আজকের পত্রিকা ডেস্ক
সেতু এলাকায় পদ্মা নদীর তলদেশ এবং সেখানকার স্রোত ও মাটি সরে যাওয়ার প্রবণতা নিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয়েছিল এর সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের। শুরুতে যে ধারণা করা হয়েছিল, কার্যত দেখা গেল মাটি অন্য রকম। পিলার ধরে রাখার মতো সামর্থ্য তার কম। এ অবস্থায় পাইলিং নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় প্রকৌশলীদের। সংকট উতরাতে শেষে শরণ নিতে হয় ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ পদ্ধতির।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর একটি ছিল এর পিলারগুলোর জন্য পাইলিং। পাইল বসাতে হয় শক্ত মাটিতে। কিন্তু সেতু এলাকায় পদ্মা নদীর তলদেশে শক্ত মাটির খোঁজ পেতে হয়রান হতে হয়েছে প্রকৌশলীদের। শেষে নরম মাটিকেই শক্ত করতে স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতি অনুসরণের সিদ্ধান্ত হয়।
এ নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাবেক প্রধান প্রয়াত অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশের মাটিতে পাইপের মধ্য দিয়ে কিছু বিশেষ রাসায়নিক পাঠানো হয়েছে। এসব রাসায়নিকের মাধ্যমে ওই মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারপর সেই মাটিতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পিলার।
কেন করা হলো এমন, সে সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে। এবার জামিলুর রেজা চৌধুরীর কাছ থেকে শোনা যাক। তিনি জানিয়েছিলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল এর পাইল ড্রাইভিং নিয়ে। সেতুর কাজ শুরুর পর দেখা গেল, নদীর নিচে মাটির যে স্তর পাওয়া গেছে, তা পিলার গেঁথে রাখার উপযোগী নয়। এ অবস্থায় দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, পাইল নিয়ে যেতে হবে আরও গভীরে। কত গভীরে? ১৩০ মিটার। বাকি থাকে দ্বিতীয় বিকল্প। আর তা হলো—গভীরতা কমিয়ে পাইলের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া। ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ নামের এই পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্য বদলে পাইল ড্রাইভিং করা হয়। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
কী করা হয় এই পদ্ধতিতে? এই পদ্ধতিতে পাইলের সঙ্গে স্টিলের ছোট ছোট পাইপ ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়। আর পাইপের ভেতর দিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ ধরনের রাসায়নিক, যা তলদেশের মাটিকে শক্ত করতে ভূমিকা রাখে। একপর্যায়ে সেই মাটি পাইলের লোড বহনে সক্ষম হয়ে ওঠে। তখন আর পাইল বসাতে কোনো বাধা থাকে না। এ প্রক্রিয়ায় পদ্মা সেতুর ১১টি খুঁটি গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
সেতু এলাকায় পদ্মা নদীর তলদেশ এবং সেখানকার স্রোত ও মাটি সরে যাওয়ার প্রবণতা নিয়ে রীতিমতো গলদঘর্ম হতে হয়েছিল এর সঙ্গে যুক্ত প্রকৌশলী ও বিশেষজ্ঞদের। শুরুতে যে ধারণা করা হয়েছিল, কার্যত দেখা গেল মাটি অন্য রকম। পিলার ধরে রাখার মতো সামর্থ্য তার কম। এ অবস্থায় পাইলিং নিয়ে বিপাকে পড়তে হয় প্রকৌশলীদের। সংকট উতরাতে শেষে শরণ নিতে হয় ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ পদ্ধতির।
পদ্মা সেতু প্রকল্পের সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজগুলোর একটি ছিল এর পিলারগুলোর জন্য পাইলিং। পাইল বসাতে হয় শক্ত মাটিতে। কিন্তু সেতু এলাকায় পদ্মা নদীর তলদেশে শক্ত মাটির খোঁজ পেতে হয়রান হতে হয়েছে প্রকৌশলীদের। শেষে নরম মাটিকেই শক্ত করতে স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতি অনুসরণের সিদ্ধান্ত হয়।
এ নিয়ে পদ্মা সেতু নির্মাণ প্রকল্পের আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ প্যানেলের সাবেক প্রধান প্রয়াত অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, স্ক্রিন গ্রাউটিং পদ্ধতিতে নদীর তলদেশের মাটিতে পাইপের মধ্য দিয়ে কিছু বিশেষ রাসায়নিক পাঠানো হয়েছে। এসব রাসায়নিকের মাধ্যমে ওই মাটির শক্তিমত্তা বাড়ানো হয়েছে। তারপর সেই মাটিতে গেঁথে দেওয়া হয়েছে পিলার।
কেন করা হলো এমন, সে সম্পর্কে আগেই বলা হয়েছে। এবার জামিলুর রেজা চৌধুরীর কাছ থেকে শোনা যাক। তিনি জানিয়েছিলেন, পদ্মা সেতু নির্মাণে সবচেয়ে বড় জটিলতা তৈরি হয়েছিল এর পাইল ড্রাইভিং নিয়ে। সেতুর কাজ শুরুর পর দেখা গেল, নদীর নিচে মাটির যে স্তর পাওয়া গেছে, তা পিলার গেঁথে রাখার উপযোগী নয়। এ অবস্থায় দুটি বিকল্প রয়েছে। প্রথমত, পাইল নিয়ে যেতে হবে আরও গভীরে। কত গভীরে? ১৩০ মিটার। বাকি থাকে দ্বিতীয় বিকল্প। আর তা হলো—গভীরতা কমিয়ে পাইলের সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া। ‘স্ক্রিন গ্রাউটিং’ নামের এই পদ্ধতিতে নদীর তলদেশে মাটির গুণগত বৈশিষ্ট্য বদলে পাইল ড্রাইভিং করা হয়। এমন পদ্ধতির প্রয়োগ বাংলাদেশে এই প্রথম। গোটা বিশ্বেও এই পদ্ধতি প্রয়োগের নজির খুব একটা নেই।
স্বপ্নের পদ্মা সেতুর সবশেষ খবর পেতে - এখানে ক্লিক করুন
কী করা হয় এই পদ্ধতিতে? এই পদ্ধতিতে পাইলের সঙ্গে স্টিলের ছোট ছোট পাইপ ওয়েল্ডিং করে দেওয়া হয়। আর পাইপের ভেতর দিয়ে পাঠানো হয় বিশেষ ধরনের রাসায়নিক, যা তলদেশের মাটিকে শক্ত করতে ভূমিকা রাখে। একপর্যায়ে সেই মাটি পাইলের লোড বহনে সক্ষম হয়ে ওঠে। তখন আর পাইল বসাতে কোনো বাধা থাকে না। এ প্রক্রিয়ায় পদ্মা সেতুর ১১টি খুঁটি গড়ে তোলা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রকল্পসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
এই সম্পর্কিত পড়ুন:
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে