধনের কথা রয়েছে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর। সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক যোগাযোগ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি থাকবেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম ও শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সদস্য মারুফা আক্তার পপি ও রেমন্ড আরেং। এতে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক। সম্মেলন সঞ্চালনা করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল।

এদিকে সম্মেলনকে ঘিরে দলের জেলা-উপজেলা ও শহর শাখাসহ তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত হয়ে উঠেছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের শুভেচ্ছা জানিয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়সহ সমাবেশস্থল পোস্টার, ব্যানার ও তোরণে ছেয়ে গেছে। এবারের সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব কারা পাচ্ছেন, সে নিয়েও চলছে আলোচনা। পুরোনো নেতৃত্বই থাকছে, নাকি নতুন নেতৃত্ব আসছে, কিংবা পুরোনো নতুনের সমন্বয় ঘটছে—
এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে নেতা-কর্মীদের মধ্যে।

জানা গেছে, ২০০৩ সালে অনুষ্ঠিত জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রত্যক্ষ ভোটে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন বর্তমান জাতীয় সংসদের হুইপ ও সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আতিউর রহমান আতিক। আর সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছিলেন চন্দন কুমার পাল। এর ১২ বছর পর অনুষ্ঠিত সম্মেলনে দ্বিতীয় দফায় আবারও সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক পদে মনোনীত হন তাঁরা দুজনই। তবে এবারের সম্মেলনে প্রকাশ্যে জোরালো তেমন কোনো প্রার্থী না থাকলেও সম্প্রতি সভাপতি পদে নিজের প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন জেলা আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবীর রুমান। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল ছাড়া প্রার্থিতা ঘোষণা করেছেন সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছানুয়ার হোসেন ছানু। এ ছাড়া এই পদের প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সমাজকল্যাণ সম্পাদক তাপস কুমার সাহার কিছু ব্যানার দেখা গেছে শহরের বিভিন্ন অলিগলিতে। তবে বর্তমান নেতৃত্বের বাইরে নতুন পদপ্রত্যাশীরা দল ও দলের তৃণমূল নেতা-কর্মীদের কাছে খুব একটা আবেদন সৃষ্টি করতে পারেননি। তবে পুরোনো নেতৃত্বের প্রতিই আস্থা রাখতে চান বেশির ভাগ নেতা-কর্মীরা।

এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল জানান, সম্মেলনে প্রায় অর্ধলক্ষাধিক দলীয় নেতা-কর্মী ও সমর্থক অংশ নেবেন বলে আশা করছেন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপ আতিউর রহমান আতিক বলেন, সম্মেলন সফল করতে ইতিমধ্যে মঞ্চ ও প্যান্ডেল তৈরিসহ সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে ঈদের মতো উৎসবমুখর পরিবেশ বিরাজ করছে। জেলা আওয়ামী লীগ অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে আতিক-চন্দনের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

সম্পর্কিত