মাঈনুদ্দিন খালেদ, নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান)
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সশস্ত্র আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলিতে আতঙ্কে দিন পার করছেন সীমান্তের এপাড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২৩ দিন ধরে এ গোলাগুলি চলে। উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখা এবং ওই দেশের সীমান্তবর্তী ১৬ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে চলছে তুমুল গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণ। এসবের শব্দে কেঁপে উঠছে ঘরবাড়ি।
বিশেষ করে ঘুমধুমের তুমরু গ্রামের পূর্বাংশের শূন্যরেখায় থাকা ৫ হাজার রোহিঙ্গারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ, ঘটনাস্থলের খুব কাছেই অস্থায়ী ঝুপড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তাঁরা। যার ৫০ গজের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যাতায়াত সড়ক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমাবর্তী অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না গোলার আওয়াজে।
গত বৃহস্পতিবার সীমান্তে বসবাসরত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা এসব তথ্য জানা গেছে।
সীমান্তবাসী বলছেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ গোলাগুলি হচ্ছে। তারা একে অপরের উদ্দেশে মর্টার শেলসহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে বলেও শব্দ শুনে মনে হয়।
সীমান্তের রেজুআমতলী, গর্জনবুনিয়া, বড়ইতলী সোনাইছড়ি ও আমতলীর বাসিন্দা, ক্যাচালনং তংচংগা, ফরিদুল আলম, মো. ইদ্রিস, উচালা মার্মা ও জোবেদা বেগমসহ অনেকে জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২ দিন ধরে মিয়ানমার বর্ডারের দিকে বিকট গুলির আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। এমনকি মর্টারশেলের আওয়াজ তাঁদের আতঙ্কিত করে। সীমান্তের ৩৮ নম্বর পিলার থেকে ৪১ নম্বর পিলার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
এসব বাসিন্দা আরও জানান, নানা মাধ্যমে তাঁরা শুনেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মির মধ্যে এ গোলাগুলি চলে; যা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখা ও মিয়ানমারের ওপারের এলাকায় হয়। আরাকান আর্মি চায় আরাকানের স্বাধীনতা। আর মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী চায় তাঁদের শায়েস্তা করতে। এ নিয়ে তাদের সংঘাত চলে আসছে সেই কয়েক যুগ ধরে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমার বাড়ি আজুখাইয়া এলাকায়। সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমটির দূরে। তবু গোলাগুলির আওয়াজে আমাদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে।’
ঘুমধুম রেজু রড়ইতলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমার থেকে ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি। এতে এলাকার লোকজন আতঙ্কিত। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এ জন্য সবার ভয় কেটে যাচ্ছে। আমাদের স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। সমস্যা নেই।’
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আমি কদিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
ঘুমধুম সীমান্তে কর্মরত ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেরই অভ্যন্তরে চলছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও স্বাধীনতাকামী বিদ্রোহী সশস্ত্র আরাকান আর্মির মধ্যে গোলাগুলিতে আতঙ্কে দিন পার করছেন সীমান্তের এপাড়ে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের বাসিন্দারা।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত ২৩ দিন ধরে এ গোলাগুলি চলে। উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখা এবং ওই দেশের সীমান্তবর্তী ১৬ কিলোমিটার এলাকায় থেমে থেমে চলছে তুমুল গোলাগুলি ও গোলাবর্ষণ। এসবের শব্দে কেঁপে উঠছে ঘরবাড়ি।
বিশেষ করে ঘুমধুমের তুমরু গ্রামের পূর্বাংশের শূন্যরেখায় থাকা ৫ হাজার রোহিঙ্গারা চরম আতঙ্কে রয়েছেন। কারণ, ঘটনাস্থলের খুব কাছেই অস্থায়ী ঝুপড়িতে আশ্রয় নিয়েছে তাঁরা। যার ৫০ গজের মধ্যে মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর যাতায়াত সড়ক। একই সঙ্গে বাংলাদেশের সীমাবর্তী অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ রাতে ঘুমাতে পারে না গোলার আওয়াজে।
গত বৃহস্পতিবার সীমান্তে বসবাসরত বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা এসব তথ্য জানা গেছে।
সীমান্তবাসী বলছেন, মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী আরাকান আর্মির সঙ্গে সে দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে এ গোলাগুলি হচ্ছে। তারা একে অপরের উদ্দেশে মর্টার শেলসহ ভারী অস্ত্র ব্যবহার করছে বলেও শব্দ শুনে মনে হয়।
সীমান্তের রেজুআমতলী, গর্জনবুনিয়া, বড়ইতলী সোনাইছড়ি ও আমতলীর বাসিন্দা, ক্যাচালনং তংচংগা, ফরিদুল আলম, মো. ইদ্রিস, উচালা মার্মা ও জোবেদা বেগমসহ অনেকে জানান, গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ২২ দিন ধরে মিয়ানমার বর্ডারের দিকে বিকট গুলির আওয়াজ শুনতে পান তাঁরা। এমনকি মর্টারশেলের আওয়াজ তাঁদের আতঙ্কিত করে। সীমান্তের ৩৮ নম্বর পিলার থেকে ৪১ নম্বর পিলার পর্যন্ত প্রায় ১৬ কিলোমিটার এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে।
এসব বাসিন্দা আরও জানান, নানা মাধ্যমে তাঁরা শুনেছেন, মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরকান আর্মির মধ্যে এ গোলাগুলি চলে; যা বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখা ও মিয়ানমারের ওপারের এলাকায় হয়। আরাকান আর্মি চায় আরাকানের স্বাধীনতা। আর মিয়ানমারের সরকারি বাহিনী চায় তাঁদের শায়েস্তা করতে। এ নিয়ে তাদের সংঘাত চলে আসছে সেই কয়েক যুগ ধরে।
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘আমার বাড়ি আজুখাইয়া এলাকায়। সীমান্ত থেকে ৫ কিলোমটির দূরে। তবু গোলাগুলির আওয়াজে আমাদের ঘরবাড়ি কেঁপে ওঠে।’
ঘুমধুম রেজু রড়ইতলী উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক উৎপল বড়ুয়া বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে মিয়ানমার থেকে ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দ পাচ্ছি। এতে এলাকার লোকজন আতঙ্কিত। তবে বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিজিবি) নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এ জন্য সবার ভয় কেটে যাচ্ছে। আমাদের স্কুলের শিক্ষা কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা-যাওয়া করছে। সমস্যা নেই।’
ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, ‘আমি কদিন ধরে মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি।’
ঘুমধুম সীমান্তে কর্মরত ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী হোসাইন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা গোলাগুলির শব্দ শুনেছি। সীমান্তের ওপারে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যেরই অভ্যন্তরে চলছে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।’
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে