কদমতলী (ঢাকা) প্রতিনিধি
পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বেড়েছে যান চলাচল। পোস্তগোলা হয়ে জুরাইন দিয়ে ঢাকায় ঢুকছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সার্ভিসের বাস। এতে মহাসড়কের জুরাইন রেলগেট-সংলগ্ন রাস্তার উভয় পাশে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। বেড়েছে শব্দ ও বায়ুদূষণও।যদিও এসব বাস পোস্তগোলা সেতু দিয়ে সরাসরি দোলাইপাড় গিয়ে নেমে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাওয়ার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ সার্ভিসের বাস জুরাইন দিয়ে চলাচল করে। আর এতেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জুরাইনবাসীকে। যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী তাদের।
অন্যদিকে জুরাইনের রাস্তার উভয় পাশ আগের চেয়ে প্রশস্ত হয়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু ব্যস্ততম এই রাস্তার উভয় পাশের অর্ধেকের বেশি অংশ দখল হয়ে গেছে হকারদের দৌরাত্ম্যে। এ ছাড়া রাস্তার ওপর অবৈধভাবে স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার।সড়কে দীর্ঘ সময় পরিবহন থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়। এর সঙ্গে ওই সড়কে রয়েছে পথচারীদের চাপও। এসব কারণে তৈরি হচ্ছে যানজট, আর ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এদিকে কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার নতুন রেললাইন চালু হলে এই রাস্তার ব্যস্ততা আরও বাড়বে। তখন জনভোগান্তি কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-মাওয়া সড়কের জুরাইনের পূর্ব পাশে মেডিকেল রোড থেকে বিক্রমপুর প্লাজা হয়ে আলম সুপার মার্কেট পর্যন্ত প্রায় অর্ধকিলোমিটার রাস্তার অর্ধেকের বেশি দখল করে রেখেছে হকাররা। এতে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে সড়ক। যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। অন্যদিকে রাস্তার পশ্চিম পাশের অংশও দখলে নিয়েছে বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের বাস, লেগুনা ও অটোরিকশা। দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করা নড়াইল এক্সপ্রেস, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, সোনালি পরিবহন, গোল্ডেন লাইনসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস এদিক দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া ট্রাক, লরি ও নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জগামী বাসসহ কয়েক হাজার যানবাহন এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে।
তীব্র যানজটের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জসিম বলেন, এখন রাস্তা কয়েক গুণ বেশি চওড়া হলেও হেঁটে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়।
কথা হয় পথচারী রেশমার সঙ্গে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি বলেন, এখন রাস্তা অনেক চওড়া হয়েছে, হয়েছে উড়ালসড়কও; কিন্তু রাস্তার ওপর হকার বসায় এবং ছোট-বড় যানবাহনের স্ট্যান্ড করায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
এদিকে দিনের শুরুতে সড়ক দখল করে বসা হকারের সংখ্যা কম থাকায় যানজট কিছুটা কম থাকে। তবে দুপুরের পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসব রাস্তায় অসহনীয় যানজট তৈরি হয়।
রাস্তায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালনকারী হামিদ বলেন, ‘কয়েকজন মিলে যানজট রোধে সকাল থেকেই সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচলে আমরা সহযোগিতা করে থাকি। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ তো রয়েছেই।’
ট্রাফিক বিভাগের ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তায় হকার বসলে আমরা তাঁদের সরিয়ে দিই। যানজট নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে রাজধানীর কমলাপুর থেকে জুরাইন হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরগামী রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে ৪ ডিসেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই রুটে আগে প্রতিদিন ২৬ বার ট্রেন আসা-যাওয়া করত। রেলগেটে সিগন্যাল দেওয়ায় আটকে থাকতে হতো যানবাহনগুলোকে। এখন পদ্মা সেতুর জন্য নতুন করে আরও দুটি লাইন নির্মিত হচ্ছে। এটি চালু হলে এদিক দিয়ে চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন যানজটও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
রেললাইন নির্মাণকারী চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের দায়িত্বরত দোভাষী মুখপাত্র জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় রেললাইনটির প্ল্যান এভাবেই করা হয়েছে।
পদ্মা সেতু চালুর পর ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বেড়েছে যান চলাচল। পোস্তগোলা হয়ে জুরাইন দিয়ে ঢাকায় ঢুকছে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন সার্ভিসের বাস। এতে মহাসড়কের জুরাইন রেলগেট-সংলগ্ন রাস্তার উভয় পাশে তৈরি হচ্ছে দীর্ঘ যানজট। বেড়েছে শব্দ ও বায়ুদূষণও।যদিও এসব বাস পোস্তগোলা সেতু দিয়ে সরাসরি দোলাইপাড় গিয়ে নেমে যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাওয়ার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ সার্ভিসের বাস জুরাইন দিয়ে চলাচল করে। আর এতেই দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে জুরাইনবাসীকে। যানজট এখন নিত্যদিনের সঙ্গী তাদের।
অন্যদিকে জুরাইনের রাস্তার উভয় পাশ আগের চেয়ে প্রশস্ত হয়েছে কয়েক গুণ। কিন্তু ব্যস্ততম এই রাস্তার উভয় পাশের অর্ধেকের বেশি অংশ দখল হয়ে গেছে হকারদের দৌরাত্ম্যে। এ ছাড়া রাস্তার ওপর অবৈধভাবে স্ট্যান্ড গড়ে তোলা হয়েছে সিএনজিচালিত অটোরিকশার।সড়কে দীর্ঘ সময় পরিবহন থামিয়ে যাত্রী ওঠানো-নামানো হয়। এর সঙ্গে ওই সড়কে রয়েছে পথচারীদের চাপও। এসব কারণে তৈরি হচ্ছে যানজট, আর ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে স্থানীয়দের। এদিকে কমলাপুর থেকে পদ্মা সেতু হয়ে দক্ষিণাঞ্চলে যাওয়ার নতুন রেললাইন চালু হলে এই রাস্তার ব্যস্ততা আরও বাড়বে। তখন জনভোগান্তি কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা এলাকাবাসীর।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-মাওয়া সড়কের জুরাইনের পূর্ব পাশে মেডিকেল রোড থেকে বিক্রমপুর প্লাজা হয়ে আলম সুপার মার্কেট পর্যন্ত প্রায় অর্ধকিলোমিটার রাস্তার অর্ধেকের বেশি দখল করে রেখেছে হকাররা। এতে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে সড়ক। যানবাহন চলাচলে বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। দীর্ঘ সময় যানজটে আটকে থাকতে হচ্ছে যানবাহনগুলোকে। অন্যদিকে রাস্তার পশ্চিম পাশের অংশও দখলে নিয়েছে বিভিন্ন পরিবহন সার্ভিসের বাস, লেগুনা ও অটোরিকশা। দক্ষিণাঞ্চলে চলাচল করা নড়াইল এক্সপ্রেস, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, সোনালি পরিবহন, গোল্ডেন লাইনসহ কয়েকটি পরিবহনের বাস এদিক দিয়ে চলাচল করে। এ ছাড়া ট্রাক, লরি ও নারায়ণগঞ্জ-মুন্সিগঞ্জগামী বাসসহ কয়েক হাজার যানবাহন এই রাস্তা দিয়েই চলাচল করে।
তীব্র যানজটের বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা জসিম বলেন, এখন রাস্তা কয়েক গুণ বেশি চওড়া হলেও হেঁটে ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হতে হয়।
কথা হয় পথচারী রেশমার সঙ্গে। তিনি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী। তিনি বলেন, এখন রাস্তা অনেক চওড়া হয়েছে, হয়েছে উড়ালসড়কও; কিন্তু রাস্তার ওপর হকার বসায় এবং ছোট-বড় যানবাহনের স্ট্যান্ড করায় সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এলাকাবাসীকে।
এদিকে দিনের শুরুতে সড়ক দখল করে বসা হকারের সংখ্যা কম থাকায় যানজট কিছুটা কম থাকে। তবে দুপুরের পর থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত এসব রাস্তায় অসহনীয় যানজট তৈরি হয়।
রাস্তায় যানজট নিরসনে দায়িত্ব পালনকারী হামিদ বলেন, ‘কয়েকজন মিলে যানজট রোধে সকাল থেকেই সুশৃঙ্খলভাবে যানবাহন চলাচলে আমরা সহযোগিতা করে থাকি। এ ছাড়া ট্রাফিক পুলিশ তো রয়েছেই।’
ট্রাফিক বিভাগের ওয়ারী জোনের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) বিপ্লব ভৌমিক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তায় হকার বসলে আমরা তাঁদের সরিয়ে দিই। যানজট নিরসনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’
এদিকে রাজধানীর কমলাপুর থেকে জুরাইন হয়ে পদ্মা সেতু দিয়ে ফরিদপুরগামী রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। ফলে ৪ ডিসেম্বর থেকে তিন মাসের জন্য কমলাপুর-নারায়ণগঞ্জ রুটে রেল চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এই রুটে আগে প্রতিদিন ২৬ বার ট্রেন আসা-যাওয়া করত। রেলগেটে সিগন্যাল দেওয়ায় আটকে থাকতে হতো যানবাহনগুলোকে। এখন পদ্মা সেতুর জন্য নতুন করে আরও দুটি লাইন নির্মিত হচ্ছে। এটি চালু হলে এদিক দিয়ে চলাচল করা ট্রেনের সংখ্যা আরও বাড়বে। তখন যানজটও কয়েক গুণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে সচেতন মহল।
রেললাইন নির্মাণকারী চায়না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পের দায়িত্বরত দোভাষী মুখপাত্র জহিরুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় রেললাইনটির প্ল্যান এভাবেই করা হয়েছে।
ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
৩ দিন আগেদেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
৩ দিন আগেআলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এবার নিজেই বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে রাজধানীতে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে আলু বিক্রি করা হবে। একজন গ্রাহক ৪০ টাকা দরে সর্বোচ্চ তিন কেজি আলু কিনতে পারবেন...
৩ দিন আগেসপ্তাহখানেক আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে অনেকের ওয়াল বিষাদময় হয়ে উঠেছিল ফুলের মতো ছোট্ট শিশু মুনতাহাকে হত্যার ঘটনায়। ৫ বছর বয়সী সিলেটের এই শিশুকে অপহরণের পর হত্যা করে লাশ গুম করতে ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছিল। প্রতিবেশী গৃহশিক্ষকের পরিকল্পনায় অপহরণের পর তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়...
৩ দিন আগে