Ajker Patrika

‘অস্ত্রোপচারকালে ভাঙল’ নবজাতকের হাত

তালতলী (বরগুনা) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১০: ৫৪
‘অস্ত্রোপচারকালে ভাঙল’ নবজাতকের হাত

বরগুনার তালতলী উপজেলায় বেসরকারি অ্যাপোলো হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের (সিজার) সময় চিকিৎসকের অবহেলায় এক নবজাতকের ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের হাড় ভেঙে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।

গত বুধবার রাতে নবজাতকের দাদা আবু হানিফ ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ও কর্তৃপক্ষের বিচার চেয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

পুলিশ ও নবজাতকের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি জান্নাতুল মাওয়া নামের এক প্রসূতি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য ওই অ্যাপোলো হাসপাতালে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক সৈয়দ কামরুজ্জামান নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাঁকে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সন্তান প্রসবের পরামর্শ দেন। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, অস্ত্রোপচার না করলে অনাগত শিশুকে বাঁচানো সম্ভব হবে না। এ কথা শোনার পর মাওয়ার পরিবার উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে। পরিবারের সদস্যরা তাৎক্ষণিক অস্ত্রোপচার করার জন্য অনুমতি দেন। অনুমতি পেয়ে ওই দিন বিকেল চারটার দিকে মাওয়াকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সন্ধ্যা সাতটার দিকে হাসপাতালের শয্যায় মা ও নবজাতককে হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু নবজাতক কান্নাকাটি শুরু করে। কোনোমতেই তার কান্না থামছিল না। পরে স্বজনেরা জানতে পারেন, অস্ত্রোপচারের সময় চিকিৎসকের অদক্ষতা ও অবহেলার কারণে নবজাতকের ডান হাতের কনুইয়ের ওপরের অংশ ভেঙে গেছে। এ কারণেই সে এমন কান্নাকাটি করছে।

তবে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যান। রাতেই মা ও নবজাতককে অন্য কোনো সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কোনো উপায় না পেয়ে নবজাতককে পটুয়াখালী হাসপাতালে নেন তার পরিবারের সদস্যরা। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, শিশুটির একটি হাত ভেঙে গেছে। সেখানে শিশুটির পরবর্তী চিকিৎসা দেওয়া হয়।

স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নবজাতকের চিকিৎসার জন্য ব্যস্ত থাকায় অভিভাবকেরা এ ঘটনায় থানায় যেতে পারেননি। নবজাতকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়ার পর তার দাদা আবু হানিফ বাদী হয়ে চিকিৎসক সৈয়দ কামরুজ্জামানসহ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গত বুধবার রাতে তালতলী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এরপর ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

এ ঘটনায় তাঁর বক্তব্য জানার জন্য একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও চিকিৎসক সৈয়দ কামরুজ্জামানের মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া গেছে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তালতলী অ্যাপোলো হাসপাতালের মালিক মো. ফাহিম চিকিৎসকের অবহেলায় নবজাতকের হাত ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের এখানে থাকাকালীন নবজাতকের হাত ভেঙে যায়নি। নবজাতকের আত্মীয়স্বজনের কারণেই হয়তো হাতটি ভেঙে গেছে।’ তাঁদের হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের কোনো অনুমতি আছে কি না জানতে চাইলে কোনো বক্তব্য না দিয়েই তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন।

জানতে চাইলে তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আ. লীগ নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, তারাই সিদ্ধান্ত নেবে: বিবিসিকে প্রধান উপদেষ্টা

‘মবের হাত থেকে বাঁচাতে’ পলকের বাড়ি হয়ে গেল অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প

স্বাধীনতা পদক পাচ্ছেন এম এ জি ওসমানীসহ ৮ জন

কনের বাড়িতে প্রবেশের আগমুহূর্তে হৃদ্‌রোগে বরের মৃত্যু

বগুড়ায় মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় ছাদ থেকে পড়ে নার্সিং শিক্ষার্থীর মৃত্যু

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত