Ajker Patrika

সেতু ধসে বিচ্ছিন্ন ১০ গ্রাম

মির্জাপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৬ জুন ২০২২, ১৩: ৪৩
সেতু ধসে বিচ্ছিন্ন ১০ গ্রাম

মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়নের আদাবাড়ি গ্রামে বন্যার পানির তোড়ে একটি সেতু ধসে পড়েছে। এতে আদাবাড়ি, কড়াইল ও হিলড়া গ্রামসহ ১০ গ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ফলে ওই এলাকার শত শত মানুষ ভোগান্তিতে পড়েছেন। স্থানীয় সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

জানা গেছে, ১৯৮৯-৯০ অর্থবছরে কড়াইল-আদাবাড়ি সড়কের আদাবাড়ি এলাকায় ২৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ১৬ ফুট প্রশস্ত এ সেতুটি নির্মাণ করা হয়। পরে ওই রাস্তাটি কার্পেটিং করা হয়। রাস্তাটি পাকা হওয়ায় মহেড়া ইউনিয়নের হিলড়া, গোড়াকী, আদাবাড়ি, কড়াইল, বানিয়ারা, ডোকলাহাটি গ্রামের লোকজন ছাড়াও উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের থলপাড়া, বৈল্যানপুর, ফতেপুর ও তরফপুর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের লোকজন নিয়মিত চলাচল করে থাকেন।

এ ছাড়া গোড়াকী মাদ্রাসা, নতুন আদাবাড়ি মিকতাহুল জান্নাত হাফেজিয়া মাদ্রাসা, আদাবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হিলড়া মদিনাতুল উলুম কওমি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী ওই সড়ক দিয়েই চলাচল করে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত বছরের বর্ষায় পানির স্রোতে সেতুটির নিচ থেকে মাটি সরে যায়। এতে সেতুটির পূর্ব-দক্ষিণ পাশের কিছু অংশ ভেঙে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এলজিইডি মির্জাপুর অফিসের লোকজন সেতুটি পরিদর্শন করে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়। এরপর গত এক বছর এলাকাবাসী ঝুঁকি নিয়েই ওই সেতু দিয়ে চলাচল করলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।

এদিকে গত এক সপ্তাহের প্রবল বৃষ্টি এবং উজান থেকে আসা ঢল প্রবল বেগে প্রবাহিত হতে থাকলে সেতুটি ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া পানির স্রোতে সেতুর দুপাশের সংযোগ সড়কটিও ভেঙে পড়েছে। এতে ওই এলাকার আদাবাড়ি ছাড়াও হিলড়া, ডোকলাহাটি, কড়াইল, থলপাড়া, বৈল্যানপুর ও ফতেপুরসহ ১০ গ্রামের সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেছে।

আদাবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর ছবুর মিয়া, হিলড়া গ্রামের বাসিন্দা তপু মিয়া, পশু চিকিৎসক মোক্তাদির, সাইদুল ইসলাম, লুৎফর রহমান জানান, সেতু ধসে যাওয়ায় ছোট ছোট নৌকায় করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে। এতে যেমন অতিরিক্ত টাকা খরচ হচ্ছে, তেমনি ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।

হিলড়া গ্রামের পুত্রবধূ পপি আক্তার বলেন, ‘কয়েক দিন আগে এ সেতু দিয়ে বাবার বাড়ি গিয়েছিলাম। স্বামীর বাড়ি আসার পথে দেখি সেতুটি ভেঙে গেছে।’

আব্দুস সাত্তার মিয়া জানান, ‘সেতুটি ভেঙে পড়ায় হিলড়া ও কড়াইল গ্রামসহ আশপাশের গ্রামের লোকজন দুর্ভোগে পড়েছেন। দুদিন আগে সেতুটি ভেঙে পড়লেও সরকারি কর্মকর্তারা এখনো আসেননি।’

মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া বলেন, গত বছর সেতুটির একাংশ ভেঙে গেলেও উপজেলা প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবার সেতুটি ধসে গেছে।

মির্জাপুর উপজেলা প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান বলেন, গত বছর পরিদর্শন শেষে সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করা হয়েছিল। চলতি বছরের বন্যার পানির স্রোতে সেটি পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। এলাকাবাসীর যাতায়াতের সুবিধার্থে একটি বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণা হলেই মেয়াদ শেষ নতুন পরিচালনা কমিটির

মুসলিম থেকে খ্রিষ্টান হওয়া ইরানি নারী এখন পানামার জঙ্গলে

ঢাবি ছাত্রীকে যৌন হেনস্তাকারীর পক্ষে নামা ‘তৌহিদী জনতার’ আড়ালে এরা কারা

এনসিপিকে চাঁদা দিচ্ছেন ধনীরা, ক্রাউডফান্ডিং করেও অর্থ সংগ্রহ করা হবে: নাহিদ ইসলাম

ভ্যানিটি ব্যাগ ধরে টান, সন্তানসহ ছিটকে পড়তেই তরুণীর গালে ছুরিকাঘাত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত