মাসুদ পারভেজ, ডিমলা (নীলফামারী)
কোথাও কম ভাঙছে, আবার কোথাও বেশি, কিন্তু ভাঙন থেমে নেই। সকাল-সন্ধ্যা-রাত নদীভাঙন তাড়িয়ে বেড়ায় তিস্তা তীরের মানুষকে। পানি বাড়লেই বাঁধ ভাঙবে, এমন আশঙ্কা নীলফামারীর ডিমলা তিস্তা নদী পারের মানুষের।
তাঁদেরই একজন নুরী বেগম (৫৫)। উপজেলার খালিশা চা পানি ইউনিয়নের সতিঘাট চরে বড় উঠানের বাড়ি ছিল তাঁর। ছিল ৩০ বিঘা ফসলি জমিও। কিন্তু নদী সব কেড়ে নিয়েছে। নিঃস্ব হয়ে ৪ সন্তান নিয়ে তিনি এখন পথে বসেছেন।
নুরী বেগম বলেন, ‘১৭ বার আমার বসতবাড়ি নদী ভেঙেছে। তিস্তা সউগে কাড়ি নিচে, যাযাবরের মতোন হামার জেবন। আইজ এইঠে তো কাইল ওইঠে। এবারও পুব ঘরটা কোনবাদিন তিস্তা খায়ছে। হামাগো কোরবানির ঈদ বানের জলোত।’
জানা গেছে, উপজেলায় ৪০ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। নদীভাঙনে যেন স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছেন নদীর তীরের মানুষেরা। কোনোমতে জীবন চলছে তাঁদের ঝুপড়ি ঘর, বেড়িবাঁধ বা অন্যের আশ্রয়ে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙন রোধে বাঁধ সংস্কার, নদী খনন ও পরিত্যক্ত সেচনালা খননের মহাপরিকল্পনা পর্যবেক্ষণ চলছে।
ডাক্তারপাড়া গ্রামের পল্লি চিকিৎসক সদর উদ্দিন বলেন, ‘নদীর পার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে সতিঘাটে ছিল আমাদের গ্রাম। প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের বসবাস ছিল সেখানে। ছিল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১০ সালের বন্যায় তিস্তায় তলিয়ে যায় পুরো গ্রাম। নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছি।’
পূর্ব বাইশপুকুর গ্রামের রমজান আলী বলেন, ‘ধরেন একপ্রকার নদীর মধ্যেই আছি। নদীর মধ্যেই বাড়ি। এই যে এই নদীটা, প্রায়ই তো বাড়ির কাছাকাছি। গত ১ সপ্তাহে ১০ ফুট ভেঙে এখন ৩ হাতের দূরত্ব। এখানে আমগাছ, সুপারিগাছ ছিল। সব নদীর পেটে। বাঁশঝাড়টা নদীতে পড়লে আর থাকা যাবে না।’
ছোটখাতা গ্রামের হানিফ আলী বলেন, ‘দুই দিন আগেও আমার বসতভিটা ও ফসলি জমি ছিল, আজ সব নদীতে বিলীন। চারদিকে পানি আর পানি। এখন পরিবার নিয়া কোথায় যাব, কই থাকব তার জায়গা নেই। দুদিন পরেই কোরবানির ঈদ, শিশুসন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি।’
খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান বলেন, ‘নদীভাঙন প্রতিরোধে বড় ধরনের কোনো প্রকল্পের বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এসব সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা আমাদের অস্তিত্ব নিয়েও শঙ্কায় আছি।’
নদীভাঙন নিয়ে আন্দোলনরত সংগঠন ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের নেতা সোহেল হাসান বলেন, নদীতে ড্রেজিং ও বাঁধ না দেওয়ার কারণে এখানে ভাঙন থামছে না। এ ছাড়া বোমা মেশিন দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ উঁচু-নিচু হয়ে মূল নদীতে চর জেগে উঠছে। এতে পানির প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়ে পার ভাঙছে।
তিনি আরও বলেন, নদীভাঙা মানুষকে শুধুই আশা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখানে নদী ভাঙছে ৷ নদীর ভাঙন ঠেকাতে আমরা বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। নদীভাঙনে বেড়িবাঁধের পাশে, রাস্তার দ্বারে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। দ্রুতই যদি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে বহু বছরে গড়ে ওঠা একটি জনপদ চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে।’
কোথাও কম ভাঙছে, আবার কোথাও বেশি, কিন্তু ভাঙন থেমে নেই। সকাল-সন্ধ্যা-রাত নদীভাঙন তাড়িয়ে বেড়ায় তিস্তা তীরের মানুষকে। পানি বাড়লেই বাঁধ ভাঙবে, এমন আশঙ্কা নীলফামারীর ডিমলা তিস্তা নদী পারের মানুষের।
তাঁদেরই একজন নুরী বেগম (৫৫)। উপজেলার খালিশা চা পানি ইউনিয়নের সতিঘাট চরে বড় উঠানের বাড়ি ছিল তাঁর। ছিল ৩০ বিঘা ফসলি জমিও। কিন্তু নদী সব কেড়ে নিয়েছে। নিঃস্ব হয়ে ৪ সন্তান নিয়ে তিনি এখন পথে বসেছেন।
নুরী বেগম বলেন, ‘১৭ বার আমার বসতবাড়ি নদী ভেঙেছে। তিস্তা সউগে কাড়ি নিচে, যাযাবরের মতোন হামার জেবন। আইজ এইঠে তো কাইল ওইঠে। এবারও পুব ঘরটা কোনবাদিন তিস্তা খায়ছে। হামাগো কোরবানির ঈদ বানের জলোত।’
জানা গেছে, উপজেলায় ৪০ কিলোমিটার বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ থাকলেও তা কোনো কাজে আসছে না। নদীভাঙনে যেন স্বপ্ন দেখতে ভুলে গেছেন নদীর তীরের মানুষেরা। কোনোমতে জীবন চলছে তাঁদের ঝুপড়ি ঘর, বেড়িবাঁধ বা অন্যের আশ্রয়ে। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আসফাউদদৌলা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ভাঙন রোধে বাঁধ সংস্কার, নদী খনন ও পরিত্যক্ত সেচনালা খননের মহাপরিকল্পনা পর্যবেক্ষণ চলছে।
ডাক্তারপাড়া গ্রামের পল্লি চিকিৎসক সদর উদ্দিন বলেন, ‘নদীর পার থেকে ১ কিলোমিটার দূরে সতিঘাটে ছিল আমাদের গ্রাম। প্রায় ৩ শতাধিক পরিবারের বসবাস ছিল সেখানে। ছিল একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ২০১০ সালের বন্যায় তিস্তায় তলিয়ে যায় পুরো গ্রাম। নদীভাঙনে নিঃস্ব হয়ে পথে বসেছি।’
পূর্ব বাইশপুকুর গ্রামের রমজান আলী বলেন, ‘ধরেন একপ্রকার নদীর মধ্যেই আছি। নদীর মধ্যেই বাড়ি। এই যে এই নদীটা, প্রায়ই তো বাড়ির কাছাকাছি। গত ১ সপ্তাহে ১০ ফুট ভেঙে এখন ৩ হাতের দূরত্ব। এখানে আমগাছ, সুপারিগাছ ছিল। সব নদীর পেটে। বাঁশঝাড়টা নদীতে পড়লে আর থাকা যাবে না।’
ছোটখাতা গ্রামের হানিফ আলী বলেন, ‘দুই দিন আগেও আমার বসতভিটা ও ফসলি জমি ছিল, আজ সব নদীতে বিলীন। চারদিকে পানি আর পানি। এখন পরিবার নিয়া কোথায় যাব, কই থাকব তার জায়গা নেই। দুদিন পরেই কোরবানির ঈদ, শিশুসন্তানদের নিয়ে খোলা আকাশের নিচে আছি।’
খালিশা চাপানি ইউপি চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান বলেন, ‘নদীভাঙন প্রতিরোধে বড় ধরনের কোনো প্রকল্পের বাস্তবায়ন না হওয়ার কারণে এসব সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। আমরা আমাদের অস্তিত্ব নিয়েও শঙ্কায় আছি।’
নদীভাঙন নিয়ে আন্দোলনরত সংগঠন ‘তিস্তা বাঁচাও, নদী বাঁচাও’ সংগ্রাম পরিষদের নেতা সোহেল হাসান বলেন, নদীতে ড্রেজিং ও বাঁধ না দেওয়ার কারণে এখানে ভাঙন থামছে না। এ ছাড়া বোমা মেশিন দিয়ে বালু-পাথর উত্তোলনের ফলে নদীর তলদেশ উঁচু-নিচু হয়ে মূল নদীতে চর জেগে উঠছে। এতে পানির প্রবাহে বাধার সৃষ্টি হয়ে পার ভাঙছে।
তিনি আরও বলেন, নদীভাঙা মানুষকে শুধুই আশা দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু সেটার বাস্তবায়ন হচ্ছে না। শত কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এখানে নদী ভাঙছে ৷ নদীর ভাঙন ঠেকাতে আমরা বিভিন্ন সময়ে নানা কর্মসূচি পালন করেছি। নদীভাঙনে বেড়িবাঁধের পাশে, রাস্তার দ্বারে মানুষ মানবেতর জীবন যাপন করছে। দ্রুতই যদি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষার কোনো উদ্যোগ না নেওয়া হয়, তাহলে বহু বছরে গড়ে ওঠা একটি জনপদ চিরতরে বিলীন হয়ে যাবে।’
গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
৪ ঘণ্টা আগেঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৪ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৪ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৪ দিন আগে